
ছবি: সংগৃহীত
রসুন আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় বহুল ব্যবহৃত একটি মসলা ও ভেষজ উপাদান। এর গুণাগুণ শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই সীমাবদ্ধ নয়—রসুনকে স্বাস্থ্য রক্ষায়ও অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
তবে এই উপকারী উপাদানটি সবার জন্য উপকারী নয়। অনেকের জন্যই রসুন হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ। চলুন জেনে নিই, কারা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন:
উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
রসুন খেলে শরীরের রক্তচাপ হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। তাই যারা ইতিমধ্যে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের রসুন খাওয়া উচিত নয়।
রক্তশূন্যতা থাকলে রসুন নয়
যাদের শরীরে রক্তের ঘাটতি বা রক্তশূন্যতা রয়েছে, তাদের রসুন খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে বলা হয়। কারণ এতে রক্তের গঠন ও সঞ্চালনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
লিভারের জন্য হতে পারে ক্ষতিকর
রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান অনেক সময় লিভারে অতিরিক্ত টক্সিন জমার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত রসুন গ্রহণ লিভারের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে লিভারের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।
অম্লতা ও বুক জ্বালাপোড়ার রোগীদের জন্য না
যাদের প্রায়শই গ্যাস, অম্বল বা বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকে, তাদের রসুন খাওয়া কমাতে বলা হয়। রসুনে থাকা তীব্র প্রাকৃতিক উপাদান এসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
বমি ও ডায়রিয়ায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর
রসুনে রয়েছে উষ্ণ প্রভাব, যা পেট গরম ও হজমের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যারা বমি, ডায়রিয়া কিংবা অস্থিরতায় ভুগছেন, তাদের জন্য রসুন আরও বিরক্তিকর উপসর্গ তৈরি করতে পারে।
যদিও রসুন একটি প্রাকৃতিক ও উপকারী ভেষজ উপাদান, তবে এটি সবাই খেতে পারবেন না। বিশেষ করে যাদের শরীর কিছু নির্দিষ্ট সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের জন্য রসুন হতে পারে ক্ষতির কারণ। তাই রসুন খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই গ্রহণ করা উচিত।
শেখ ফরিদ