মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান যুদ্ধে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকার নোম্যান্সল্যান্ডের কাছাকাছি অপেক্ষায় রয়েছে আরও তিন শতাধিক বিজিপি সদস্য। এদিকে রবিবার রাতে ৩৩ মিনিটে ২১টি মর্টারশেলের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এপারের টেকনাফ সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে। এরই মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের ঢেকুবনিয়া, রাইটক্যাম্পসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বর্তমানে আশারতলী, জামছড়ি, পানছড়ি ও লেমুছড়ি সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাশিদং অঞ্চলের অংথাব্রে ক্যাম্পসহ আরও কয়েকটি চৌকি দখলে নিতে দফায় দফায় যুদ্ধ চলছে আরাকান আর্মি। এ যুদ্ধে ব্যবহার করা গোলার শব্দে প্রায়ই কেপে উঠেছে সীমান্তের এপারের এলাকাগুলোও।