ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ভিন্নখবর

ভিন্নখবর বিভাগের সব খবর

মে মাস শুরু হলো- যে ফুল দেখে বুঝবেন

মে মাস শুরু হলো- যে ফুল দেখে বুঝবেন

না, ক্যালেন্ডারের পাতার দিকে তাকাতে হবে না। একটি ফুল দেখেই বলে দেওয়া যাবে, এখন কোন্ মাস! কি, অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই মুহূর্তে আশপাশের বাগানে বা নার্সারির দিকে একটু শুধু তাকান। সামান্য খোঁজ করুন। লাল রঙের ক্রিকেট বলের মতো গোলাকার একটি ফুল কি দেখতে পারছেন? যদি পান, নিশ্চিত বুঝবেন, মে মাস শুরু হয়ে গেছে। এই একটি ফুল কেবল মে মাসে ফোটে। একদিকে মাসের শুরু হয়, অন্যদিকে দৃশ্যমান হতে থাকে প্রিয় ফুল। এ কারণে মে ফ্লাওয়ার নাম। মে ফ্লাওয়ার মনে করিয়ে দেয় মাসটি এখন মে।  কাছাকাছি বা একইসময়ে আরও অনেক জাতের ফুলে ফোটে। এবারও ফুটেছে। কৃষ্ণচূড়ায় ক্রমে রঙিন হয়ে উঠছে রাজধানী। মৃদু হাওয়ায় দুলছে সোনালু ফুলের ঝুলন্ত মঞ্জরি। কিন্তু এ দুটো ফুলই মে মাস শুরুর আগে থেকে ফুটছে। মাস শেষ হওয়ার পরও পাওয়া যাবে। মে ফ্লাওয়ার মাসের শেষে পাওয়া যায় না বললেই চলে। মাস শুরুর আগেও পাওয়া যায় না।

