
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বলেছেন, গাজা নিয়ে “সুসংবাদ” রয়েছে।হোয়াইট হাউসে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান বিন জাসিম বিন জাবের আল থানির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি কালে তিনি এ কথা বলেন।
হোয়াইট হাউসে একটি বিল সাইনিং অনুষ্ঠানে নিজের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে উদ্দেশ করে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের কাছে গাজা নিয়ে কিছু সুসংবাদ আছে এবং আরও কিছু বিষয়েও ভালো খবর আছে, যেগুলো নিয়ে আমরা অনেক উচ্চপর্যায়ে কাজ করছি। আপনি (স্টিভ উইটকফ) দারুণ কাজ করেছেন”।
তবে ট্রাম্প এই মন্তব্যের বিস্তারিত জানাননি। তিনি যখন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদের সম্মানে হোয়াইট হাউসে নৈশভোজ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনই এ কথা বলেন। যদিও এই নৈশভোজটি সংবাদমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে বলে তালিকাভুক্ত, অতীতে এ ধরনের নৈশভোজে প্রেসকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এই নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এমন সময়ে, যখন গাজা উপত্যকার অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনা চলছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো গত মঙ্গলবার জানায়, দোহায় গত ২৪ ঘণ্টায় এই আলোচনায় “নাটকীয় অগ্রগতি” হয়েছে। গত ৬ জুলাই শুরু হওয়া আলোচনায় মূল লক্ষ্য হলো যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের একটি চুক্তিতে পৌঁছানো।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ এক প্রতিবেদনে জানায়, “চুক্তির পথে এখন বাধা নেই”। সেখানে আলোচনার সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে “অতিরিক্ত নমনীয়তা” প্রদর্শনের অনুমোদন দিয়েছেন, যা আলোচনার গতি বাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বড় অংশ নারী ও শিশু। এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন। খাদ্যাভাবও চরমে পৌঁছেছে।
সানজানা