ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০

বাংলাদেশ

৪৩ কেজি বিস্ফোরক অস্ত্রসহ আরসা কমান্ডার আটক

৪৩ কেজি বিস্ফোরক অস্ত্রসহ আরসা কমান্ডার আটক

জেলার উখিয়ায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছাসহ চারজনকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ম্যাগাজিনসহ ১টি বিদেশী পিস্তল, ২টি দেশীয়  বন্দুক ও ৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে র‌্যাব-১৫ এর কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা-বরইতলীর গহিন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়েছে।  আটকরা হচ্ছে ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাফিজ আহমেদের ছেলে আরসার শীর্ষ কমান্ডার রহিমুল্লাহ প্রকাশ মুছা, ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বদি আলমের ছেলে আরসার অন্যতম কমান্ডার শামছুল আলম প্রকাশ মাস্টার শামসু, কক্সবাজার শহরের জাফর আলমের ছেলে মো. শফিক ও আব্দুস সালামের ছেলে মো. সিরাজ। খন্দকার আল মঈন জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা বরইতলী গহিন পাহাড়ি এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মো. শফিক ও মো. সিরাজ নামে দুই বাংলাদেশিকে আটক করে র‌্যাব। পরে আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৬ কেজি ৫৩০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ বিভাগের সব খবর

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের পদত্যাগ ছাড়া উপায় নেই 

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের পদত্যাগ ছাড়া উপায় নেই 

স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ছাড়া উপায় নেই। এ ছাড়া আমরা আগেও বলেছি আগামী সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।  তিনি বলেন, নির্বাচন করতে হলে সঠিক, নিরাপদ ও তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। জনগণ ভোটাধিকার ফেরত চায়। এই দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে। আর না। এবার জনগণ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এবার তারা গণতন্ত্র মুক্ত করে ঘরে ফিরবে। মঙ্গলবার খুলনায় রোডমার্চের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়েছেন আমাদের মহাসচিব। এই সময়ের মধ্যে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ না পাঠালে ভয়াবহ অবস্থা হবে। আওয়ামী লীগ সরকার পারে শুধু মানুষ হত্যা করতে। কিছু লোককে গ্রেপ্তার করতে। আদালতে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা। অন্য কোনো মামলা নেই। সারাবছর বিএনপি নেতাকর্মীদের আদালতে হাজিরা দিতে হয়।  বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রোডমার্চ শেষে খুলনায় বিএনপির সমাবেশ শুরু হয় রাত ৮টায়। নগরীর শিববাড়ী মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যোগদান করেন রাত ৯টায়। এদিন দুপুর থেকে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হয় জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর পর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উঠলে শুরু হয় সমাবেশের মূলপর্ব।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা।  সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু ও নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, উপ কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ আলম খান বাবু, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহত্রাণ ও পূনর্বাসন সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলী, সহ পরিবার ও কল্যাণ সম্পাদক জাহানারা বেগম। সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন এবং জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি।  এর আগে বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে রোডমার্চটি মাগুরা-যশোর-নওয়াপাড়া-ফুলতলা ঘুরে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে আসে। রোডমার্চ ও সমাবেশকে ঘিরে ব্যপক প্রস্তুতি নেয় খুলনা বিএনপি। তোরণ ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে যায় পুরো শহর। গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়ক দ্বীপগুলোকে সাজানো হয় রঙিন আলোয়। জমায়েতে বিপুল সংখ্যক উপস্থিতি ঘটাতে রাতভর থানা ও ওয়ার্ড চষে বেড়িয়েছেন দলের নেতারা।  সরকারের অবস্থা হীরক রাজার মতোই হবে ॥ এর আগে ঝিনাইদহে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কোনো রাজা-রানীর রাজত্ব করার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি। দেশে আজ কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। এখন দড়ি ধরে টান মারার সময় এসেছে। বর্তমান সরকারের অবস্থা হীরক রাজার মতোই হবে।  নিজস্ব সংবাদদাতা ঝিনাইদহ থেকে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে পৌঁছাতে আমাকে আড়াই কিলোমিটার জনসমুদ্র পাড়ি দিতে হয়েছে। দেখে মনে হয়েছে আমরা প্রাক বিজয় উৎসব পালন করছি। সারা দেশের মানুষ আজ আবেগতাড়িত, উদ্বেলিত। অন্যদিকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বেদনাহত। তিনি বলেন, আমি ম্যাডামকে বলে এসেছি সারা দেশের মানুষ আজ আপনার জন্য চিন্তিত। বাংলাদেশের জন্য আপনি যা করেছেন তা মানুষ ভুলবে না। মুহুর্মুহু করতালি ও স্লোগানের মধ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে। একদফার আন্দোলন চূড়ান্ত করেই দেশের মানুষ ঘরে ফিরবে ইনশাআল্লাহ।  বিএনপির খুলনা অভিমুখে রোডমার্চকে ঘিরে কেন্দ্রীয় নেতাদের মিলন মেলায় পরিণত হয় ঝিনাইদহ। সর্বত্রই উচ্ছ্বাস আর আড়ম্বর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ঝিনাইদহ ছাড়াও কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে মঙ্গলবারের রোডমার্চকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে।  নিজস্ব সংবাদদাতা মাগুরা থেকে জানান, শেখ হাসিনা সরকারের  পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মাগুরায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ মাগুরায় পৌঁছায়। এই সময় সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা হাত নেড়ে তাদের স্বাগত জানায়। ঝিনাইদহ হয়ে রোডমার্চ মাগুরায় প্রবেশ করে। রোডমার্চে মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, ট্রাকে করে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

