ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০

বাংলাদেশ

জমি ও রাস্তা কাটার  প্রতিবাদে  মানববন্ধন

জমি ও রাস্তা কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন

মাদারীপুরে ফসলি জমি ও রাস্তা কেটে খাল খনন করায় মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী, কৃষক, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের বড় বাহাদুরপুর এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। খাল খনন বন্ধে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাসমোহন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধ বিশে^শর বাড়ৈ, পরিমল সরকার, শুকচাঁন ভক্ত, কমলেশ ভক্ত। পরিমল সরকার বলেন, ‘এখানে খাল খনন করা হলে কৃষকের জমি নষ্ট হবে। বড় বড় ভবন থেকে শুরু করে বসতঘর ভেঙে যাবে। এতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হবে এলাকাবাসীর। আমরা খাল চাই না। এই খাল খনন যদি বন্ধ করা না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।

বাংলাদেশ বিভাগের সব খবর

রূপপুরে সর্বোচ্চ সতর্কতায় ইউরেনিয়াম সংরক্ষণ

রূপপুরে সর্বোচ্চ সতর্কতায় ইউরেনিয়াম সংরক্ষণ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ‘ইউরেনিয়াম’ আসার মাধ্যমে পরমাণু যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ সতর্কতায় প্রকল্প এলাকায় সংরক্ষিত করা হয়েছে এই জ্বালানি। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এই ইউরেনিয়াম-২৩৫ জ্বালানি যাতে দেশ এবং পরিবেশের জন্য কোনো হুমকির কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেজন্য নিশ্চিত করা হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। এজন্য ইতোমধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ভিভিইআর-১২০০ শ্রেণির জেনারেশন ৩ প্লাস রিঅ্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে। অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩-৪ গুণ বেশি সার্ভিস লাইফের এই কেন্দ্রে মাত্র ১ গ্রাম ইউরেনিয়াম দিয়ে ২৪ হাজার ইউনিট (কিলোওয়াট পার আওয়ার) বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।  কী এই পারমাণবিক জ্বালানি ॥ পরমাণু বিশেষজ্ঞদের মতে, পারমাণবিক জ্বালানির মূল উপাদান হলো ক্ষুদ্র আকৃতির ইউরেনিয়াম প্যালেট। এ রকম কয়েকশ’ প্যালেট একটি নিñিদ্র ধাতব টিউবে ঢোকানো থাকে। এই ধাতব টিউবই ফুয়েল রড হিসেবে পরিচিত। অনেকগুলো ফুয়েল রড একসঙ্গে যুক্ত করে তৈরি হয় ফুয়েল অ্যাসেম্বলি। একটি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি লম্বায় সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার মিটার পর্যন্ত হয়। আর এ রকম ফুয়েল অ্যাসেম্বলি জ্বালানি হিসেবে রিঅ্যাক্টরে লোড করা হয়। বাংলাদেশে ১২শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি চুল্লিতে এমন ১৬৩ টিফুয়েল অ্যাসেম্বলি লোড করা হবে।

রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার

রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার

লাল-সবুজের ছয়টি বগি ও একটি ইঞ্জিন এনে রাখা হয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনে। আগামী ১৫ অক্টোবর নবনির্মিত রেলপথ দিয়ে প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চালুর কথা রয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। তাদের প্রত্যাশা, চলতি বছরেই বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।  সারাদেশের সঙ্গে কক্সবাজারকে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি সমৃদ্ধি হবে। সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত এই প্রকল্পের কাজ ৮৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১১ শতাংশ কাজ শেষ হবে আগামী মাসের মধ্যে। এর পরই রেলপথে স্বপ্নদুয়ার খুলবে কক্সবাজারের। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা নতুন বিলাসবহুল মিটারগেজ কোচ দিয়েই এই লাইনে যাত্রী পরিবহন করা হবে।  প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন জটিলতা, প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ শেষ হওয়ার পথে। দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম চৌধুরী জনকণ্ঠকে জানান, কাজ শেষের দিকে। আমাদের এখন ফিনিশিং কাজ চলছে। শতাংশ হিসাবে এখন কাজের অগ্রগতি বলা কঠিন। তবে ৮৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এখন পর্যন্ত। আশা করছি, আমরা ১৫ অক্টোবর ট্রায়াল রান করাব। এটি পরিকল্পনায় রয়েছে। এ জন্য পটিয়া স্টেশনে বগি ও ইঞ্জিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ট্রায়ালের আগের দিন সেগুলো দোহাজারী নিয়ে যাওয়া হবে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। চলতি বছরেই বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে আশা রাখি। ইতোমধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ২৫১টি ছোট-বড় ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক রেলওয়ে স্টেশন। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলমান রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে, যার ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। মেয়াদ বৃদ্ধি করে তা আগামী বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা চলতি বছরের অক্টোবরেই সম্পন্ন হচ্ছে। উদ্বোধনের পর প্রথমে একটি ট্রেন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে রেলওয়ে। পূর্বাঞ্চলের পক্ষ থেকে ঢাকা-কক্সবাজার লাইনে ট্রেনের সময়সূচি  তৈরি করে রেলভবনে প্রস্তাবনা আকারে পাঠানো হয়েছে। এ লাইনে তিনটি ট্রেন পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের। মূলত ট্যুরিস্ট কার ক্রয় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ধীরগতিতে হওয়ায় একাধিক ট্রেন সার্ভিসের পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে এ রেলপথটি লাভবান হবে- এ বিষয়টি মাথায় নিয়েই পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের বাণিজ্যিক ও অপারেশন বিভাগ তাদের প্রস্তাবনা দিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।

