
ভারত সব ধরনের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রৈখিক ও ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য প্রস্তুত। আমরা একসাথে ৫৪টি নদী—যেন গঙ্গা—শেয়ার করি, এবং এইসব জলের ব্যবহার এবং শেয়ারিংয়ের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই যুগ্ম নদী কমিশনের মাধ্যমে নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছি।”
তিনি আরো জানান, ভারত-বাংলাদেশ জলবণ্টন ও নদীর ব্যবহার সংক্রান্ত সমস্ত ইস্যুতে উভয় দেশ একদৃষ্টিতে এগোচ্ছে এবং “করপরিষদ ও আমন্ত্রণকারী রাজ্যের সঙ্গে নিয়মিত অভ্যন্তরীণ ও কাঠামোগত আলোচনা চলছে” ।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহু বছরের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো—বিশেষ করে সীমান্ত, পানি ও বাণিজ্য বিষয়ক জটিলতা—আজও দুই দেশের কূটনৈতিক টেবিলে বিশাল চাপ হিসেবে বিদ্যমান। যদিও গত কয়েক বছরে তিস্তা ও কুশিয়ারা নদীসহ কিছু সহযোগিতা অগ্রসর হয়েছে, তবে বড় বড় ঐতিহাসিক চুক্তিগুলোর পুনর্নবীকরণ বা নতুন চুক্তি এখনও স্থির হয়নি।
১. গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি পুনর্নবীকরণ:
-
১৯৯৬ সালের ফারাক্কা চুক্তি মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালে; সম্প্রতি তার পর্যালোচনা কমেছে কেন্দ্রীয় আলোচনার বদলি হিসেবে ।
প্রস্তাবিত সংশোধনে ভারতের চাহিদায় বন্যা, পরিবেশ, বন্দর ও বিদ্যুৎ চাহিদা মিটতে পারে—মেন্টাগুলিকেও সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে ।
২. তিস্তা নদীর সমস্যার উত্তর:
-
তিস্তা জলে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিভাজন, যেটা ৪০ বছর ধরে টানাপোড়েনের কারণ ।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টি আবার আলোচনায় তোলা হয়েছে—বিশেষ করে বর্তমানে বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থায় ।
৩. বাণিজ্য ও নিয়ন্ত্রিত আমদানি-রপ্তানি:
-
ভারত সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্য (জুট, কাপড়, সুতা) ও ওষুধ ভিসাসহ কিছু পণ্যে আমদানিতে অগ্রাধিকার ল্যান্ড রুটে বন্ধ করে দিয়েছে ।
একই সময় ভারতের চিকিৎসা ভিসা-সংকোচন আবার কূটনৈতিক ফাঁক সৃষ্টি করেছে ।
Jahan