আসন দখলে রাখতে তীব্র প্রতিযোগিতা

আসন দখলে রাখতে তীব্র প্রতিযোগিতা

জাতীয় সংসদের ১৮১ (ঢাকা-৮) আসনটি ঢাকার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। রাজধানীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রমনা, মতিঝিল, শাহবাগ, পল্টন ও শাহজাহানপুর এই পাঁচটি থানা এই আসনের আওতাধীন। তাই প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলে তীব্র প্রতিযোগিতা। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই ঢাকা-৮ আসন সংশ্লিষ্ট এলাকায় গণসংযোগ জোরদার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন দুইজন ভিআইপি প্রার্থী। ভোটারসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যেও জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। কোনো দল বা কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হলে তারা বেশি উপকৃত  হবেন এ নিয়ে চলছে নানা হিসেব-নিকেশ।  সরেজমিন জাতীয় সংসদের ১৮১ (ঢাকা-৮) আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। এর কারণ, দেশের আন্দোলন সংগ্রাম এ এলাকা থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। এ ছাড়া বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলসহ রমনা, শাহবাগ, পল্টন ও শাহজাহানপুর নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় এলাকাটি দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি,  রাজনীতি ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বড় দুই দলই এ আসনটি নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা করছে। সরাসরি দলের প্রার্থী না হলেও জোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করার মাধ্যমে এ এলাকার আধিপত্য ধরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি।  সরেজমিন এলাকার বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ এলাকায় বড় দুই দলেরই দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। আর তাদের পক্ষে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন নিজ নিজ দলের সর্বস্তরের নেতকর্মীরা। এ এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আওয়ামী লীগের আশীর্বাদ নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে পর পর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রাশেদ খান মেনন। এর মধ্যে একবার মন্ত্রীও ছিলেন। দক্ষিণ বঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান সাবেক ডাকসু ভিপি রাশেদ খান মেনন ছাত্রজীবন থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়। দেশের রাজনীতি ও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তার অবদান রয়েছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি পর পর তিনবার তাকে পছন্দের তালিকায় রাখেন এবং নির্বাচিত করার বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।  বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ঢাকা-৮ আসন থেকে এবার বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসেবে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাছেও তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। এছাড়া শাহজাহানপুরের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে এই এলাকায় পারিবারিক ও সামাজিকভাবেও তার শক্ত অবস্থান রয়েছে। তিনি নিয়মিত এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কোনো কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস নির্বাচন করবেন।   ঢাকা-৮ আসন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী রাশেদ খান মেনন ও বিএনপি থেকে মির্জা আব্বাস প্রার্থী হলে জমজমাট নির্বাচন হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। তবে এ দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সরাসরি নির্বাচনী প্রচার শুরু না করলেও তাদের পক্ষে নিজ নিজ অনুসারী নেতাকর্মীরা নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছেন।  এ ছাড়াও ঢাকা-৮ আসন থেকে আরও যারা নির্বাচন করতে আগ্রহী তাদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দলের স্থানীয় নেতা তারিক সাঈদ, মাসুদ সেরনিয়াবাদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন স¤্রাট। জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করতে চান দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল। আরও ক’টি ছোট দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও এ এলাকা থেকে নির্বাচন করতে চুপি চুপি প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী জানায়।  ঢাকা-৮ আসন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৯, ২০ ও ২১নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১ নং ওয়ার্ডটি প্রভাবশালী বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ভাই স্থানীয় বিএনপির নেতা মির্জা আসলাম। আর বাকি আটটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের। সবগুলো ওয়ার্ডেই বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যে কারণে এসব এলাকায় এখন তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিধন করতে না পারা ও ভারি বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হওয়ায় জনমনে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে।  ঢাকা-৮ আসন থেকে এর আগে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোরবান আলী, ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে  পরপর দুইবার জাতীয় পার্টির আবদুর রহিম, ১৯৯১ সালে বিএনপির মির্জা আব্বাস, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সাবের হোসেন চৌধুরী ও ২০০১ সালে বিএনপির মির্জা আব্বাস। এর পর ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন।

