ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

বাংলাদেশ

জোয়ারের ধাক্কায় কিছুই রক্ষা করা যাচ্ছে না

জোয়ারের ধাক্কায় কিছুই রক্ষা করা যাচ্ছে না

টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপে জোয়ারের ধাক্কায় কিছুই রক্ষা করা যাচ্ছে না। জোয়ারের ধাক্কায় ধসে পড়ছে শাহপরীর দ্বীপের বেড়িবাঁধের সিসি ব্লক। ফলে বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে শাহপরীর দ্বীপ এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে। জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০২২ সালের জুন মাসে প্রায় ১৫১ কোটি টাকা খরচে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়। বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল হলে শ্াহপরীর দ্বীপের মানুষের ঘুম হারাম হয়ে উঠে। সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় ১০-১২ ফুট। জোয়ারের পানি ও বড় বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় পশ্চিম পাশের বেড়িবাঁধে লাগানো সিসি ব্লকগুলো ধসে পড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানলে বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে শত শত মানুষের ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ নানা অবকাঠামো সাগরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধের কাছাকাছি রয়েছে বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি। শাহপরীর দ্বীপের কয়েকটি গ্রামে রয়েছে ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। পশ্চিম পাশের আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় আধা কিলোমিটার বেড়িবাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। বেড়িবাঁধের অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি এবং নিচের একাধিক অংশের আরও ২০টির বেশি সিসি ব্লক সরে গেছে। জোয়ারের ধাক্কায় মাটির বাঁধ ভেঙে গেলে পুরো শাহপরীর দ্বীপ আবারও তলিয়ে যেতে পারে। মাঝের পাড়া এলাকার লোকজন বলেন, হঠাৎ করে সাগরের পানি বেড়ে গেলে আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে লোনা পানি। মাঝেমধ্যে সাগরের পানি বেড়ে বেড়িবাঁধ উপচে পড়ে আমাদের বসত বাড়ি তলিয়ে যায়। টেকনাফের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, দুই কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধের ১০০ মিটারে নতুন করে সিসি ব্লক স্থাপনের জন্য মেসার্স শহিদ ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বিভাগের সব খবর

মহাসড়কে গরুরহাট, দুর্ভোগ

মহাসড়কে গরুরহাট, দুর্ভোগ

জামালপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী হাট সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা গোপালগঞ্জহাট। হাটটি জেলা ও পার্শ্ববর্তী শেরপুর, টাঙ্গাইলসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বৃহৎ গরুরহাট হিসেবেই পরিচিত। যার ফলে কয়েক  জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরকারি রাজস্ব আসে এ হাট থেকেই। বিপুল পরিমাণ রাজস্বের এ আনন্দও প্রতি সপ্তাহে বিষাদে পরিণত হয় স্থানীয়দের। জানা যায়, উপজেলার এ গোহাটটি প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার বসে। জল ও স্থল উভয় পথ থাকায় পশু নিয়ে  অনায়াসেই এ হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন। প্রতিহাটে কোটি কোটি টাকার কেনা-বেচা হয়। প্রতি বছর উপজেলা প্রশাসন কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে এ গরুরহাট থেকে।