ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বিভাগের সব খবর

ঝিনাইদহ পৌরসভার  প্রশাসনিক কর্মকর্তার  সম্পদের পাহাড়

ঝিনাইদহ পৌরসভার  প্রশাসনিক কর্মকর্তার  সম্পদের পাহাড়

ঝিনাইদহ পৌরসভার স্টোর কিপার থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বনে যাওয়া আসাদুজ্জামান চাঁদ গত ১৫ বছরে শত শত অপকর্ম করলেও এখনো বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন। ছাত্র-জনতার ওপর হামলার জন্য অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। এক চুলও দাপট কমেনি তার। ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত ১৫ বছরে শহরের চারদিকে নামে বেনামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার অঢেল সম্পদ। তবে এই সম্পদ তিনি কি ভাবে অর্জন করলেন তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই আয়কর অফিসেও। পৌরসভার চেক জালিয়াতিসহ নানা দুর্নীতি করে তিনি রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। নামে-বেনামে অঢেল সম্পদ গড়ে ঝিনাইদহ শহরবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আসাদুজ্জামান চাঁদ।

মোরেলগঞ্জে ১০ গ্রামের  মানুষের ভাঙা পুলই  ভরসা 

মোরেলগঞ্জে ১০ গ্রামের  মানুষের ভাঙা পুলই  ভরসা 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মঠবাড়ী গ্রামের বড় খালের পুলটি এক বছর পূর্বে ভেঙে গেলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত হয়নি সংস্কার। ১০ গ্রামের মানুষের পারাপারে দুর্ভোগ এখন চরমে। স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৭ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এ ভাঙা পুলটি। জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তা-ব্যক্তিদের নেই কোনো নজরদারি।  সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের বড় খালের উপরে সংযোগ পুলটি নদীর খরস্রোতের এক বছর পূর্বে ভেঙে পড়ায় পরবর্তীতে নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি ওই পুলটি। যে কারণে প্রতিনিয়ত মঠবাড়ি, চন্দনতলা, একরামখালী, ঠাকুরনতলা, কালিবাড়ী, জিউধরা, লক্ষ্মীখালী, বটতলা, বরইতলা ১০ গ্রামের মানুষের ৬-৭ হাজার মানুষের চলাচলে পারাপারে অভাবনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খালের দু’পান্তে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি আলিম মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীসহ শত শত শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে এ পুল পারাপার হতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে প্রতিদিন। ঝড় বৃষ্টিতে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে পড়েছে অনেক ছাত্রছাত্রীর। অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। এ পুল পার হয়ে প্রতিদিন ২/৩ হাজার মানুষ যাচ্ছেন একরামখালী বাজার, মঠবাড়ী সুশীলসমাজ বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, সাইক্লোন শেল্টার, দুটি মসজিদে মোরেলগঞ্জ উপজেলা শহরসহ ও পাশ্ববর্তী মোংলা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে। ভাঙা পুল পার হওয়া শিশু শিক্ষার্থী জান্নাতি, আবু জাহের, আব্দুল্লাহ, তামান্নাসহ অনেকেই বলেন, আমাদের স্কুলে যেতে এ ভাঙা পুল পার হতে হয়। অনেক সময় অভিভাবকরা সঙ্গে আসে না। বৃষ্টির দিনে পুল থেকে পড়ে যাওয়ার ভয়ে ¯ু‹লে আসি না।  এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হারুন-অর রশিদ বলেন, ৫ বছর পূর্বে এ রকম ভেঙে যাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে সংস্কার করা হয়েছিল। গত বছর পুনরায় ভেঙে পড়ায় নতুন করে মেরামত করা হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদে আবেদনও করা রয়েছে। পরবর্তীতে আর কোনো ব্যবস্থা হয়নি। পুলটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হলে স্কুল শিক্ষার্থীসহ জন চলাচলের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, মঠবাড়ি গ্রামের সংযোগ খালের গুরুত্বপূর্ণ পুলটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে তিনি অবহিত আছেন। স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ হলে কাজটি শুরু হবে।