জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন...। একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পরও এদের টার্গেট মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত অর্জন চিবিয়ে খেতে চায় এরা। বাঙালির যুদ্ধজয়ের গৌরব, এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ভুলিয়ে দিতে চায়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় অবদান অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখায়।
গত কদিনের কোটাবিরোধী আন্দোলনে ভয়ংকর এই সব প্রবণতা দেখা গেছে। হ্যাঁ, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরই ছিল আন্দোলনটি। তবে বেহাত হতেও সময় লাগেনি। ক্রমে স্পষ্ট হয়েছে মানুষের ভিড়ে মুখোশে ঢাকা অনেক মুখ। মুখগুলো আন্দোলনকে দিনশেষে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালিয়েছে। তাদের তা-ব, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাজাকার আলবদর আলশামসদের কথা। একাত্তরে বর্বর পাকিস্তানিদের ঔরশজাত বাহিনীগুলো অনেকটা এভাবেই বাঙালির ওপর হামলে পড়েছিল।
ইতিহাসটি কারও অজানা নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়েছিল রাজাকার আলবদর আলশামস বাহিনী। এ দেশের হয়েও পাকিস্তান রক্ষার নামে বাঙালিদের নির্মম নিষ্ঠুরভাবে এরা হত্যা করেছে। নারীদের ধর্ষণ করেছে। অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল এদের বর্বরতা। নপুংশকের দল মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস গু-ামি করলেও, স্বাধীনতার পর গর্তে লুকিয়ে যায়। এদের খুঁজে বের করতে এমনকি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হয়েছিল।