ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

ব্রিটিশ স্থাপত্যের সাক্ষী: শেরপুরের শতবর্ষী জি. কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যাল

সাফিজল হক তানভীর, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, শেরপুর

প্রকাশিত: ০১:০৯, ১৮ জুলাই ২০২৫

ব্রিটিশ স্থাপত্যের সাক্ষী: শেরপুরের শতবর্ষী জি. কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যাল

ছবি: জনকণ্ঠ

শেরপুর জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘জি. কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’। ১৯১৯ সালে তৎকালীন জমিদার গোবিন্দ কুমার চৌধুরীর উদ্যোগে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যেই জমিদার গোবিন্দ কুমার নিজে এই স্কুলটির নকশা তৈরি করেন এবং ব্রিটিশ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মাণ করান।

স্কুলের মূল ভবন তিনটি উচ্চ দালানে গঠিত। প্রতিটি ভবনে রয়েছে সুপ্রশস্ত কক্ষ ও জানালা। পুরো অবকাঠামোটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে যেকোনো দিক থেকে দেখলে একই রকম আকৃতি চোখে পড়ে। ইটের কারুকাজ ও দেয়ালের গাঁথুনিতে ফুটে উঠেছে স্থাপত্যের শৈল্পিকতা।

বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে একটি পুকুর, যার ঘাট ইট দিয়ে তৈরি। পুকুরের পূর্ব পাশে লেক এবং সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা পরিবেশ বিদ্যালয়টির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রবেশপথে একটি বৃহৎ গেইট আগতদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

বিদ্যালয়ের অবস্থান জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পৌরপার্ক সংলগ্ন ও জামালপুরগামী সড়কের পাশেই। পাশেই রয়েছে জেলা স্মৃতিসৌধ, শিল্পকলা একাডেমি এবং শহীদ দারোগআলি স্টেডিয়াম। বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে এখানে প্রায় ১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে এবং ৩০ জন শিক্ষক কর্মচারী দ্বারা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালয়টি শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও সক্রিয় ভূমিকা রাখে। প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় এই স্কুলের পাশের হার শতভাগ। জি,কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শুধু শিক্ষা নয়, শেরপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

শহীদ

×