তালাবদ্ধ ওটিতে প্রাণের  সঞ্চার, আট মাসে  ৩২৫ অস্ত্রোপচার

তালাবদ্ধ ওটিতে প্রাণের  সঞ্চার, আট মাসে  ৩২৫ অস্ত্রোপচার

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা অস্ত্রোপচার কক্ষে আলোর ঝলকানি আর চিকিৎসক ও রোগীর পদচারণায় পাল্টে গেছে জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর সার্বিক চিত্র। রুটিন মেনেই এখন প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হচ্ছে অস্ত্রোপচার। এসব অস্ত্রোপচার কক্ষের (ওটি) নানা সংকট বিদ্যমান থাকার পরও গত নয় মাস ধরে চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর আধুনিক হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষ কর্মচঞ্চল থাকছে। অথচ এসব অস্ত্রোপচার কক্ষ (ওটি) পাঁচ বছর ধরে ছিল তালাবদ্ধ। কোনোটি নয় বছর। আবার কোনোটি কখনো খোলাই হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত অস্ত্রোপচার কক্ষ বছরের পর বছর এভাবে বন্ধ পড়ে থাকায় অবহেলা আর অযত্বে  মূল্যবান যন্ত্রপাতিও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমনও দুর্দশায় তালাবদ্ধ অস্ত্রোপচার কক্ষগুলোকে সচল ও কর্মচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে এগিয়ে আসেন বর্তমান সিভিল সার্জন ডাক্তার মোস্তফা জামান চৌধুরী। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের এক দল চিকিৎসককে নিয়ে টিম গঠন করে শুরু করেন অস্ত্রোপচার। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা রোগীরা বিনামূল্যে এই সেবা নিতে পারছেন। অথচ কিছুদিন আগেও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে গ্রামের গরিব রোগীদের সিজার ছাড়াও ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করাতে হতো।   তালাবদ্ধ ওটিতে প্রাণের সঞ্চার ॥ নিউরো সার্জারির চিকিৎসক ডাক্তার মোস্তফা জামান চৌধুরী পঞ্চগড়ে সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন গত বছর ১৩ জুলাইয়ে। এই জেলায় এসে তিনি জানতে পারেন, ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচার কক্ষ উদ্বোধন করা হয়। পরদিনই অবেদনবিদ বদলি হন। ফলে নতুন অস্ত্রোপচার কক্ষটি বন্ধ হয়ে যায়। আটোয়ারীর মতো বোদা, তেঁতুলিয়া ও দেবীগঞ্জের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অস্ত্রোপচার কক্ষ বন্ধ ছিল। তেঁতুলিয়ায় নয় বছর, বোদায় পাঁচ বছর ও দেবীগঞ্জে দুই বছর ধরে কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। এই চিত্র নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু কারও কোনো টনক নড়েনি। জেলার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল।   স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অস্ত্রোপচার কক্ষের এই বেহাল অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের অবেদনবিদসহ অন্য চিকিৎসকদের নিয়ে জরুরি সভা করেন সিভিল সার্জন। সকলের কাছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অস্ত্রোপচার (ওটি) চালুর বিষয়ে মতামত জানতে চান। সবাই ইতিবাচক সাড়া দিলে ওই বছরের আগস্টের মাঝামাঝি দেবীগঞ্জে প্রথম অস্ত্রোপচার চালু করা হয়। এর পর আর থেমে থাকেনি। একে একে বোদা, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তালাবদ্ধ অস্ত্রোপচার কক্ষে প্রাণের সঞ্চার শুরু হয়।  সিভিল সার্জন যা বলেন ॥ পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডাক্তার মোস্তফা জামান চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, সিভিল সার্জন হিসেবে এ জেলায় যোগদানের পর জানতে পারি কোথাও চিকিৎসক সংকট, কোথাও জনবল সংকট আর কোথাও সরঞ্জাম সংকট। আবার অনেক জায়গায় অস্ত্রোপচার কক্ষের যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দি। সদর হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষ (ওটি) চালু থাকলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর ওটি রুম তালাবদ্ধ। এর পর নিজ উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত অনেক নার্সকে সদর হাসপাতালের ওটিতে এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি।  চিকিৎসক সংকটসহ দক্ষ জনবলের অভাবে প্রথমে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছিল। কিন্তু সব চিকিৎসক সহায়তা করায় সেই সংকটও ধিরে ধিরে কেটে যায়। এখন সবার আন্তরিকতা আর দক্ষতায় রুটিন মেনে নিয়মিত অস্ত্রোপচার চলছে। তিনি বলেন, প্রতি শনি, রবি ও সোমবার বোদায়, সোমবার দেবীগঞ্জে, মঙ্গলবার তেঁতুলিয়া ও বুধবার আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। তার নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার টিমে একজন অবেদনবিদ ও পঞ্চগড় থেকে চারজন চিকিৎসক রয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিসকগণ তাদের সহায়তা করেন।  নিত্যদিন সাত সকালে ছুটে চলে যে গাড়ি ॥ সিভিল সার্জনের গাড়িটি প্রতি সপ্তাহের শনি থেকে বুধবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছুটে চলে। নিত্যদিন সাত সকালে ছুটে চলা এই গাড়িতে সিভিল সার্জনের নের্তৃত্বে গঠিত অস্ত্রোপচার টিম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে অস্ত্রোপচার করছেন। সিভিল সার্জন  নিজেই রোগীর অস্ত্রোপচার করেন। তাকে সহায়তা করেন সদর হাসপাতালের অবেদনবিদ (কনসালট্যান্ট অ্যানেসথেসিয়া) ডাক্তার মনসুর আলম, ডাক্তার সিরাজউদ্দৌলা পলিন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি অ্যান্ড অব্) ডাক্তার আফিফা জিন্নাত, পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার আবুল কাশেম, আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (গাইনি অ্যান্ড অবস) ডাক্তার নাহিদ পারভীন, বোদা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের আবেদনবিদ ডাক্তার শাহ গোলাম তারেক রাফসানসহ অন্য চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সরা। গরিবের ডাক্তার  খ্যাতি ॥ ডাক্তার মোস্তফা জামান চৌধুরী পঞ্চগড়ে সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদানের পূর্বে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে যোগ দেন।

