
ছবিঃ সংগৃহীত
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা বার্ধক্য ঠেকাতে নানা ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারে ব্যস্ত, সেখানে একজন ১০১ বছর বয়সী পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন সাধারণ কিছু অভ্যাসেই কীভাবে সুস্থভাবে শতায়ু হওয়া যায়। তাঁর নাম জন স্কার্ফেনবার্গ—আমেরিকার জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিদ্যায় সুপরিচিত মুখ।
নীরোগ শরীর, ঝাপসা নয় এমন দৃষ্টি এবং চনমনে মানসিকতা—এই শতবর্ষী পুষ্টিবিদের জীবনযাপন এখন ইন্টারনেট দুনিয়ায় আলোচনার বিষয়। কোনও ওষুধ, অ্যান্টি-এজিং থেরাপি বা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই তিনি এখনও সুস্থ, শক্তিশালী এবং নিয়মিত গবেষণায় যুক্ত।
জন স্কার্ফেনবার্গের দেওয়া দীর্ঘায়ু ও যৌবন ধরে রাখার ৭ সহজ উপায়—
১. ধূমপান সম্পূর্ণ পরিহার
নিকোটিন ও তামাক শরীরের কোষ ধ্বংস করে এবং বিভিন্ন অঙ্গ যেমন হার্ট, কিডনি ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ধূমপান ত্যাগ করলে দেহে জমা বিষাক্ত পদার্থ ধীরে ধীরে বেরিয়ে যায়।
২. অ্যালকোহল নয়
মদ্যপানের ফলে হৃদরোগ, লিভার সিরোসিস, ক্যানসারসহ বহু কঠিন রোগ হয়। এই অভ্যাস ত্যাগ করলে বার্ধক্যে অসুস্থতার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
৩. নিয়মিত শরীরচর্চা
জন বলেন, তিনি কখনও জিমে যাননি। তবে প্রতিদিন প্রকৃতির মাঝে হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাঁতার এবং বাগান করার মতো স্বাভাবিক শরীরচর্চা করতেন। এতে শরীর ও মন দুই-ই সুস্থ থাকে।
৪. রাতে উপোস
তিনি রাতের খাবার বাদ দিতেন, যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়, ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং প্রদাহ কমায়। এতে শরীর আরও সতেজ ও কর্মক্ষম থাকে।
৫. নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস
২০ বছর বয়সেই মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন জন। শাকসবজি, ফল, বাদাম ও বীজের ওপর নির্ভরশীল এই খাদ্যাভ্যাস তাঁকে পেশিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করেছে।
৬. চিনিকে না বলুন
জন মিষ্টিজাতীয় খাবার বা অতিরিক্ত চিনি খান না বহু বছর ধরে। এর ফলে হরমোনে ভারসাম্য বজায় থাকে এবং শরীর বার্ধক্যজনিত সমস্যায় কম আক্রান্ত হয়।
৭. জাঙ্ক ফুড একেবারে বাদ
ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ট্রান্সফ্যাট যুক্ত খাবার শরীরের জন্য বিষ। পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর খাবারই দীর্ঘ জীবন এবং তারুণ্য ধরে রাখার চাবিকাঠি বলে মনে করেন তিনি।
শেষ কথা
জন স্কার্ফেনবার্গের জীবনযাত্রা প্রমাণ করে—স্বাস্থ্যকর অভ্যাস, ইতিবাচক মানসিকতা এবং প্রাকৃতিক জীবনের চর্চাই দীর্ঘ ও সুন্দর জীবনের আসল রহস্য। শতায়ু হতে চাইলেও তার জন্য চমকপ্রদ কিছু নয়, দরকার কেবল সঠিক জীবনধারা।
ইমরান