ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

আবহাওয়া

আবহাওয়া বিভাগের সব খবর

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে ট্রলার,জীবন হাতে নদী পাড়ি দিচ্ছে যাত্রীরা

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে ট্রলার,জীবন হাতে নদী পাড়ি দিচ্ছে যাত্রীরা

মৌসুমী বায়ুর  প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সমুদ্রে নিন্মচাপের কারণে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি থাকায় গত তিন দিন ধরে ভোলা- লক্ষ্মীপুর নৌ রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। আজ শুক্রবার ভোর থেকে এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় কয়েক হাজার যাত্রী পড়েছেন চরম বিপাকে। সকাল থেকেই ভোলার ইলিশা লঞ্চ ঘাটে দেখা গেছে নারী-শিশু, বৃদ্ধসহ কয়েক হাজার যাত্রী অপেক্ষা করেন গন্তব্যে পৌঁছানোর আশায়। কিন্তু লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।  অনেক যাত্রী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রুটে ছোট ছোট ট্রলার এবং স্প্রিট বোটে যাত্রী পাড়াপাড় করেছে। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

আসছে বর্ষা: প্রস্তুত তো গ্রাম?

আসছে বর্ষা: প্রস্তুত তো গ্রাম?

বাংলাদেশের প্রাণগ্রন্থি হলো তার গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও কৃষিনির্ভর জীবনের মিলনস্থল এই গ্রামগুলো প্রতি বছর বর্ষায় যেমন নবজীবন লাভ করে, তেমনি মুখোমুখি হয় নানান দুর্যোগের। খোলা রাস্তা, অপরিকল্পিত বাঁধ, দুর্বল বেড়িবাঁধ, নদীভাঙন ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট সব মিলিয়ে এক মৌসুমি বিপদের নাম হয়ে দাঁড়ায় বর্ষা। বাংলাদেশের অন্তত ৩৫টি জেলার মানুষ প্রতিবছর নদীভাঙনের শিকার হন।পদ্মা, যমুনা, মেঘনাসহ বড় নদীগুলোর তীরবর্তী গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।বর্ষা শুরুর আগেই বহু পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে নিরাপদ স্থানে।পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হলেও তা অনেক এলাকাতেই পর্যাপ্ত নয়। গ্রামীণ যোগাযোগব্যবস্থা বর্ষায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে।বেশিরভাগ রাস্তা কাঁচা বা আধা-পাকা, বৃষ্টি হলে কাদায় পরিণত হয়। হাটে-পসরে যাতায়াতে বাধা তৈরি হয়। কৃষকরা ঠিকমতো ফসল বাজারে পৌঁছাতে পারেন না।অনেক এলাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না সপ্তাহের পর সপ্তাহ। বর্ষা কৃষির জন্য আশীর্বাদ হলেও অতিবৃষ্টি বা সময়ের আগে বৃষ্টি কৃষককে বিপাকে ফেলে।ধানের চারা রোপণ, আমন চাষ সবই বর্ষার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। পানি নিস্কাশনের পথ না থাকলে জমি প্লাবিত হয়ে ফসল নষ্ট হয়। অনেক এলাকায় সেচ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে জমি নষ্ট হয়ে পড়ে।গ্রামে এখনো অনেক এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা সঠিক নয়। বৃষ্টির পানি ও বন্যার কারণে টিউবওয়েল ডুবে গেলে পানিবাহিত রোগের বিস্তার ঘটে। ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ওষুধ বা চিকিৎসক সংকট সাধারণ ব্যাপার। ডায়রিয়া, টাইফয়েড, চর্মরোগ বেড়ে যায় বর্ষাকালে। বজ্রপাত এখন গ্রামীণ জীবনের বড় আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির খবর বর্ষায় প্রায়ই আসে সংবাদে। গ্রামে অনেক জায়গায় নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র বা বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা নেই। শহরের তুলনায় গ্রামগুলো বর্ষার ঝুঁকিতে পড়ে আরও বেশি, কিন্তু প্রস্তুতি অনেক কম। অথচ এই গ্রামই বাংলাদেশের উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু। তাই এখনই সময় প্রকৃত প্রস্তুতি গ্রহণের। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করা না গেলেও তার প্রভাব কমানো যায় সচেতন পরিকল্পনায়।