যশোরে তুলার চাষ বেড়েছে

যশোরে তুলার চাষ বেড়েছে

২০২৩-২৪ মৌসুমে যশোর জোনের আওতায় ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়েছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ২৭০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের এবং ৩ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের তুলার আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে ১১ হাজার ২২০ টন বীজ তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলার আবাদ হয়েছিল ২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তুলার চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এখন তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ড যশোর জোন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর জোনের আওতায় মোট ১৮টি তুলা উৎপাদন ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে যশোর জেলায় ১৫টি তুলা উৎপাদন ইউনিট, খুলনার চুকনগরে ১টি, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ১টি ও ঝালকাঠির গাবখানে ১টি তুলা উৎপাদন ইউনিট রয়েছে। যশোর সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামের তুলা চাষি তাইদুর রহমান জানান, চলতি মৌসুুমে তিনি চার বিঘা জমিতে এবং চৌগাছা উপজেলার বেড় গোবিন্দপুর গ্রামের ফসিয়ার রহমান জানান, তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ের নিয়মিত তদারকিতে এ অঞ্চলের কৃষকদের তুলা চাষে আরও বেশি আগ্রহী করে তুলছে বলে তারা জানান। যশোর জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম জাকির বিন আলম বলেন, কৃষকরা যাতে বেশি জমিতে তুলা চাষে আগ্রহী হন সেই লক্ষ্যে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তুলার ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করছি। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে নতুন তুলা বাজারে উঠবে। প্রতিমণ তুলা ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। তুলা উৎপাদনে প্রতি বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ খরচ হয় ১৫-২০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে তুলা উৎপাদন হয় ১৬-১৮ মণ যা ৬৮-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে বলে তিনি জানান। তুলা উন্নয়ন বোর্ড যশোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড. কামরুল হাসান জানান, এ অঞ্চলে তুলার আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। উচ্চ ফলনশীল তুলার নতুন-নতুন জাতের উদ্ভাবন ও তা থেকে বীজ তৈরি করে কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। চৌগাছা তুলা প্রশিক্ষণ ও বীজবর্ধন খামারের বৈজ্ঞানিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের তুলা বীজ উৎপাদন করার পর তা কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষকরা দাম ভালো পাওয়ায় প্রতি বছর তুলার আবাদ বাড়ছে এ অঞ্চলে। তুলা কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমেও তুলার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রধান বিচারপতিকে মোহনগঞ্জে নাগরিক সংবর্ধনা

প্রধান বিচারপতিকে মোহনগঞ্জে নাগরিক সংবর্ধনা

দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান মোহনগঞ্জে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বলেছেন, সংবিধান রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ, নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ-এই তিনটি বিভাগের দায়িত্বে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি। এই তিনটি পায়ের ওপর ভর করে রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে আছে। এই তিনটির মধ্যে যদি কোনো একটিও খারাপভাবে চলে তাহলে রাষ্ট্র ভালোভাবে চলতে পারে না। এদের প্রত্যেকের দায়িত্ব অনেক। এই তিনটির একটির দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে আমি প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছি।  আমি সকলের কাছে দোয়া চাই, যে সংবিধানের শপথ নিয়েছি, সেই সংবিধান সংরক্ষণ করব, আইন সংরক্ষণ করব। তিনি, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পিতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ এর ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতি তুলে ধরেন। শনিবার সকালে মোহনগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মোহনগঞ্জ নাগরিক কমিটির আয়োজনে সংর্বধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র ও নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. লতিফুর রহমান রতন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান। বক্তব্য রাখেন জেলা দায়রা জজ, শাজাহান কবির, জেলা প্রশাসক সাহেদ পারভেজ, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন।

