
ছবি: সংগৃহীত
কূটনৈতিক খাতে ‘গঠনমূলক সংস্কার’ আনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বড় ধরনের ছাঁটাই শুরু করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে এই প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রথম ধাপে চাকরি হারাচ্ছেন প্রায় ১ হাজার ৩৫০ জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১ হাজার ১০৭ জন সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা এবং ২৪৬ জন ফরেইন সার্ভিস অফিসার। পররাষ্ট্র দপ্তরের অভ্যন্তরীণ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দপ্তরের কার্যক্রমকে আরও সরল করে কূটনৈতিক অগ্রাধিকারে গুরুত্ব দিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ছাঁটাই হবে ধাপে ধাপে, যেখানে স্বেচ্ছা অবসানসহ প্রায় ৩ হাজার কর্মীকে বিদায় জানানো হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে মোট ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই পদক্ষেপ তারই অংশ।
ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশেষ অফিস খোলা হয়েছে, যেখানে তাদের অফিসিয়াল ব্যাজ, ল্যাপটপ, টেলিফোন ও অন্যান্য দপ্তরের সম্পদ জমা দিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির বাস্তবায়নকে এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক কর্মকর্তাদের মতে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থানকে দুর্বল করে তুলতে পারে। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার মতো প্রতিপক্ষ যখন আগ্রাসী কূটনীতির মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের অবস্থান আরও জোরদার করছে।
ভার্জিনিয়ার ডেমোক্র্যাট সিনেটর টিম কেইন কড়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “এটি এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন চীন বিশ্বজুড়ে সামরিক ও পরিবহন ঘাঁটি স্থাপন করছে, রাশিয়া সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর বর্বর হামলা চালাচ্ছে, আর মধ্যপ্রাচ্য একের পর এক সংকটে জর্জরিত। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।”
মুমু ২