ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কিন কেয়ার ট্রেন্ডে কিশোরীদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে

প্রকাশিত: ০২:০৩, ১৫ জুলাই ২০২৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কিন কেয়ার ট্রেন্ডে কিশোরীদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘#GRWM’ (Get Ready With Me) ভিডিও ট্রেন্ডে অংশ নিচ্ছে ৭ থেকে ১৮ বছর বয়সী অনেক কিশোরী। এসব ভিডিওতে তারা নিজেরা প্রতিদিনকার স্কিন কেয়ার ও মেকআপ রুটিন দেখায়। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, এই ট্রেন্ড কিশোরীদের ত্বক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।

জার্নাল ‘Pediatrics’-এ প্রকাশিত গবেষণাটি ১০০টি জনপ্রিয় টিকটক ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখায়, কিশোরীরা গড়ে ৬টি করে স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করছে—যার প্রতিটির মাসিক ব্যয় ১৬৮ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত। তবে এর মধ্যে মাত্র ২৬% ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন ব্যবহারের উল্লেখ ছিল।

গবেষণায় দেখা যায়, এসব পণ্যে গড়ে ১১টি সক্রিয় উপাদান থাকে যা ত্বকে জ্বালা, অ্যালার্জি ও দীর্ঘমেয়াদি চর্মরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। শিশুদের ত্বক যেহেতু তুলনামূলকভাবে সংবেদনশীল, তাই এসব কেমিক্যালি ভারী পণ্য তাদের জন্য আরও ক্ষতিকর হতে পারে।

গবেষক ড. মলি হেইলস বলেন, “আমি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং চার সন্তানের মা হিসেবে চিন্তিত, কেননা এখনকার কিশোরীরা ভাবছে—ত্বক ভালো রাখতে অনেকগুলো পণ্য ব্যবহার করতেই হবে। অথচ শিশুদের জন্য একমাত্র প্রয়োজনীয় পণ্য হচ্ছে সানস্ক্রিন।”

গবেষণা আরও জানায়, এসব ভিডিওতে "ফর্সা" বা "উজ্জ্বল" ত্বককে স্বাস্থ্যকর ত্বকের প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়, যা বর্ণবাদী ও অবাস্তব সৌন্দর্য মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করে। এটি কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন: আত্মমূল্যায়নের অভাব, উদ্বেগ, খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা ও পারফেকশনিজম।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ : কিশোরীদের জন্য জটিল স্কিন কেয়ার রুটিন নয়, বরং নিম্নলিখিত সহজ অভ্যাসগুলোই যথেষ্ট:

  • নরম ও মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে দিনে দুইবার মুখ ধোয়া

  • হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার

  • প্রতিদিন সকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার (SPF ৩০ বা বেশি)

  • ব্রণ না খোঁচানো

  • পর্যাপ্ত ঘুম, পানি পান ও সুষম খাবার খাওয়া

বিশেষ ত্বক সমস্যা থাকলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Jahan

×