ইলিশ আহরণের ভর মৌসুমে ফের সাগর উত্তাল

ইলিশ আহরণের ভর মৌসুমে ফের সাগর উত্তাল

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে অতি জোয়ারে সুন্দরবনের কটকা, কচিকালী, আলোরকোল, চরখালী, দুবলাচরসহ করমজল পর্যটন কেন্দ্র তলিয়ে গেছে। বনের অভ্যন্তরে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় নিম্ন এলাকার ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট ও চিংড়ি ঘের জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল নদ-নদীতে পানি বেড়েছে।   সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে জোয়ারে করমজলে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উঁচু টিলা তৈরি করায় বনের ভেতরে পানি আরও বেশি হলেও বন্যপ্রাণীর তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।’ মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাতসহ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলে এমন বিরূপ আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলেপল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ শনিবার বিকেলে জানান, বঙ্গোপসাগরের বড় বড় ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল বাতাসে বাইরে নামার কোনো উপায় নেই। স্বাভাবিকের চেয়ে কমপক্ষে তিন ফুট পানিতে বনের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। বনরক্ষীদের প্রায় সকলে সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান করছেন। কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুরজিত চৌধুরী জানান, সুন্দরবনের মধ্যে কটকা এলাকা তুলনামূলক উঁচু। সেখানেও জোয়ারের পানিতে অফিস চত্বর ও বন তলিয়ে গেছে। শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, সাগরে প্রচ- ঢেউ হচ্ছে। ইলিশ আহরণের শত শত ট্রলার সুন্দরবন ও উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় এখন নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।

নওগাঁয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কারাম উৎসব পালন

নওগাঁয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কারাম উৎসব পালন

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কারাম পূজা। কারাম পূজা বা ডাল পূজাও বলা হয়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষের কাছে কারাম একটি পবিত্র গাছ। এই গাছকে মঙ্গলের প্রতীকও বলে মনে করা হয়। বংশপরম্পরায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পূর্ণিমা তিথিতে কারাম পূজা পালন করে। পূজা-অর্চনা আর নাচ-গানের মধ্য দিয়ে যুগ যুগ ধরে প্রতি বছর উত্তরের সমতল ভূমির নওগাঁর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এই কারাম উৎসব পালন করে আসছেন। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার নাটশাল মাঠে কয়েকটি জেলা থেকে আগত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন উৎসবে যোগ দিয়ে তাদের নিজেদের ভাষা-সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য তুলে ধরে।

ঝিনাইদহে ব্রিজ ভেঙে দুর্ভোগ

ঝিনাইদহে ব্রিজ ভেঙে দুর্ভোগ

জেলার শৈলকুপায় জিকে সেচ প্রকল্পের ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ। দীর্ঘ ৫ মাস ব্রিজ ভেঙে থাকলেও সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার আবেদন-নিবেদন জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, জেলার শৈলকুপা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজটি দীর্ঘদিন ভেঙে আছে। চরপাড়া, সাধুহাটি, নাগপাড়া, হরিহরাসহ প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ  দৈনন্দিন প্রয়োজনে জিকে সেচ খালের ব্রিজটি পার হয়ে যেতে হয় খুলুমবাড়িয়া বাজারে। যে বাজারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্যাংক, কৃষকের পণ্য বিক্রির জন্য নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। শুধু তাই নয় কৃষকদের কৃষিকাজও ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা সজিবুল ইসলাম সজিব জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে আমাদের এলাকার মানুষদের। এতে করে দুর্ভোগের পাশাপাশি যাতায়াতে করতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। তাই দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করে দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানাচ্ছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। স্থানীয় খুলুমবাড়িয়া বাজারে ব্যবসায়ী শিহাব উদ্দিন জানান, দীর্ঘ ৫ মাস ব্রিজ ভেঙে থাকায় প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে ইচ্ছা থাকলেও নিয়মিত বাজারে আসতে না পারায় আমাদের বাজারের ব্যবসায় বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।  শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু জানান, এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে আছে বলে বাঁশের সাঁকো দিয়ে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বললেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সংস্কারের জন্য বরাদ্দপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। যদি বরাদ্দ আসে তাহলে কাজ শুরু করা সম্ভব। ষাটের দশকে শৈলকুপা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ঝিনাইদহ জেলা ছাড়াও কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ী জেলার মানুষের চলাচলের সহজ মাধ্যম এই ব্রিজটি।

ইলিশ আহরণের ভর মৌসুমে ফের সাগর উত্তাল

ইলিশ আহরণের ভর মৌসুমে ফের সাগর উত্তাল

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে অতি জোয়ারে সুন্দরবনের কটকা, কচিকালী, আলোরকোল, চরখালী, দুবলাচর-সহ করমজল পর্যটনকেন্দ্র তলিয়ে গেছে। বনের অভ্যন্তরে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় নিম্ন এলাকার ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট ও চিংড়ি ঘের জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল নদ-নদীতে পানি বেড়েছে।  এদিকে লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় ভর মৌসুমে ফের বন্ধ হয়ে গেছে ইলিশ আহরণ। প্রবল ঢেউয়ে টিকতে না পেরে ইলিশ ধরার ট্রলারগুলো সাগর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে। বর্তমানে শত শত ফিশিং ট্রলার পাথরঘাটা, মহিদপুর, নিদ্রাছখিনা ও পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মেহেরআলী, ভেদাখালী ও দুবলার বিভিন্ন খালে আশ্রয়ে রয়েছে।