ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

ধেয়ে আসছে বৃষ্টিবলয় ‘নির্ঝর’, উপকূল ও পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে ঝুঁকি

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ২৮ জুন ২০২৫

ধেয়ে আসছে বৃষ্টিবলয় ‘নির্ঝর’, উপকূল ও পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ছে ঝুঁকি

আষাঢ়ের মাঝামাঝি পেরিয়ে গেলেও দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত দেখা যাচ্ছে না। অনাবৃষ্টির প্রভাবে খরার আশঙ্কা যেমন দেখা দিচ্ছে, তেমনি চামড়াজনিত অসুস্থতাও বাড়ছে শহরাঞ্চলে। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তির সম্ভাবনা তৈরি করেছে নতুন একটি মৌসুমি বৃষ্টিবলয়, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নির্ঝর’।

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, চলতি বছরের সপ্তম বৃষ্টিবলয় এবং তৃতীয় মৌসুমি বৃষ্টিবলয় হিসেবে ‘নির্ঝর’ প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে।

২৮ জুন থেকে শুরু হয়ে ৫ জুলাই পর্যন্ত এই বৃষ্টিবলয়ের প্রভাব থাকতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

বিডব্লিউওটির তথ্য অনুযায়ী, ‘নির্ঝর’ আংশিক বৃষ্টিবলয় হওয়ায় সব অঞ্চলে বৃষ্টি হবে না। দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকবে এটি। বিশেষত চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সিলেট বিভাগে মাঝারি মাত্রায় সক্রিয় থাকবে এই বলয়। ঢাকা, রংপুর, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যেতে পারে।

বৃষ্টিবলয়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বড় ধরনের ঝড়ের পূর্বাভাস নেই, তবুও উপকূলীয় অঞ্চলে লঘুচাপের প্রভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

কালবৈশাখী না থাকলেও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তাই সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া মৌসুমি বায়ুর তারতম্যের কারণে সাগর কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

সাধারণত জুন-জুলাইয়ে দেশে বৃষ্টির স্বাভাবিক প্রবাহ থাকে। কিন্তু এ বছর শুরু থেকেই বৃষ্টির ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলে চামড়াজনিত রোগ, পানির সংকট ও তাপপ্রবাহ বাড়ছে। কৃষিজমিতে ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘নির্ঝর’ বৃষ্টিবলয়টি যদি সক্রিয়ভাবে অবস্থান করে, তাহলে জনস্বাস্থ্য ও কৃষির জন্য তা আশীর্বাদ হতে পারে।

মিমিয়া

×