
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পশ্চিমাদের হুঁশিয়ারি কিংবা কূটনৈতিক তৎপরতা মোটেই আমলে নিচ্ছে না রাশিয়া। বরং এর বিপরীতে সরাসরি পশ্চিমা বিশ্বের উপর হামলার হুমকি দিয়ে উত্তেজনার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বাধীন দেশটি।
রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে যদি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো কিংবা ইউরোপীয় মিত্ররা উসকানিমূলক কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে রাশিয়া প্রয়োজনে আগাম হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না।
তিনি বলেন, “ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনকে উন্নত অস্ত্র সরবরাহ বা অন্য কোনো সামরিক পদক্ষেপ রাশিয়াকে হামলার পথেই ঠেলে দিচ্ছে।” মেদভেদেভ এও জানান, আপাতত পশ্চিমা দেশে হামলার কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মস্কো পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন সংকট নিরসনে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম দেন। সেই সঙ্গে ইউক্রেনকে আরও উন্নত অস্ত্র সরবরাহ এবং রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখলে ভারত, চীন ও ব্রাজিলের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকিও দেন ট্রাম্প। তবে এসব হুমকি পাত্তা দিচ্ছে না রাশিয়া।
ট্রাম্পের আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে মেদভেদেভ বলেন, “যদি ইউক্রেন যুদ্ধের মূল লক্ষ্য অর্জন না হয়, তাহলে এই আল্টিমেটাম কোনো কাজে আসবে না।”
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ জার্মানি ইউক্রেনে দূরপাল্লার মার্কিন প্যাট্রিয়ট মিসাইল পাঠিয়েছে, যা কিনা মস্কোর মতো লক্ষ্যবস্তুতে সহজেই হামলা চালাতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনে ইউক্রেনে এই অস্ত্র সরবরাহ করেছে বার্লিন।
এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ মিলে ইউক্রেনকে ‘হাতিয়ার বানিয়ে’ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালাচ্ছে। মেদভেদেভ পশ্চিমা নেতাদের বক্তব্যকে ‘সম্পূর্ণ অর্থহীন’ ও ‘ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা’ হিসেবে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, “পশ্চিমাদের যেকোনো উস্কানির পূর্ণমাত্রায় জবাব দেওয়া হবে। আমরা যুদ্ধ চাইনি, তবে যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে আমাদের জবাব চূর্ণ করে দেওয়ার মতোই হবে।”
শেখ ফরিদ