ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

মাটির নিচে ১৫০০ বাড়ি: কেমন দেখতে পৃথিবীর একমাত্র পাতালপুরী?

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২৮ জুন ২০২৫

মাটির নিচে ১৫০০ বাড়ি: কেমন দেখতে পৃথিবীর একমাত্র পাতালপুরী?

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশেষ স্থান, যেখানে মাটির নিচেই রয়েছে ১৫০০ বাড়ি, এবং রয়েছে সব ধরনের আধুনিক সুবিধা। এটি যেন এক রূপকথার পাতালপুরী! কুবার পেডি নামক এই শহরটি পৃথিবীর একমাত্র স্থান, যেখানে মানুষ মাটির নিচে বসবাস করে এবং জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা রয়েছে।

কুবার পেডি শহরটি ওপালের খনির জন্য বিখ্যাত, যা এক ধরনের মূল্যবান রত্ন। এখানকার মরুভূমি আবহাওয়া গ্রীষ্মে অতিরিক্ত গরম এবং শীতে শীতল হয়ে পড়ে, যা বসবাসের জন্য কঠিন করে তোলে। তবে এই চ্যালেঞ্জের মুখে, মানুষ খালি পড়ে থাকা খনিগুলোকে বসতিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে, এই শহরে ১৫০০টি বাড়ি নির্মিত হয়েছে এবং এগুলোর অভ্যন্তরীণ সুবিধা একেবারে আধুনিক।

এই বাড়িগুলোর ভিতরের পরিবেশ তীব্র গরম বা শীত থেকে মুক্ত, যেখানে গ্রীষ্মকালেও এসি বা কুলারের প্রয়োজন হয় না। শীতে, বাসিন্দারা হিটার ব্যবহার করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। এখানকার জীবনধারা অত্যন্ত আকর্ষণীয়, যা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকদেরকে এখানে নিয়ে আসে। এমনকি ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হলিউড সিনেমা 'পিচ ব্ল্যাক' এর শুটিংও এখানে হয়েছিল। সিনেমার শুটিং শেষে ব্যবহৃত স্পেস শিপটি এখন পর্যটকদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণ।

এছাড়া, কুবার পেডিতে রয়েছে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড হোটেল, যেখানে পর্যটকরা এক রাত থাকতে পারেন। হোটেলের অভ্যন্তরে রয়েছে ক্লাব, পুল টেবিল, এবং আধুনিক রান্নাঘরের সুবিধাসহ অত্যাধুনিক কক্ষ। এক রাত থাকার জন্য পর্যটকদের প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।

এছাড়া, শহরের বিদ্যুতের চাহিদার ৭০% হাইব্রিড এনার্জি পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে মেটানো হয়, যা এই শহরের টেকসই উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কুবার পেডি, যেখানে মাটির নিচে বসবাস করা মানুষের জীবনযাত্রা এবং সেখানকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বিশ্বজুড়ে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

রাজু

×