ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

কোকা-কোলা সিরাপের পরিবর্তে আখের রস ব্যবহারে রাজি: ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১৭ জুলাই ২০২৫

কোকা-কোলা সিরাপের পরিবর্তে আখের রস ব্যবহারে রাজি: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রে কোকের মধ্যে আসল আখের রস ব্যবহার করা নিয়ে কোকা-কোলার সঙ্গে কথা বলেছি আমি, তারা রাজি হয়েছে। আমি কোকাকোলা কর্তৃপক্ষের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে বুধবার তিনি একথা বলেছেন।

কোকা-কোলার এক মুখপাত্র বলেছেন, তাদের আটলান্টাভিত্তিক কোম্পানিটি শিগগিরই নতুন পণ্যের রেসিপির বিস্তারিত জানাবে। তাদের পণ্যের প্রতি ট্রাম্পের আগ্রহকে তারা সাধুবাদও জানিয়েছে, মুখপাত্র এমনটা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কোকা-কোলা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যাওয়া তাদের পণ্য সাধারণত ভুট্টার সিরাপ দিয়ে মিষ্টি বানায়, তবে কিছু কিছু দেশে তারা ঠিকই আসল আখের রস ব্যবহার করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের মেইক আমেরিকা হেলথি অ্যাগেইন (মাহা) আন্দোলন খাদ্য কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে, যেন তারা কৃত্রিম রংসহ মতো উপাদান তাদের ফর্মুলায় ব্যবহার বন্ধ করে।

এই আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। তিনি মার্কিনিরা তাদের খাবারে যে পরিমাণ চিনি খায় তার কঠোর সমালোচনা করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, এই গ্রীষ্মে যে হালনাগাদ খাদ্য নির্দেশিকা প্রকাশিত হবে সেখানে মার্কিনিদেরকে ‘প্রকৃত খাবার’ (যেটা প্রক্রিয়াজাত নয়) খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে।

দীর্ঘস্থায়ী রোগের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করতে ট্রাম্পের আহ্বানে বানানো প্যানেল মাহা কমিশনের মে মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, উচ্চ মাত্রার ফ্রুক্টোজসমৃদ্ধ ভুট্টার সিরাপ বারবার খাওয়া শিশুদের অতিরিক্ত ওজন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় ভূমিকা রাখতে পারে।

মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা খাদ্য তালিকায় সীমিত পরিমাণ চিনি রাখতে পরামর্শ দেন। তারা উচ্চ মাত্রার ফ্রুক্টোজসমৃদ্ধ ভুট্টার সিরাপ আর আখের চিনির মধ্যে মোটাদাগে বড় পার্থক্যও দেখেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমের ভুট্টা উৎপাদকরা ওয়াশিংটন ডিসির আইনপ্রণেতাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব রাখেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের নিজের রাজ্য ফ্লোরিডা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আখের চিনি উৎপাদক।

“উচ্চমাত্রার ভুট্টার সিরাপের বদলে আখের চিনির কোনো মানে হয় না। এর ফলে খাদ্য উৎপাদন খাতে বিপুল সংখ্যক মার্কিনি চাকরি হারাবে, খামারের আয় কমে যাবে, বিদেশি চিনির আমদানি বাড়বে, পুষ্টিগত দিক থেকেও কোনো লাভ নেই,” বলেছেন ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক কর্ন রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী জন বোডে।

এ প্রসঙ্গে রয়টার্স মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াইট হাউজের কাছ থেকে কোনো জবাব পায়নি।

 রয়টার্স

তাসমিম

আরো পড়ুন  

×