ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

সাহিত্য

সাহিত্য বিভাগের সব খবর

মৃত্যুভয়

মৃত্যুভয়

যদি করি আঁখিদ্বয় বন্ধ  দেখি মৃত্যুর কূপে ভাসছে তরঙ্গ  ফের খুললে চোখসজল দেখা যায় মৃত্যুর ক্ষেত ফসল। সকালে সূর্য ওঠে জীবন স্বরূপ  মৃত্যুরূপে বিকেলে ডুবে যায়  শয়নে আধা মৃত্যু  জাগরণে প্রাণ ফিরে আয়  মৃত্যুকে নিয়ে হয় গান  ঈমানে সুর লয়ে ওঠে তান আস্তিক নাস্তিক যে বা আছে সব  এইখানে এসে নেই কোনো ভেদ  নিতে হবে মৃত্যুর স্বাদ আবার যখনি আসে সিলেকশন অর নিয়তির তর্ক মৃত্যুকে করে তারা  নানা অর্থে অর্থবিভেদ সে করুক না হয় বিতর্ক  মানুষ কেবলি ধায়  মৃত্যুপানে প্রতিনিয়ত  জন্মিলে মরিতে হইবে একথা মানেনি কে কবে  তবু ভাবলে না  জীবনকে নিয়ে তবু পেলেনা ভয়  মৃত্যুর দুয়ারে যে মৃত্যু ডাকে সর্বনাশ, অনামিশা কাল কিংবা আলোর ঝলক  কাটায় পৃথিবীর জঞ্জাল

হেমিলির না বলা কথা

হেমিলির না বলা কথা

‎"নাই প্রতিবাদ, তবুও শব্দে  ‎লেগে থাকে ক্ষীণ ব্যথা,  ‎বাবা-মা, জানো কি  ‎নিঃশব্দও বলে যায় বহু কথা!?" ‎  ‎একটি গ্রামে বাস করত একটি মেয়ে, একটি কিশোরী, হেমিলি।  ৩ বোনের ছোট সে। ভাই নেই, তাই বাবা মা ছিল বেশ দুশ্চিন্তায়! যখন হেমিলির বড় দুই বোনের বিয়ে হয়ে যায়, তখন সব দায়িত্ব যেন এসে পরে হেমিলির ওপরে। হেমেলির  মা ছিল ভীষণ  অসুস্থ। তার বাবা বাসায় থাকে না কারণ তিনি ছিলেন খুব ব্যস্ত একজন মানুষ। হেমিলির কথা বলার সাথী তার মা।  ‎ ‎অযথা বাহিরে যায় না হেমিলি। সব সময় তার যে মায়ের দেখাশোনা করতে হয়। যখন সে স্কুলে যায়, তখন তার মায়ের জন্য অনেক চিন্তা হয়। কারণ তার মা অনেক অসুস্থ। বাসায় কোনো কাজের লোক রাখতে পারে না তারা। কারণ এই সমাজে বিশ্বাসী লোকেরও যে বড় অভাব।  বোনরা কখনো বেড়াতে এলে কিছুটা নির্ভার থাকতে পারে সে।  ‎ ‎ হেমেলি পড়াশোনাতে খুব একটা ভালো না, অন্তত সবাই তাই বলে! কিন্তু তার ইচ্ছা সে লিখবে। সে একজন কাজী নজরুল হতে চায়, যার লেখায় থাকবে প্রতিবাদ, ভালোবাসা  আর বিদ্রোহ! ‎ ‎কিন্তু তার বাবা চায় সে অন্য কিছু হোক! ‎ ‎হেমিলি স্কুলেও যায় কম। কারণ তার কোনো মনের মতো বন্ধু নেই, যে তাকে বুঝবে। হেমিলির  বুক ভরা হতাশা।  কিন্তু তাও তার কোন অভিযোগ নেই; কারো কাছে, কারো বিরুদ্ধে!  ‎  ‎হেমিলি তার বাবা এবং মা কে অনেক ভালোবাসে।  ‎ ‎হেমিলি নিজের লেখার প্রতি খুব মনোযোগী। যখন সে অবসর পায়, তখন সে তার লেখায় সেই সময়টুকু লাগিয়ে দেয়। ‎  ‎হেমিলি অনেক বড় একজন লেখিকা হতে চায়! ‎ ‎শুধু কি এতটুকু কথাতেই জীবন সীমাবদ্ধ?  ‎ ‎না! ‎ ‎হেমিলি গায়ের রং চাপা । এইতো, সাদা-কালোর মাঝামাঝি! হরিণের মতো চোখ তার, কিন্তু কে দেখে? এই সমাজে এখনো যে সাদা চামড়ার দামই বেশি! ‎ ‎হেমিলি এই নিয়ে অনেকের অনেক মন্তব্যের শিকার হয়। অনেক ফিসফাস তাকে নিয়ে। কিন্তু এতে তার দোষ কি? সৃষ্টিকর্তা তাকে নিজের মতো করে বানিয়েছে! দোষ হলে তার হবে! এটা সবাই বোঝে না!   ‎ ‎হেমিলি একজন কাজী নজরুল হতে চায়, যার লেখায় থাকবে প্রতিবাদ, ভালোবাসা  আর বিদ্রোহ!!

পথের দিশারী

পথের দিশারী

তুমি যদি জানতে  কীভাবে ঐ অন্ধকার কাটে সূর্য ওঠার আগে?  তাহলে তোমাকে রোজ রোজ পাওয়া যেত  ফজরের জামায়াতে। আর তুমি তা জানবে কিভাবে?  এশার পড়ে তাহাজ্জুদের অ্যালার্ম রেখে  ঘুমাও যদি  ঐ মালিকই তোমার আশায় থাকে, জানো কি? যিনি ঘোর অন্ধকারে আলোর রেখা ছাড়ে। তোমার দুটি হাত  আবছা আলোয় তুমি যেরূপ দেখো  মহান রব তার চেয়ে ভালো দেখে। তোমায় মৃদু কান্না তোমার কান অবদি না পৌঁছাতেই আর রহিমের কাছে পৌঁছে,  তুমি তা জানো কি?  তাঁর চেয়ে আপন ও কাছের কাউকে পাও কি? ভোর ফোঁটার আগে! অনুভব করো কি!  তীব্র গরমে এক চিলতে শীতলতা যা ঐ আর রহমানের ই অনুগ্রহ মাত্র।  মাগরিবের পড়ন্ত সূর্য নিয়ে তোমায় ভাবতে হয় কি?  তা আবার কাল সকালে   ঝুলিয়ে দিবে কে?  ভেবেছো কি যদি তা আর না আসে ফিরে! তবে কেমন হবে সে রাতের দীর্ঘসূত্রতা?  তবুও সেঁই মহাসত্ত্বার পবিত্রতা ঘোষণা দিবে না?  তা সত্ত্বেও তোমার মন নত হয় না বিনয়ে, অসহায়ত্বে?  তুমি ভাবো না রাতের বিশ্রাম কে করল এত শান্তিময়? কার নির্দেশে প্রাণগুলো রাতকে করেছে আশ্রয়?   আর যদি কাল থেকে কখনো দিন না আসে। ভাবো কি মহাশক্তিধর সব ভুলে যাবেন তোমার এতদিনের বিরাগভাজন!  নিমিষে তুমি ক্ষমা চাইলে পাবে তার অমিয় তৃপ্তি?   তুমি কি ডাক শুনো নি পঞ্চ দিককার?   পশ্চিমে,পুবে,মধ্যম,শুরু ও শেষ  শেষ এ! তোমাকে কানে কালা করা হয়েছিলো কি?  তুমি কি পড়তে জানতে না? পারতে না কথা বলতে?