ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০

ভিন্নখবর

তিস্তায় বৈরালি, যমুনায়  শৈরালি, রংপুরে  পরিচয় রুপালি

তিস্তায় বৈরালি, যমুনায় শৈরালি, রংপুরে পরিচয় রুপালি

বৈরালি মাছ রংপুর অঞ্চলে রুপালি মাছ হিসেবে পরিচিত। তিস্তা নদীর অববাহিকার জেলা নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর ও গাইবান্ধায় পাওয়া যায় এ মাছ। এক সময় বৈরালি মাছ দিয়ে এ অঞ্চলে মাছের চাহিদা অনেকটাই মিটত। তবে বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে উত্তরের ঐতিহ্য সুস্বাদু এই মাছটি। তবে ইলিশ মাছ রক্ষা ও প্রজনন বৃদ্ধিতে সরকারি উদ্যোগ থাকলেও বৈরালি মাছ রক্ষা ও প্রজনন বৃদ্ধিতে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাস জেলেরা বৈরালি মাছের পোনা শিকার থেকে বিরত থাকলে মাছ রক্ষা ও প্রজনন বাড়ানো সম্ভব। সেই সঙ্গে অন্যান্য মাছের প্রজননও বৃদ্ধি পেত বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ভিন্নখবর বিভাগের সব খবর

মনু নদীর দুই তীরে  উৎসাহী জনতার  বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

মনু নদীর দুই তীরে উৎসাহী জনতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ। এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে মৌলভীবাজারের মনু নদীর দুই তীরে জনস্রোতে পরিণত হয়। নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতীসহ নানা বয়সের মানুষের সমাগমে মনু নদীর দুই তীর কানায় কানায় ভরে ওঠে। মনু নদীর চাঁদনীঘাট ব্রিজের সামনে থেকে বাইচ শুরু হয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার অতিক্রম করে বড়হাটে গিয়ে শেষ হয়। নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে নদীর দুই পাড়ের দর্শকরা ঢাক, ঢোল ও শংখের ধ্বনিতে হই হল্লা এবং চিৎকার দিয়ে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দেয়। আবহমান গ্রাম-বাংলার এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় মাঝিমাল্লাদের প্রস্তুতির পাশাপাশি নদীর দুই তীরে দুপুর থেকেই জড়ো হতে থাকেন দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী।

শিশুরা ছাপা বই পড়ে কল্পনাশক্তি বাড়িয়ে ​​​​​​​খুলছে অন্তরের চোখ

শিশুরা ছাপা বই পড়ে কল্পনাশক্তি বাড়িয়ে ​​​​​​​খুলছে অন্তরের চোখ

বগুড়া নগরীতে শিক্ষার্থীরা পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি কল্পনাশক্তি বাড়াতে লাইব্রেরি ও ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের ছাপা বই পড়ছে। নগরীতে হালে বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের বিশেষায়িত গাড়ি ঘুরছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। কখনো স্কুল ছুটির পর আশপাশে থাকে। শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে গাড়ি কর্তৃপক্ষ সার্বিক সহযোগিতা দেয়। সদস্য হলে বই বাড়িতে নিয়ে পড়া শেষ হলে ফেরত দেয়। বগুড়া নগরীতে প্রাচীন উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি ছাড়া অন্য লাইব্রেরির পাঠক যেখানে খুব কম সেখানে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির শিশু কিশোর পাঠক বেড়েছে। তাদের একজন রুমানা ইয়াসমিন বলল ‘আমাদের পছন্দের বই পড়ি। গাড়িতে এবং সদস্য হলে বাড়িতে নিয়ে পড়া যায়।’ আরেকজন শিশু পাঠক মেহজাবিন বলল, তাদের মা-বাবা বই পড়ার এই অভ্যাসে খুব খুশি। অভিভাবকগণ বেশি করে বই পড়ার উৎসাহ দেন। 

আনন্দময়ীর আগমনের অপেক্ষা, শারদ উৎসবের হাতছানি 

আনন্দময়ীর আগমনের অপেক্ষা, শারদ উৎসবের হাতছানি 

শরৎ অনেক আগেই এসেছে। এখন অপেক্ষা শারদ উৎসবের। না, খুব বেশি দিনের অপেক্ষা নয়। আর মাত্র কদিন পর বর্ণিল উদ্যাপন শুরু হয়ে যাবে। শারদীয় দুর্গোৎসবে মাতবে গোটা দেশ। বাইরেরটা দেখে অত বোঝা যাচ্ছে না বটে। ভেতরে ভেতরে চলছে জোর প্রস্তুতি।  পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠী। উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা এদিন শুরু হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে ঠাকুর দেখা। দলবেঁধে একেক দিন একেক এলাকার পূজা দেখতে যাবেন ভক্তরা। ধর্মীয় আচারের পাশাপাশি ম-পগুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সংগীত নৃত্যসহ নানা পরিবেশনায় ছড়িয়ে পড়বে উৎসবের রং। ম-পের বাইরে ফুটপাতে ফাঁকা জায়গায় ছোট খাটো মেলার আয়োজন করা হবে।

