
আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ডিজিটাল যুগের এক অদ্ভুত কিন্তু আবেগময় ভাষার উদযাপন। ২০১৪ সালে তৈরি হওয়া এই অনানুষ্ঠানিক দিবসটি আজ প্রযুক্তি-নির্ভর বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি সাংস্কৃতিক অংশে পরিণত হয়েছে।
বিশ্ব ইমোজি দিবস প্রতি বছর ১৭ জুলাই উদযাপন করা হয়। এই তারিখটি বেছে নেওয়ার পেছনে রয়েছে এক বিশেষ কারণ—অ্যাপলের আইওএস ক্যালেন্ডার ইমোজিতে ১৭ জুলাই-ই দেখানো হয়। তাই দিনটিকে ইমোজি উদযাপনের আদর্শ তারিখ হিসেবে ধরা হয়।
বর্তমানে যোগাযোগে ইমোজির ব্যবহার শুধু বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা আদান-প্রদানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ব্যবসা, ব্র্যান্ডিং ও সাম্প্রতিক ট্রেন্ডেরও অংশ হয়ে উঠেছে। অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এই দিনে নতুন ইমোজি-সংক্রান্ত আপডেট, পণ্য বা কনটেন্ট ঘোষণা করে থাকে।
ইমোজির জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। Unicode Consortium-এর তথ্যমতে, বর্তমানে ৩,৭০০টিরও বেশি স্বীকৃত ইমোজি রয়েছে, যার মধ্যে হাসি-মুখ, চোখে জল, হৃদয়চিহ্ন, খাবার, পশুপাখি থেকে শুরু করে নানা সংস্কৃতি ও পরিচয়ের প্রতিনিধিত্ব করা হয়।
বিশ্ব ইমোজি দিবস শুধু বিনোদন বা ট্রেন্ডের বিষয় নয়—এটি আমাদের দৈনন্দিন ডিজিটাল ভাষা ও সংবেদনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। ভাষার সীমাবদ্ধতা যেখানে এসে থামে, সেখান থেকেই শুরু হয় ইমোজির গল্প।
এই দিনে অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নতুন ইমোজির প্রস্তাবনা, ডিজাইন বা সংস্করণ প্রকাশ করে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ #WorldEmojiDay ব্যবহার করে নেটিজেনরা তাদের প্রিয় ইমোজি শেয়ার করে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে।
তাই আজকের দিনে, আপনার প্রিয় ইমোজি ব্যবহার করে আপনি কেমন অনুভব করছেন তা জানিয়ে দিন বন্ধুদের—কারণ, একটি ছোট্ট ইমোজিও অনেক বড় অনুভূতি বহন করতে পারে।
Jahan