ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বিভাগের সব খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ লাখ বৃক্ষ রোপণের কর্মসূচি  গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিন দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা প্রধান অতিথি হিসেবে বুধবার সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়ন পরিষদ হতে চেরাডাঙ্গী বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার পাশে তিন দিনব্যাপী বনজ, ফলদ ও ঔষধীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫ হাজার ৫শ’ ৫০ টি গাছের চারা রোপণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক করেন।    এ উপলক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছাড়াও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

বাঁশের সাঁকোই এখন ভরসা

বাঁশের সাঁকোই এখন ভরসা

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের খেতারচর এলাকায় দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বাঁশের সাঁকোই হয়ে উঠেছে দশ গ্রামের মানুষের প্রধান চলাচলের পথ। শিঙিডোবা নদীর সংযোগ খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটির এক পাশের সংযোগ সড়ক ২০১৫ সালের ভয়াবহ বন্যায় ধসে পড়ে। কিন্তু এত বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়কটি আর মেরামত হয়নি। ফলে স্থানীয় মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন পার হন খানপাড়া, মোল্লাপাড়া, থাঠারুপাড়া, মসজিদপাড়া, উত্তর ধাতুয়াকান্দা, দক্ষিণ ধাতুয়াকান্দা, ঝালুরচর পশ্চিমপাড়া সহ আশপাশের প্রায় দশ গ্রামের হাজারো মানুষ। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ সবাই বাঁশের সাঁকোই ভরসা করে চলাফেরা করছেন।  এ পথেই শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, আলহাজ্ব কছর উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, সাধুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ধাতুয়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।  এছাড়া সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও যেতে হয় এই ঝুঁকিপূর্ণ পথ দিয়েই। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজটির এক পাশ প্রায় সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। বাঁশের তৈরি অস্থায়ী সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করছে সবাই। দিনের বেলা কোনোভাবে চলা গেলেও রাতে পারাপার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো মুহূর্তে সাঁকো ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ধাতুয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৯ বছরেও এই ব্রিজের সংযোগ সড়কটি মেরামত না করাটা চরম অবহেলা। প্রতিদিন হাজারো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শিক্ষার্থী আশা মনি বলে, পড়াশোনার জন্য বাঁশের সাঁকো দিয়ে ব্রিজে উঠতে খুব ভয় করে। কিন্তু উপায় নেই, ভয়কে জয় করেই যেতে হয়। এ বিষয়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আশা করি, চলতি বছরেই কাজটি শুরু হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সুমন জনকণ্ঠকে বলেন, জনচলাচলের সুবিধার্থে আপাতত ‘টিআর’ প্রকল্পের আওতায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য বড় আকারের একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। আশা করি, দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে। জনদুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী।

বিএনপির সব ক্ষমতার উৎস জনগণ

বিএনপির সব ক্ষমতার উৎস জনগণ

বিএনপির সব ক্ষমতার উৎস জনগণ। দল হিসেবে আমাদের নীতি ও আদর্শ নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের নেতা-কর্মীদের বলছি, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকেই পাশে রাখুন।  বুধবার পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ কথা বলেন।  তারেক রহমান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। বড় হলে সমস্যাও বেশি, দায়িত্ব অনেক, স্যাক্রিফাইসটাও বেশি। গণতন্ত্র যখনই হুমকির মুখে পড়েছে, তখনই বিএনপি রাজপথে নেমেছে- এই ঐতিহ্যকে সামনে রেখেই দলকে আরও সুসংগঠিত করা হচ্ছে। দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি যদি শক্ত করতে হয়, তবে বিএনপিকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ভিন্নমতকে সহনশীলতা ও সম্মান দেখিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোই হবে দলের পথ। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সংস্কারের প্রস্তাব বিএনপি আগেই দিয়েছে। তারপরও অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত্য কমিশনেও অনেক ছাড় দিয়েছে দলটি। অনেক বিষয়ে একমত না হলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। যেন সবাই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  বলেন, ‘গণতন্ত্রের চর্চা আমরা শুধু রাষ্ট্রে নয়, দলের মধ্যেও বজায় রাখতে চাই। গণতন্ত্রে বিশ্বাস বলেই আমরা ভিন্নমতকে গুরুত্ব দেই, শুনি এবং সমাধানের চেষ্টা করি।’ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, একজনের অপকর্মের দায় যেন পুরো দলকে বহন করতে না হয়। দলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা ও তাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করাই হবে দলের মূল দায়িত্ব। তারেক রহমান বলেন, সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার। প্রত্যেকটি দলেরই নিজস্ব আদর্শ ও লক্ষ্য রয়েছে। কিছু মিডিয়া বিএনপি সংস্কার মানছে না, এমনটা বলা হচ্ছে। কিন্তু সত্যটা হলো সংস্কার প্রশ্নে বিএনপি অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র মানেই মতপার্থক্য থাকবে। বড় দল হিসেবে একমত না হলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতামতকে সম্মান দিতে হবে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য সহনশীলতা থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না করায় ফ্যাসিস্টদের পতন হয়েছে। এ সময় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যখনই বাংলাদেশ সংকটে পড়েছে, বিএনপি তখনই সোচ্চার থেকেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকারবিহীন সময়টুকু বিএনপিই দেশের শৃঙ্খলা ধরে রেখেছিল।’ বিএনপির গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রের চর্চা আমরা শুধু রাষ্ট্রে নয়, দলের মধ্যেও বজায় রাখতে চাই। গণতন্ত্রে বিশ্বাস বলেই আমরা ভিন্নমতকে গুরুত্ব দিই, শুনি এবং সমাধানের চেষ্টা করি।’ তিনি বলেন, ‘দলের সুনাম যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। যদি কেউ দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাহলে কোনো ধরনের ছাড় বা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, এবিএম মোশারফ হোসেন, সদস্য মো. হাসান মামুনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বন্যপ্রাণীর প্রতি ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত

বন্যপ্রাণীর প্রতি ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত

শুধু মানুষ নয়, বন্ধুত্ব হতে পারে অন্য প্রাণীর সঙ্গেও। সুখ কিংবা দুঃখও যেন তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যায়। পোষা প্রাণীটির সঙ্গে আনমনে কথাও বলেন  অনেকে। পাশ্চাত্যে তো বটেই, আমাদের দেশেও অনেকে প্রাণী পোষেণ বাড়িতে। বাড়িতে কুকুর, বিড়ালের পাশাপাশি বিভিন্ন পাখি এমনকি বেজির মতো প্রাণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। ওদের যতœ নেওয়া, খাওয়া দাওয়া করোনো, সময় দেওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখার কাজগুলো করতে হয় পরিবারের সবাইকে মিলে। সভ্যতার অগ্রগতিতে যখন বন্যপ্রাণীদের অস্তিত্ব সংকট চলছে, তখন বেজির মতো প্রাণীর সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব সত্যিই বিস্ময়কর ঘটনা। কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার রাজারাম ক্ষেত্রী গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শুকুর আলী। ছোটবেলা থেকেই পশু-পাখির প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা। বনের পাখি হোক কিংবা আহত কোনো প্রাণী, তিনি স্নেহ আর যতেœ তাদের সেবা করেন। আহত পশুদের নিজ খরচে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে আবার তাদের বনে ছেড়ে দেন।  প্রাণীদের প্রতি এই ভালোবাসা আজ তার নেশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে শুকুর আলীর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু একটি বেজি।  এক বছর আগে তার ছেলে দুলাল মিয়া জঙ্গল থেকে শখ করে একটি বেজির ছানা ধরে আনে বাড়িতে।  ছেলের কাছে শুকুর আলী বেজির ছানাটিকে খাঁচায় রেখে আদরে বড় করতে থাকেন।  নাম রাখেন ‘রূপালী’। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রূপালী হয়ে ওঠে পরিবারেরই একজন। বাড়ির সকলে তাকে খাওয়া দেয়। সময়  মতো।  নানা রকম যতœও করে।  উলিপুর-রাজারহাট সড়কের নারিকেলবাড়ি সন্ন্যাসীতলায় শুকুর আলীর ছোট্ট একটি চা-বিস্কুটের দোকান আছে।  শুকুর আলী বেজিটিকে সন্তানের মতো ভালোবাসেন। বেজিটিও তাকে ছাড়া থাকতে পারে না। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে রূপালীকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে আসেন। সেখানে খোলা জায়গায় তাকে ছেড়ে দেন। কখনো পাশের ঝোপঝাড়ে ঘুরে বেড়ায়, কখনো বা দোকানের কোনে লুকিয়ে থাকে।  ডাক দিলে দৌড়ে এসে শুকুর আলীর কোলে উঠে পড়ে।  খেতে পায় দুধ, কলা, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবার। শুকুর আলীর সঙ্গে বেজির বন্ধুত্বের কথা শুনে বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন দোকানে আসে বেজি আর মানুষের বন্ধুত্ব দেখার জন্য। এর মধ্যে কেউ কেউ বিস্কুট, কলা, সমুচাসহ বিভিন্ন খাবার খেতে দেয়। বেজিটিও খায়, কারও কোনো ক্ষতি করে না। শুধু শুকুর আলী নয়, তার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সব সদস্যই রূপালীকে ¯েœহ করে। স্ত্রী দুলালী বেগম জানান, “আমরা গরিব মানুষ, নিজেরা না খেয়ে হলেও রুপালীর খাওয়ার ব্যবস্থা করি।  সপ্তাহে স্যাম্পু দিয়ে গোছল করিয়ে দেই। গ্রামবাসী আব্দুল জলিল মিয়া, আশাদুল ইসলাম জানায়, শুকুর আলী একজন প্রকৃত পশু-পাখি প্রেমিক মানুষ।  তারা বলেন, “শুধু বেজি নয়, এক সময় শুকুর আলী জঙ্গলের ইঁদুরও পালতেন।  এখন প্রতিদিন তার বাড়ি এবং দোকানে মুক্ত পাখিদের হাতে খাবার খাইয়ে দেন।  পাখিরাও তার কাছে এসে খাবারের জন্য চেঁচামেঁচি করে। শুকুর আলী জানান, “মানুষ এখন মানুষের কথা শোনে না। অথচ বনের পশু আমার ডাকে সাড়া দেয়। রূপালী আমার ঘরের পোকামাকড়ও খেয়ে ফেলে। ওকে নিয়ে আমি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করি। বন্ধু মনে হয়।” শুকুর আলীর এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা শুধু রুপালীর জন্যই নয়, প্রকৃতি ও প্রাণিকুলের প্রতি তার এক গভীর মমত্ববোধেরই বহির্প্রকাশ। মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে বন্ধুত্ব একটি গভীর এবং পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক, যা উভয় প্রজাতির জন্য মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। এটি কেবল মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যেও আন্তঃপ্রজাতি বন্ধুত্ব দেখা যায়।

