
ছবি: জনকণ্ঠ
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কলা চাষ। ধান চাষের তুলনায় উৎপাদন খরচ কম এবং বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় অনেক কৃষকই এখন কলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ কম সময় ও খরচে এই ফল থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি আয় করা সম্ভব।
স্থানীয় অনেক কৃষক জানান, একটি কলাগাছ থেকে একবার ফল সংগ্রহ করার পর ওই গাছের পাশ থেকে নতুন কুঁড়ি জন্মায়। সেই কুঁড়িগুলো পরবর্তী সময়ে চারা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, ফলে বারবার চারা কিনতে হয় না। এতে উৎপাদন খরচও অনেক কমে আসে।
শুধু কলা নয়, একই জমিতে শাকসবজিও চাষ করছেন অনেকে। এতে একদিকে কলা, অন্যদিকে সবজি বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভ করছেন কৃষকরা। শ্রীবরদীর আবহাওয়া ও মাটি কলা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় রোগবালাইয়ের আশঙ্কাও কম থাকে। এ কারণে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিলভরট, রানীশিমুল, লঙ্গরপাড়া, গড়পাড়া, ভেলুয়া, মাদারপুর ও পোড়াগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় কলা চাষের ব্যাপক বিস্তার ঘটছে। সাগর কলা ও সবরি কলাসহ উন্নত জাতের কলা চাষে সফল হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়ায় উৎপাদনও বেড়েছে। জৈব সার ও সঠিক সেচ ব্যবস্থার কারণে ফলের গুণগত মানও ভালো থাকছে।
শ্রীবরদীতে উৎপাদিত কলা স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন, যা তাদের আরও উৎসাহিত করছে।
বিলভরট গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করে বছরে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করবেন বলে আশা করছেন। একই জমিতে বিভিন্ন শাকসবজিও চাষ করছেন তিনি। তার ভাষ্য, “কৃষি বিভাগ যদি আরও সহায়তা করে, তাহলে আমি বড় পরিসরে কলা চাষ করতে আগ্রহী।”
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন বলেন, “আমি নিয়মিত কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকরা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন, সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি রয়েছে।”
শহীদ