ক্যাম্পাসের প্রথম বাংলা চ্যানেল জয়ী 

ক্যাম্পাসের প্রথম বাংলা চ্যানেল জয়ী 

ম্যারাথন দৌড়ে সাফল্য অর্জনের পর কোনো এক অবসরে মুসা ভাবতে থাকেন নতুন কি করা যেতে পারে। হঠাৎ তার মাথায় এলো সাঁতারের কথা। সাঁতার নিয়ে বেশ কিছু ভিডিও দেখে ও রিসার্চ করে তিনি এক অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন অবধি কেউ বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়নি। তখন তিনি বেশ ব্যথিত হলেন। হঠাৎ, তিনি ভাবলেন সাঁতার কেটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া গেলে মন্দ হয় না। যেই কথা, সেই কাজ। ঢাকা থেকে সাঁতারের সরঞ্জাম কিনে নেমে পড়লেন অনুশীলনে। তীব্র শীতে যখন মানুষ কম্বলের মধ্য থেকে বের হয় না, সেখানে তিনি নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে সাঁতার অনুশীলন করেছেন। শুরুতে, অল্প অনুশীলনে তিনি ক্লান্ত হয়ে যেতেন। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কঠিন-কঠোর ও নিয়মতান্ত্রিক অনুশীলনের ফলে, তিনি পানিতে একটানা তিন থেকে চার ঘণ্টা সাঁতার কাটতে সক্ষম হন। মুসার বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রস্তুতি শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে। সেখানে পানি স্বল্পতার কারণে তাকে বিকল্প ব্যবস্থার সন্ধানে বের হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগারো কিলোমিটার দূরে পিয়ারপুরের কুমার নদে তিনি নিয়মিত সাঁতার অনুশীলন করেছেন। পুকুর ও নদের পানি বিশুদ্ধ না হওয়ায় তাকে চুলকানিসহ এলার্জিজনিত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। দমে যাননি। অনুশীলন চালিয়ে গেছেন। বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতা তাকে আটকে রাখতে পারেনি।  একসময়  মুসা বুঝতে পারেন স্পন্সর ম্যানেজ করতে না পারলে তার ইচ্ছা অঙ্কুরেই বিনাশ হবে। অনিশ্চয়তার কালো অন্ধকার যেন তাকে ঘিরে ধরেছে। কখনোবা বাস্তবতা তাকে চোখ রাঙিয়ে ভয় দেখিয়েছে। আবার, কখনোবা ঘুমের মাঝে সেই অন্ধকার তাকে কু-লী পাকিয়ে দুঃস্বপ্নের রাজ্যে নিয়ে গেছে। তবে তিনি ভয় পাননি। ঘুম ভাঙলে তিনি প্রোপোজাল লেটার নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন দিগি¦দিক। মুসা থামেননি। তিনি ছুটেছেন। দৌড়েছেন। হন্নে হয়ে খুঁজেছেন। দৌড়েছেন স্বপ্ন পূরণের পথে। আসলেই, স্বপ্ন তো সেটাই যা মানুষ জাগ্রত অবস্থায় দেখে। স্বপ্ন তো সেটাই যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না। বাস্তবতা তাকে রক্তচক্ষু দেখালেও, সঠিক সময়ে দিয়েছে উপর্যুক্ত উপহার। অবশেষে, তিনি স্পন্সর পেয়েছেন। এবার মুসাকে আটকায় কে!  মুসা অদম্য সাহস ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে বাড়ি থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। সেখানে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে যায়। একটু বিশ্রাম নিয়ে মুসা নেমে পড়েন সাগরের জলে। এটাই তার প্রথম সাগরে সাঁতার কাটা। দুপুর গড়িয়ে যত বিকাল হয়, সমুদ্র তত উত্তাল হতে থাকে। বড় বড় ঢেউ কখনোবা তাকে অনেক উপরে তুলে নিয়ে যায়। আবার, কখনোবা তাকে আছড়ে ফেলে দিচ্ছে নিচের দিকে। ঢেউয়ের এই ছন্দ তাকে মাতিয়ে তুললেও, সমুদ্রের ভয়ংকর গর্জন তার মনে ভীতির সঞ্চার করে। প্রতিযোগিতা শুরুর আগ মুহূর্তে মুসার অনুভূতি কেমন ছিল তা জানতে চাইলে মুসা উত্তর দেন যে তিনি বেশ নার্ভাস ছিলেন। যাদের সঙ্গে তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে কেউ সাঁতারের প্রশিক্ষক। কেউবা দশ থেকে বারো বার বাংলা চ্যানেল জয়ী। আর নবীনদের মধ্যে অনেকের প্রস্তুতি তার থেকে ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুইমিং পুলের অনুপস্থিতি ও স্পন্সরের পেছনে  ছোটাছুটি না করতে হলে, তার প্রস্তুতি আরও ভালো হতো। তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো সবার শেষে গন্তব্যে পৌঁছাবেন এবং সবাই তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকবে। তবে কখনো হাল ছাড়ার কথা তিনি কল্পনাও করেননি।  উত্তাল সাগরে সাঁতার কাটার সব থেকে বড় প্রতিকূলতা সম্পর্কে মুসা বলেন, ‘পানি না খেয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোই হচ্ছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। লবণাক্ত পানি শরীরে একবার প্রবেশ করলে, বমি হয়ে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এতে দীর্ঘ সময় সাগরে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পরে।’ মুসার কথা শুনে মনে পড়ে যায় স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের ‘দ্য রাইম অব দ্য এনসিয়েন্ট মেরিনার’ সেই তৃষ্ণার্ত নাবিকের কথা। নাবিকের চারদিকে অথৈ পানি কিন্তু পান করার মতো সুপেয় একফোঁটা পানি কোথাও নেই। দীর্ঘ সাঁতারে মুসা পানি খেয়েছিল কি-না জিজ্ঞেস করলে মুচকি হেসে মুসা বলেন, ‘চায়ের কাপের এক কাপ পরিমাণ পানি খেয়েছি।’ রসিকতা করে তিনি আরও বলেন, ‘সেই পানি এখনো তার পেটে আছে।’ গন্তব্যে পৌঁছানোর মাত্র এক শ’ মিটার দূরে মুসা ভয়ানক এক বিপদে পড়েন। তিনি লক্ষ্য করেন সাগরের ঢেউ তার বুকের বরাবর পায়ের নিচ দিয়ে না গিয়ে, হাতের নিচ দিয়ে যাচ্ছে। মুসা অবাক হলেন। মাথা উপরে তুলে তিনি দেখলেন স্রোত তাকে উত্তর বিচে না নিয়ে ঠেলে দিচ্ছে পূর্ব বিচে। মিয়ানমারের দিকে। আর সেখানকার স্রোত মোকাবিলা করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এখানে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। নেটওয়ার্কের বাইরে নাটকটি যে সত্য দুর্ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত তা এখানেই ঘটেছিল। মুসা খানিকটা ঘাবড়ে গেলেন। তার সঙ্গে থাকা রেসকিউ টিম নৌকার ইঞ্জিন চালু করে সঠিক পথে ফিরলেও, দিক পরিবর্তন করতে পারেননি মুসা। যতবার তিনি নৌকাকে অনুসরণ করতে গিয়েছেন, ততবার তিনি পিছিয়ে পড়েছেন। তবে কি তীরে এসে তরী ডুবে যাবে? নৌকাচালক বারবার তাকে অনুপ্রেরণা দিতে চিৎকার করে বলেন, ‘আর একটু এগোলেই গন্তব্য।’  সমুদ্র জয় করে বাড়িতে ফিরলে মুসার বাবা তাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করে, ‘কি খবর, সমুদ্র বিজয়ী!’ বাবার চোখে তিনি একজন সমুদ্র বিজয়ী। একই সঙ্গে, তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বাংলা চ্যানেল জয়ী প্রথম শিক্ষার্থী। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে মুসা বলেন, ‘নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার সামনে তুলে ধরতে পেরেছি এটাই আমার অর্জন। এ যাত্রায় অনেকের ভালোবাসা পেয়েছি এটাও কি কম পাওয়া! পুকুর, নদী, সাগর তো হলো  এবার লক্ষ্য এভারেস্ট জয়ের।’

চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি ছাত্র পরিষদ নির্বাচন

চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি ছাত্র পরিষদ নির্বাচন

বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি (সিএ) ছাত্র পরিষদের ঢাকা রিজিওনাল কমিটি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মেহেদী হাসান (শাহ্)।  গত ২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সিএ ছাত্র পরিষদের অফিস (৩৩ তোপখানা রোড পল্টন, মেহেরবা প্লাজা) এ প্রেসিডেন্ট মো. রেজাউল আজাদ, জেনারেল সেক্রেটারি মো. হেদায়েতুল ইসলাম, ফরমেশন কমিটির চেয়ারম্যান মো. শামসুজ্জামান আক্তারের উপস্থিতিতে এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে মেম্বার সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হয়েছেন হাসিবুল হাসান, কো-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইকবাল হোসাইন, মো. মোখলেসুর রহমান ও মো. রাকিব চৌধুরী। নির্বাচনে মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাইদা জাহিন আশা, মো. শামিম আহমেদ, মো. আলমাস, প্রতীক রয়, মো. জালাল উদ্দিন ভূঁইয়া এবং মো. শাহবুদ্দিন মীর। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সিএ ছাত্র পরিষদের অধীনে ঢাকা আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে মো. মেহেদী হাসান (শাহ্) আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান (শাহ্) বলেন সিএ ছাত্র/ছাত্রীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সিএ ছাত্র পরিষদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মো. রেজাউল আজাদের পরামর্শে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাব।