ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

পড়ন্ত বিকালের আকাশ, সুপারি গাছের ছায়ায় নেমে আসে নীরবতা

ফারহান ইসলাম রাজু

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ১৬ জুলাই ২০২৫

পড়ন্ত বিকালের আকাশ, সুপারি গাছের ছায়ায় নেমে আসে নীরবতা

গ্রামের বিকেল মানেই একরাশ শূন্যতা, এক চিলতে বাতাস, আর কিছু অনন্ত ছায়া। দিনের শেষে যখন সূর্য ধীরে ধীরে পশ্চিমে ঢলে পড়ে, তখন প্রকৃতির রং বদলায়। আকাশে ছড়িয়ে পড়ে নরম আলো আর হালকা বিষণ্নতা। এমনই এক বিকেলের প্রতিচ্ছবি ধরা পড়েছে আমার তুলা ছবিটিতে, যেখানে গ্রামের পরিচিত সুপারি গাছগুলো নীরব পাহারাদারের মতো দাঁড়িয়ে আছে মেঘলা আকাশের নিচে।

সোজা-সরল দেহের সুপারি গাছ, মাথায় ছড়ানো পাতা আর পেছনে ধূসর মেঘের ক্যানভাস-দৃশ্যটি যেন চোখে নয়, অনুভবে গেঁথে যাওয়ার মতো।

গ্রামীণ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই সুপারি গাছ কেবল চাষাবাদ কিংবা ছায়ার জন্য নয়, আমাদের শৈশব-স্মৃতির সঙ্গীও। সন্ধ্যার আলোয় এই গাছের মাথা পেরিয়ে উঁকি দিত চাঁদ, শোনা যেত দূরের মসজিদের আজান। সেইসব অনুভূতির এক নিঃশব্দ পুনর্জন্ম যেন হয় এই ছবির প্রতিটি রঙে ও ছায়ায়।

আকাশের প্রতিটি স্তরে স্তরে মিশে আছে দিনের ক্লান্তি, রাতের আগমন এবং প্রকৃতির নিজস্ব শুদ্ধ ছন্দ।

এই বিকেল শুধু একটি সময় নয় এ এক উপলব্ধি, এক নির্জন ডাক: একটু থামো, নিশ্বাস নাও, প্রকৃতির কাছে ফেরো।

এই ছবির গাছগুলো যেন সময়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং বলে দিচ্ছে, সব কিছুর ভিড়ে আমরা যেন নিজেদেরই হারিয়ে ফেলছি। অথচ প্রকৃতি তো পাশেই আছে, নীরবে ডাকছে।

পড়ন্ত বিকেলের এই দৃশ্য শুধুই দৃশ্য নয়, এটি এক ধরনের অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি, যা যান্ত্রিক জীবনে হারিয়ে যাওয়া আত্মাকে আবারও প্রকৃতির কাছে ফিরিয়ে আনে।

 

লেখক: 

ফারহান ইসলাম রাজু, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, সিলেট

Mily

×