ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

হলুদ ক্ষেতে মাচায় চাল কুমড়া ও শিম চাষে সফলতা

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ১৯ জুলাই ২০২৫

হলুদ ক্ষেতে মাচায় চাল কুমড়া ও শিম চাষে সফলতা

ক্ষেতে কৃষক মোঃ আরফান আলীর সঙ্গে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম। 

কৃষক মোঃ আরফান আলী আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হলুদ প্রদর্শনী পান। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে প্রদর্শনীটি দেওয়া হয়। এ প্রদর্শনীতে একই জমিতে হলুদের সঙ্গে মাচায় চাল কুমড়া ও শিম চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন ওই কৃষক।উপজেলার ভৈরভীকোনা গ্রামে কৃষক মো. আরফান আলী একই ক্ষেতে হলুদের সঙ্গে চাল কুমড়া ও শিম ফসল চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়ে বেশ আনন্দিত। 


প্রায় ৩০ শতক জমিতে প্রথমে উন্নতজাতের হলুদ চাষ করেন ওই কৃষক। পরে মাচা তৈরী করে হলুদ গাছের ফাঁকে ফাঁকে চাল কুমড়া ও শিম চাষ করেন। চাল কুমড়া ও শিম বিক্রি চলছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ক্ষেত থেকে হলুদ সংগ্রহ করে বিক্রি করা যাবে।
সরেজমিন গেলে এসব তথ্য জানিয়ে কৃষক মো. আরফান আলী জানান, বাড়ির পাশে জমিতে ফসল করে আসছিলেন। কিন্তু ভালো ফলন পাচ্ছিলেন না। এখানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি মে মাসের শুরুতে হলুদ চাষ করেন। পরে চাষ করেন চাল কুমড়া ও শিম। 


উৎপাদিত চাল কুমড়া ও শিম বিক্রি থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা আসবে। সেই সঙ্গে তিনি আশা করছেন হলুদ বিক্রি থেকে আরও ৯০ হাজার টাকা পাবেন। এসব চাষে তার প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চাল কুমড়া প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। 
স্থানীয় কৃষক জুয়েল মিয়া, আজাদ মিয়া ও সাদেক মিয়া বলেন, চেষ্টা ও শ্রমের মাধ্যমে সফলতা আসে। এখানে কৃষক মো. আরফান আলী প্রায় ৩০ শতক জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করে সফলতার প্রমাণ দেখিয়েছেন। আমরাও নিজ নিজ জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করতে আগ্রহী। আমরা এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করেছি। 


উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হলুদ প্রদর্শনী চাষে কৃষক মো. আরফান আলীকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি জমি আবাদ করে হলুদের সঙ্গে মাচায় চাল কুমড়া ও শিম চাষ করেন। এসব ফসল চাষে তিনি বাম্পার ফলন পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, আমি কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। তারা আমার পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষে লাভবান হচ্ছেন।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চিন্ময় কর অপু বলেন, দিন দিন ফসলি জমি কমছে। তাই একই জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। এতে উপজেলাজুড়ে একই জমিতে একাধিক ফসল চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে উপজেলার ভৈরভীকোনা গ্রামে হলুদের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে চাল কুমড়া ও শিম চাষ করেন কৃষক মো. আরফান আলী। তার জমিতে চাষকৃত এসব ফসলের ভালো ফলন হয়েছে। এতে ওই কৃষক আনন্দিত।  

আঁখি

×