
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার অংশে প্রায় এক হাজার মিটার রাস্তা আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ভুঁইয়া কনস্ট্রাকশন’-এর অধীনে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উদ্যোগে ডিভাইডার নির্মাণ ও দু’পাশে তিন ফুট করে ইটের সলিং দিয়ে রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তার আগেই বিভিন্ন স্থানে সলিং উঠে গেছে ও রাস্তায় গর্ত তৈরি হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা খানাখন্দে পরিণত হচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে সড়ক ডুবে যাচ্ছে। ভারী যানবাহনের কারণে গর্তে আটকে দুর্ঘটনা ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। পথচারীদের অভিযোগ, সড়কে জমে থাকা কাদাযুক্ত পানি ছিটকে তাদের পোশাক নষ্ট হচ্ছে।
ট্রাক চালক নায়েব আলী বলেন, “এই রাস্তায় সমস্যা নতুন নয়। প্রতি বছরই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সওজ লোকজন মাঝেমধ্যে ইট-সুরকি ফেলে সমাধানের চেষ্টা করে, কিন্তু তা অস্থায়ী। ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই সব খানা-খন্দে পরিণত হয়।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, “ব্যবসায়ীরা সওজের জায়গা দখল করে ইট-বালু, জেনারেটরসহ নানা মালামাল রেখে রাখায় যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। তার উপর রাস্তা সরু, পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।” সিএনজি চালক আমির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গর্ত পেরোতে গেলে দম বন্ধ হয়ে আসে। কখন দুর্ঘটনায় পড়ি বুঝতে পারি না। বেশি বৃষ্টি হলে গর্ত দেখা যায় না, ফলে দুর্ঘটনা বাড়ে।”
দেবীদ্বার সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, “আমরা সমস্যাটি সম্পর্কে অবগত। ভারী যানবাহনের কারণে সলিং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রায় ২৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, যাতে ময়নামতি থেকে দেবীদ্বার পর্যন্ত ঢালাই ও বিটুমিনের মাধ্যমে আধুনিক ড্রেনেজসহ রাস্তা নির্মাণ করা যায়।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান জানান, “দেবীদ্বার অংশের সড়কের ভাঙাচোরা ও গর্তজনিত জনদুর্ভোগ নিয়ে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আমরা ইতিমধ্যে কথা বলেছি।”
আঁখি