
ছবি: সংগৃহীত
সাধারণভাবে অনেকে মনে করেন ডিমে কোলেস্টেরল বেশি থাকায় তা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কিন্তু জনপ্রিয় ফরাসি বায়োকেমিস্ট এবং Glucose Revolution বইয়ের লেখক জেসি ইনশোস্পে (Jessie Inchauspé) এই ধারণা ভেঙে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমি প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি ডিম খাই... হ্যাঁ, জানি আপনি বলবেন ডিম কি ক্ষতিকর নয়? তাহলে স্পষ্ট করে বলি, ডিম অসাধারণ!”
ডিমে কী আছে?
একটি বড় সিদ্ধ ডিমে যা থাকে:
- ক্যালরি: ৭৮
- প্রোটিন: ৬ গ্রাম
- ফ্যাট: ৫ গ্রাম
এছাড়াও প্রতি ডিমে থাকে—
- ভিটামিন B12: দৈনিক চাহিদার ২৩%
- রিবোফ্লাভিন (B2): ২০%
- সেলেনিয়াম: ২৮%
- ভিটামিন A, B5, ফলেট, ফসফরাস এবং সামান্য পরিমাণে ভিটামিন D, E, B6, ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক।
অর্থাৎ, ডিম শুধু প্রোটিনের উৎস নয়, বরং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের আধার।
জেসি ইনশোস্পে জানান, ডিমের কোলেস্টেরল আসলে হৃদরোগের বড় কোনো কারণ নয়। বরং মূল সমস্যাটি হলো গ্লুকোজ ডিসরেগুলেশন। যার ফলে শরীরে তৈরি হয় ক্ষুদ্র ও ঘন LDL কণিকা এবং প্রদাহ (inflammation)। এই দুইটি বিষয়ই হৃদরোগের আসল উৎস।
তার ভাষায়, “ডিমের কোলেস্টেরল ক্ষতিকর নয়। প্রতিদিন ডিম খাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, চিনিযুক্ত খাবার কমানোই হৃদরোগ প্রতিরোধের অন্যতম মূলমন্ত্র। কারণ বেশি গ্লুকোজ শরীরে ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স তৈরি করে এবং ধীরে ধীরে হার্টের জন্য ক্ষতিকর পরিস্থিতির জন্ম দেয়।
যারা ডিম খাওয়াকে হৃদরোগের মূল সমস্যা ভাবেন, তাদের উদ্দেশে ইনশোস্পে বলছেন, “গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম নয় বরং অতিরিক্ত চিনি ও গ্লুকোজের বিশৃঙ্খলাই মূল সমস্যা। সুতরাং খাদ্যতালিকা থেকে কোলেস্টেরল নয়, চিনি বাদ দিন।”
মুমু ২