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বিদেশি কোম্পানি দুবাই পোর্ট (ডিপি) ওয়ার্ল্ডকে। এর আগে আগামী ৬ মাস বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বুধবার সচিবালয় নৌ-মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান নৌ-উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় নৌ-উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনায় সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৭ জুলাই। তাই আগামী ৬ মাস বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তবে দীর্ঘমেয়াদে দুবাইভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি (দুবাই পোর্ট) ওয়ার্ল্ডকে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে।

পাহাড়ি ফল শুধু সুস্বাদুই নয়, অর্গানিক খাদ্য

পাহাড়ি ফল শুধু সুস্বাদুই নয়, অর্গানিক খাদ্য

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পাহাড়ি ফল শুধু সুস্বাদুই নয়, এগুলো অর্গানিক খাদ্য। স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী খাবার। তিনি বলেন, ঢাকায় পাহাড়ি ফল মেলার এবারের আয়োজন যেন শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, বরং পাহাড়ের মাটির ঘ্রাণ, নারীর শ্রম, আর প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের এক অপূর্ব সমন্বয়। রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে পাহাড়ি ফল মেলার (১-৫ জুলাই) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজধানীর ব্যস্ত ও যান্ত্রিক জীবনে আমরা যাতে সুস্থ থাকতে পারি, এ কথাটি মাথায় রেখে আমরা অর্গানিক ফলের ভা-ার নিয়ে পাহাড়ি ফল মেলার এবারের আসরকে সাজিয়েছি।’ তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণও পাহাড়ি ফল মেলার আয়োজনে মনে প্রাণে সোচ্চার আছেন। আমরা এ পাহাড়ি ফল মেলার মধ্য দিয়ে সবাই একাকার হতে চাই। আমরা চাই রাজধানী থেকে একটি ফল ‘হাব’ তৈরি করতে, যেখানে ঢাকাবাসী সরাসরি পাহাড়ি ফলের স্বাদ পাবে।  উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পাহাড়ি নারীরা অর্গানিক ফল চাষে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। মন্ত্রণালয় তাদের জন্য নানা প্রণোদনা ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের গবেষণায় এখন পাহাড়ে বছরে দু’বার ফল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এ এক বৈপ্লবিক অগ্রগতি বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।  সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক বলেন, অন্যান্য এলাকায় ফল টিকে থাকে রাসায়নিক স্প্রের কারণে। আর পাহাড়ের ফল দ্রুত পঁচে যায়। কারণ ওগুলো প্রাকৃতিকভাবেই উৎপাদিত। তাই পাহাড়ি ফল মানবদেহে যেমন উপকারী, তেমনি পরিবেশবান্ধবও। একটি অনলাইন ফল হাব তৈরির কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। যেখানে পাহাড়ি ফলের মূল্য, মেয়াদ, পরিমাণসহ সব তথ্য থাকবে। ফলে শহরের মানুষ পাহাড়ি ফলের স্বাদ পাবেন আরও সহজে এবং কৃষকরাও পাবেন ন্যায্য মূল্য বলে জানান সচিব আব্দুল খালেক। এবারের পাহাড়ি ফল মেলায় থাকছে- পাহাড়ে নারীদের চাষকৃত অর্গানিক ফলের ভা-ার, প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা ফল- যেখানে নেই কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক স্প্রে। আড়াই কেজি ওজনের ‘ব্রুনাই কিং’ আম, চিয়াংমাই আম, রাম্বুটান, প্যাশন ফ্র্রুট, বিদেশি পেঁপে, খাঁটি পাহাড়ি আনারস, কাঁঠাল, আম ও কলা পাহাড়ি ফল মেলাকে করে তুলেছে আকর্ষণীয়। পাহাড়ি ফল মেলা উদ্বোধনী আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক।