
ছবি: সংগৃহীত।
রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা ‘চুরি করা’ গম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো আমদানি করছে বলে অভিযোগ করেছে কিয়েভ। বিষয়টি বন্ধ করতে বারবার সতর্ক করা হলেও বাংলাদেশ তা আমলে নেয়নি দাবি করে ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) কাছে বাংলাদেশের এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানাবে।
ইউক্রেনের দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক একজন শীর্ষ কূটনীতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ২০২৪ সালে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একাধিক চিঠিতে রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে আমদানি করা দেড় লাখ টনের বেশি গম প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। ইউক্রেনের দাবি, এসব গম রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা এবং এটি যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বলে বিবেচিত।
চিঠিগুলোতে ইউক্রেনের দূতাবাস রাশিয়ার যেসব জাহাজ এসব গম বহন করেছে তাদের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, রওনা ও আগমনের তারিখসহ বিস্তারিত তথ্যও দিয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এসব গম রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
তবে ইউক্রেনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশ কখনোই রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চল থেকে বা ‘চুরি করা’ গম আমদানি করে না।
উল্লেখ্য, রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বহু কৃষিভূমি দখলে রেখেছে এবং ২০২২ সালের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর এসব অঞ্চল থেকে গমসহ কৃষিপণ্য রপ্তানি করছে। ইউক্রেন বলছে, এসব গম মূলত তাদের, যা রাশিয়া অবৈধভাবে রপ্তানি করছে।
ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তথাকথিত 'ছায়া নৌবহর' ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ৩৪২টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যেগুলো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জ্বালানি, অস্ত্র এবং শস্য পরিবহন করছে। তবে মস্কো এই নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ‘অবৈধ’ বলে নাকচ করেছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=mT0BAcanCIY&ab_channel=DailyJugantor
নুসরাত