ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের টানা হামলার মুখে লোহিত সাগর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারিয়েস ট্রুম্যান এবং এর সঙ্গে থাকা সমগ্র যুদ্ধজাহাজ বহর। একের পর এক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে এই রণতরী, এমনটাই জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভি।
সাম্প্রতিক হামলায় রণতরীটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, আর ধকল সামলাতে পারছে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব হামলার মধ্যে মার্কিন বাহিনী হারিয়েছে একটি মূল্যবান এফ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান, যার মূল্য প্রায় ৬ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭২৬ কোটি টাকা।
জানা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বাঁচতে বড় ধরনের ঘূর্ণি পাকাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ট্রুম্যানের একটি যুদ্ধবিমান, যা সঙ্গে সঙ্গেই সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন নাবিক।
মঙ্গলবার ইয়েমেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল মাসিরা টেলিভিশন জানায়, মার্কিন বিমানবাহী রণতরীটি যেকোনো মুহূর্তে লোহিত সাগর থেকে পুরোপুরি সরে যেতে পারে। চলতি মার্চ মাস থেকেই ইয়েমেনি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, যার অংশ হিসেবে সেখানে মোতায়েন করা হয় ইউএসএস হ্যারিয়েস ট্রুম্যান।
তবে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ধারাবাহিক আক্রমণে বর্তমানে কার্যত অকেজো হয়ে পড়েছে এই রণতরী। শুধু তাই নয়, মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত সাতটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিটির দাম প্রায় ৩ কোটি ডলার। এর আগেও, গত ডিসেম্বরে ইউএসএস গেটিসবার্গ ভুলবশত নিজেই ভূপাতিত করেছিল আরেকটি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দিন যত যাচ্ছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এর আগেও, গত বছর মার্কিন রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন একইভাবে উপসাগরীয় অঞ্চল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। এবার একই পরিণতির দিকে যাচ্ছে ইউএসএস হ্যারিয়েস ট্রুম্যান।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=o1WACKEYJ5Y