ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

হত্যা মামলায় এক পরিবারের ৯ জনসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:১৮, ১৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২১:২২, ১৭ জুলাই ২০২৫

হত্যা মামলায় এক পরিবারের ৯ জনসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবিঃ সংগৃহীত

জেলার করিমগঞ্জে সৈয়দ আলী (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার মামলায় একই পরিবারের নয়জনসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। নিহত ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সকলেই জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর কাজলাহাটি গ্রামের বাসিন্দা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—আব্দুল করিমের ৫ ছেলে আব্দুর রউফ ওরফে আলফাতুন (৬৯), আজিজুল হক এলাম (৫৪), আলাউদ্দিন ওরফে আলাম মেম্বার (৫৯), কালাম মুন্সি (৬৪), আয়তুল হক মালাম (৫২)।
দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রউফ ওরফে আলফাতুনের দুই ছেলে আঙ্গুর মিয়া ওরফে আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও হায়দার আলী (৩৭)।
দণ্ডপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন ওরফে আলাম মেম্বারের দুই ছেলে রোয়েল (৩৯), রাসেল ওরফে ছোটন (৩৬) ও তার ভাই সোহেল (৪১)।
আজিজুল হকের ছেলে রেজা মিয়া ওরফে আশিক আহম্মেদ হৃদয় (৩৪), তার ভাই রিয়াদ (৩২) ও কাইয়ূমের ছেলে জহিরুল ইসলাম কালা (৪৪)।

রায় ঘোষণাকালে আলফাতুন, আজিজুল হক, রিয়াদ, আয়তুল হক, জহিরুল ইসলাম, কামাল ও আশিক আহম্মেদ হৃদয় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য ৬ জন পলাতক ছিলেন।

কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, আসামিদের সঙ্গে নিহত মুদি দোকানের ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীর জায়গা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলছিল।
ঘটনার দিন ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর বাসস্ট্যান্ড বাজারে গেলে কিরিচ, ছুরি, লাঠিসোঁটা, রড ইত্যাদি নিয়ে আসামিদের হামলায় সৈয়দ আলী গুরুতর আহত হন।
তাকে উদ্ধার করে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন পারভীন সুলতানা বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। পরে সৈয়দ আলী মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শহর আলী ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে দীর্ঘদিন সাক্ষ্য-জেরা শেষে আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন।

 
 

মারিয়া

×