ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

অর্থনীতি বিভাগের সব খবর

ভাঙচুর হামলায় বেঙ্গলের উৎপাদন সক্ষমতা কমেছে

ভাঙচুর হামলায় বেঙ্গলের উৎপাদন সক্ষমতা কমেছে

দীর্ঘ ৫৫ বছরের পুরনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় চাপের মুখে পড়েছে বৃহৎ এ শিল্প পরিবারের ৩২ হাজারের বিশাল কর্মীবাহিনী। উৎপাদন সক্ষমতা কমে যাওয়ায় বেঙ্গল গ্রুপের ২৮টি কারখানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার ৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি কমে যাওয়ায় কাক্সিক্ষত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর চাপ পড়ছে পুরো অর্থনীতিতে। জানা গেছে, বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ৭টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে- বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লি., বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লি. ইউনিট-২, বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লি., বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লি., ইউনিট-২, বেঙ্গল ফ্লেক্সিপ্যাক লি., রোমানিয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি., লিনাক্স ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ লি. উৎপাদনকারী ও স্বনামধন্য স্থানীয় এবং রপ্তানিমুখী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ডোমনা, কাশিমপুর, গাজীপুরে-এ অবস্থিত।  কিন্তু বিগত ৪ ও ৫ আগস্ট রাত এবং দিনে অজ্ঞাতনামা কতিপয় দুষ্কৃতকারী ডোমনা, কাশিমপুর, গাজীপুর-এর ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর এবং লুটতরাজসহ নানাবিধ নাশকতা এবং অগ্নিসংযোগ করে।  একপর্যায়ে আগুনে বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লি,. এবং বেঙ্গল ফ্লেক্সিপ্যাক লি., এর স্থাপনা, মেশিনারিজ, গোডাউন, গোডাউনে রক্ষিত কাঁচামাল, প্রস্তুতকৃত ও আধা-প্রস্তুতকৃত পণ্যসহ পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এছাড়া বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ এর ফার্নিচার এসেমব্লিং শেড ও দুইটি গোডাউন যাতে বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ ও বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ (ইউনিট-২) এর কাঁচামাল,  প্রস্তুতকৃত ও আধা- প্রস্তুতকৃত পণ্য রক্ষিত ছিল তা স্থাপনাসহ (গোডাউন ও শেড) সম্পূণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এছাড়াও দুষ্কৃতকারীরা একই কমপ্লেক্সে অবস্থিত অন্যান্য ইউনিটে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে। অগ্নিকা-ে ১৬টি গাড়ি এর মধ্যে ১৩টি কাভার্ড ভ্যান, ২টি মাইক্রোবাস এবং ১টি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে। দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগ করলে বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব ফায়ার হাইড্রেন্ট ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করলে দুষ্কৃতকারীরা বারংবার বাধা প্রদান করে। ফলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সাথে সাথে নিকটতস্থ ফায়ার স্টেশন-এ যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময়ে তারা আগুন নিভানোর কাজ শুরু করলেও অগ্নিকা-ের ভয়াবহতার দরুন পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কাশিমপুর ফায়ার স্টেশন থেকে আরও একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগমন করে। একত্রে তারা আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশন থেকে অরও ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিসের সকল ইউনিটের এবং বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব রেসকিউ টিমের চেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লিঃ এবং বেঙ্গল ফ্লেক্সিপ্যাক লিঃ এর স্থাপনা, মেশিনারিজ, গোডাউন, গোডাউনে রক্ষিত কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত ও আধা- প্রস্তুতকৃত পণ্যসহ পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এছাড়া বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ এর ফার্নিচার এসেমবিং শেড ও দুইটি গোডাউন যাতে  বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ ও বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ (ইউনিট-২) এর কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত ও আধা- প্রস্তুতকৃত পণ্য রক্ষিত ছিল তা স্থাপনাসহ (গোডাউন ও শেড) সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে করে শিল্প গ্রুপটির উৎপাদন সক্ষমতা কমে গিয়ে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

টানা পতনে শেয়ারবাজারের সূচক চার মাসে সর্বনিম্ন

টানা পতনে শেয়ারবাজারের সূচক চার মাসে সর্বনিম্ন

শেখ হাসিনার পতনের পর শেয়ারবাজারে ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি। উল্টো যেন আরও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে শেয়ারবাজারের সূচক। কার্যত আগের চেয়ে বাজারের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবারও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বড় দরপতন ঘটেছে। ফলে চার মাসের মাঝে সর্বনিম্ন অবস্থানে প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’। কমেছে ৩৪৮ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ  ইউনূসকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার মূল্যসূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ করেছে ডিএসই। তবে গতদিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে লেনদেন। সকালে সূচকের ঊর্ধ্বগতি দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও ডিএসইর লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৯৭ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৬০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মাঝে শরিয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ১৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৫ পয়েন্টে আর ‘ডিএস৩০’ ৩৪ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে মোট ৩৬২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩০৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৪০০ টি কোম্পানি ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ৩৪৬টির। অপরদিকে অপরিবর্তীত রয়েছে ২৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের বাজারদর। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭১ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৪৯ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৩০ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৮১টির এবং ২৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই মার্কেটের সূচক ‘ডিএসএমইএক্স’ ৪৭ দশমিক ০২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৬ পয়েন্টে। ডিএসই এসএমই প্ল্যাটফর্মে এ দিন ১৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ০৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩ টির। এসএমইতে আজ ৩ কোটি ২৫ লাখ  টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।