একানব্বই বছর বয়স বৃদ্ধা সোনাভান। জীবন ও জীবিকার তাগিদেই বসত বাঁধেন নদী পাড়ে। কখনো ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে চলে যায়, আবার কখনো আবাদি জমি খেয়ে ফেল ক্ষুধার্ত নদী। প্রকৃতির সঙ্গেই যুদ্ধ করে জীবনের শেষ কিনারায় উপনীত হয়েছেন। এক সময় তিনি চরের মাটিতে জন্মেছেন, চরেই বেড়ে উঠেছেন। বিয়েও হয়েছে চরে। ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে তার। স্বামী মোজা মিয়াকে হারিয়েছেন ২৬ বছর আগে। মেয়েরা স্বামীর সংসারে। আর ছেলেদের আলাদা আলাদা সংসার। একেক ছেলের সংসার একেক চরে। এক চর থেকে আরেক চরে ছেলের বাড়িতে যেতে সোনাভানকে বেগ পেতে হয়। তবুও ছুটে যান তিনি। নাতি নাতনি ও পুতিদের মুখ দেখতে।