ছিল অমূল্য রতন, আজ  ব্যবহারে পড়েছে ভাটা  কদরও কমে গেছে

ছিল অমূল্য রতন, আজ ব্যবহারে পড়েছে ভাটা কদরও কমে গেছে

মাছ ধরা, ঘর সাজানো ও গেরস্থালির নানা কাজে বাঁশের তৈরি সামগ্রী ব্যবহারে ভাটা পড়েছে। কদরও অনেক কমেছে। দ্রুত অতীত হয়ে যাচ্ছে। প্রবীণরা বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বাঙালির জীবনে বাঁশের তৈরি সামগ্রী ছিল অমূল্য রতন। দূর অতীতে প্রতিটি বাড়ির গৃহস্থালি কাজে বাঁশের তৈরি সামগ্রী না হলেই নয়। ঘর সাজানো হতো বাঁশের তৈরি জিনিস দিয়ে। এ জন্য গ্রামে ছিল বাঁশ বাগান (স্থানীয় কথায় বাঁশের ঝাড়)। এই বাগান থেকে বাঁশ কেটে গ্রামের কৃষক তৈরি করত নানা ধরনের জিনিস। তাদের কেউ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পণ্য বিপণন করত। বাঁশের তৈরি সামগ্রী ছিল গ্রামীণ জীবনের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। যা গ্রামের প্রতিটি বাড়ির গৃহবধূ ও নারীর কাছে ছিল গৃহস্থালি অলঙ্কার। পুরুষদের কাছে বাঁশের তৈরি মাছ ধরার সামগ্রী ছিল পৌরুষ উপকরণ।

মানবতার বার্তাবহ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘ব্রোকেন হাউস’

মানবতার বার্তাবহ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘ব্রোকেন হাউস’

সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল এক চিত্রশিল্পী ফাহমিদা খাতুন। মূলত রং-তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তোলেন ক্যানভাস। জল রং ও অ্যাক্রেলিক মাধ্যমের আশ্রয়ে সাজান আপন চিত্রপট। বৈচিত্র্যের অনুসন্ধানী এই চিত্রকর এবার ধাবিত হয়েছেন শিল্পের ভিন্ন পথে। সেই সুবাদে ক্যানভাসের পরিবর্তে সিরামিক মাধ্যমের আশ্রয়ে গড়েছেন ভাস্কর্য। চীনা মাটি, সাদা মাটি ও টেরাকোটা মাধ্যমের সম্মিলনে মেলে ধরেছেন বিবিধ বিষয়। তবে সেই বহুমুখী বিষয়ের মাঝে বিশেষভাবে উচ্চকিত হয়েছে মানবতার বারতা। গৃহহারা মানুষের বেদনার্ত অনুভবকে ধারণ করেছেন শিল্পে। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের দামামায় তছনছ হয়ে যাওয়া বাড়িঘরের গৃহহীন জনগোষ্ঠীর যাতনাকে উন্মোচিত করেছেন শিল্পিত পথরেখায়। সে সব শিল্পকর্ম নিয়ে ধানমন্ডির সফিউদ্দীন শিল্পালয়ে চলছে প্রদর্শনী।  ফাহমিদার নবমতম এই একক শিল্পায়োজনের শিরোনাম ব্রোকেন হাউস বা ভাঙা ঘর।

কাছারি ও অন্দরমহলে  স্টাকো নকশা,  সংস্কারের অভাবে জীর্ণ

কাছারি ও অন্দরমহলে স্টাকো নকশা, সংস্কারের অভাবে জীর্ণ

প্রাচীনকালের অনেক সভ্যতাই বিলীন হয়ে গেছে। সেগুলোর ছিল নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য। সেই সকল সভ্যতার বুকে গড়ে উঠেছে আধুনিক সভ্যতার নানা কীর্তি। সপ্তদশ শতকে আমাদের দেশের জমিদারি প্রথা চালু হলে বিভিন্ন এলাকার জমিদাররা গড়ে তোলেন নানা দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যখচিত উঁচু উঁচু অট্টালিকা। এখানে তারা বসবাস এবং শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পর্যালোচনার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটি কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির পঞ্চম রিপোর্টে বলা হয়- ‘সহজ ভাষায় বলতে গেলে জমিদারদের বিশেষণ হলো নির্বোধ, উচ্ছৃঙ্খল অমিতব্যয়ী, স্বেচ্ছাচারী, ডাকাতপোষক ও নিষ্ঠুর।’