গোবিন্দগঞ্জে সাত শতাধিক মানুষের চলাচলের রাস্তায় প্রভাবশালীর দেওয়া

গোবিন্দগঞ্জে সাত শতাধিক মানুষের চলাচলের রাস্তায় প্রভাবশালীর দেওয়া

গ্রামের সাত শতাধিক মানুষের বেরুনোর একমাত্র রাস্তাটি তাদেরই ছেড়ে দেওয়া জায়গার ওপর নির্মিত। কিন্তু সম্প্রতি ওই রাস্তাটির একটি বড় অংশে দেওয়াল তুলে বন্ধ করে দিয়েছেন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ অভিযোগে এবং রাস্তাটি খুলে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার গ্রামবাসী বিক্ষোভ করেছেন। ঘটনাটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের শাখাহাতি গ্রামের। শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, অনেক অনুরোধ করলেও তিনি কারও কোনো অনুরোধই গ্রাহ্য করেছেন না।       এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী মঙ্গলবার ওই স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। অর্ধসহস্রাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভ সমাবেশে অবিলম্বে রাস্তাটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য ছাইদুর রহমান ও তৌফিজুর রহমান, শাখাহাতি গ্রামের বাসিন্দা ফয়জুর রহমান, আজিজুর রহমান, হবিবর রহমান, শরিফ, মিঠু, আব্দুল খালেক প্রমুখ।

নেত্রকোনায় সাত গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ৫০

নেত্রকোনায় সাত গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ৫০

মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাত গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে স্থানীয় জনতা বাজারের পাশের কৃষি জমিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নায়েকপুর ইউনিয়নের দুটি পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই দুটি পক্ষের মধ্যে এক পক্ষে রয়েছে নোয়াগাঁও, পাঁচ আলমশ্রী, বাউশা ও তালুককানাই গ্রাম। আর অপর পক্ষে রয়েছে আলমশ্রী, দেওয়ানপাড়া ও মাখনা গ্রাম। ইতিপূর্বেও এসব গ্রামের বাসিন্দার মধ্যে ঝগড়া, মারামারি এবং মামলা-মোকদ্দমার ঘটনা ঘটেছে। বিভেদ মীমাংসার জন্য উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি এবং মাতব্বররা একাধিকবার বৈঠক করেও সুরাহা করতে পারেননি। গত কয়েকদিন যাবৎ জমি দখল, রাস্তাঘাটে ছাত্রীদের উত্ত্যক্তকরণ ও জনতাবাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরনো বিরোধ আবারও চাঙ্গা হয়।

চন্দনাইশে ২০ লাখ টাকায় তৈরি হবে কাঠের সেতু 

চন্দনাইশে ২০ লাখ টাকায় তৈরি হবে কাঠের সেতু 

চন্দনাইশ উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি ছড়ার ওপর প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে কাঠের সেতু। উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে এটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।  স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব ধোপাছড়ির শঙ্খমুখ, ক্যাম্পপাড়া, শামুকছড়ির দুই শতাধিক পরিবারের সহস্রাধিক লোক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, মুমূর্ষু রোগীর একমাত্র চলাচলের পথ ধোপাছড়ি ছড়ার মুখের বাঁশের সাঁকো। বর্ষা মৌসুমে পূর্ব ধোপাছড়িবাসীর একমাত্র চলাচলের সাঁকোটি পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বির্পযস্ত হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার ৫২ বছরে কয়েক সংসদ সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বাস্তবায়ন হয়নি।  সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হলেও ধোপাছড়িবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন কিংবা পরিবর্তন হয়নি। পূর্ব ধোপাছড়ির সঙ্গে ধোপাছড়ি বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা সদর, দোহাজারীসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচলের একমাত্র পথ ধোপাছড়ি ছড়ার ওপর বাঁশের সাঁকোটিকে পূর্ণাঙ্গ ব্রিজে রূপ দিতে তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দীর্ঘদিন থেকে দাবি দিয়ে আসছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৩ লাখ টাকার প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া হলেও উপজেলা প্রকৌশলী জুনায়েদ আবছার চৌধুরী বলেছেন, স্থানীয়ভাবে তাদের সহযোগিতায় সেতুটি নির্মাণের জন্য ব্যয় কমিয়ে ১৬ লাখ টাকা করা হয়েছে।