ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

এনবিআরে কর্মবিরতি ও শাটডাউনে রাজস্ব ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:২৬, ১৬ জুলাই ২০২৫

এনবিআরে কর্মবিরতি ও শাটডাউনে রাজস্ব ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) এক আদেশে এই কমিটি গঠন করা হয়। আইআরডির যুগ্ম-সচিব সৈয়দ রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গঠিত ৯ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটিতে অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, এনবিআর, আইআরডি, ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।

এই কমিটির কার্যপরিধি হলো গত ২৮ ও ২৯ জুন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অফিস বন্ধ থাকায় রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ, দুই মাসব্যাপী শুল্ক, ভ্যাট ও কর বিভাগের কর্মচারীদের কর্মসূচি পালনের কারণে সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কাস্টম হাউস, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তরসহ অন্য দপ্তর ও কর কার্যালয়ে রাজস্ব ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং এই কর্মসূচি পালনের কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম এবং সব স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ক্ষয়ক্ষতিসহ দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এই দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর পর থেকে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে যৌক্তিক সংস্কারে দাবিতে প্রায় দুই মাস আন্দোলন করেন। 
২৮ ও ২৯ জুন সারা দেশে কাজ বন্ধ করে দেন তারা। এরপর ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তারা। এরপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। আন্দোলন প্রত্যাহারের পর এখন পর্যন্ত তিনজন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এই পর্যন্ত ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া এনবিআরের ২ জন সদস্যসহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তাদের অধিকাংশই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

×