ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

বিগত বছরগুলোর তুলনায় এখনও গড় বৃষ্টিপাতের হার কম: আবহাওয়াবিদ

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ১৮ জুলাই ২০২৫

বিগত বছরগুলোর তুলনায় এখনও গড় বৃষ্টিপাতের হার কম: আবহাওয়াবিদ

ছবি: সংগৃহীত

দেশ জুড়ে চলমান বৃষ্টিপাতের ধারা আগামী আট দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে আগামী তিন দিন দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে এবং পরবর্তীতে দক্ষিণাঞ্চলেও বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাবে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, যদিও জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সাধারণত বাংলাদেশে বৃষ্টিমুখর আবহাওয়া বিরাজ করে, তবে এবছর মৌসুমী বায়ু বর্ষাকাল শুরুর অন্তত এক সপ্তাহ আগেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে দেশে হালকা থেকে মাঝারি ও কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, এই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আগামী আট দিন ধরে চলবে এবং শেষের দিনগুলোতে বৃষ্টিপাতের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এই সময়ের মধ্যে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদরা জানান, “আমরা আশা করছি যে আগামী তিন দিনও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে এই সময় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টিপাতের প্যাটার্ন পরিবর্তন হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে, এমনকি ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিও হতে পারে।”

যদিও বর্ষা বা বৃষ্টিবিলাস নিয়ে কাব্যচর্চা হয়ে থাকে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। নাগরিক জীবনে বৃষ্টির কারণে দেখা দেয় নানা ভোগান্তি— যেমন জলাবদ্ধতা, যানজট, ও চলাচলে সমস্যা।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, “বৃষ্টির কারণে প্রচণ্ড কাদা হয়। কাঁদায় ছিটকে আসা পানি কাপড় ভিজিয়ে দেয়। কোনো কোনো জায়গায় পানি জমে জলাশয়ের মতো হয়ে যায়। এই পানিগুলো আবার ড্রেনের মুখে আটকে যায়, ফলে পানি নামতে পারে না, জমে থাকে। চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়ে, অফিসে যেতে দেরি হয়।”

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে বন্যার পেছনে সরাসরি বৃষ্টির অবদান মাত্র ১৭ শতাংশ। তবে প্রতিবেশী দেশের উঁচু এলাকাগুলোতে ভারী বর্ষণ হলে বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

শেখ ফরিদ

×