
ছবিঃ সংগৃহীত
রাশিয়া নতুন একটি যুদ্ধবিমান তৈরি করছে — MiG-41, যা হতে পারে ভবিষ্যতের আকাশ দখলের অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র। এই যুদ্ধবিমানটি পুরনো MiG-31-এর জায়গায় আসছে এবং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেলথ যুদ্ধবিমান F-35-কে মোকাবিলা করতে সক্ষম বলে দাবি করছে রাশিয়া।
অবিশ্বাস্য গতি: Mach 4+
MiG-41-এর গতি হতে পারে Mach 4-এর বেশি, অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় ৪,৯০০ কিলোমিটার! এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির যুদ্ধবিমানগুলোর একটি হতে পারে। এই গতিতে এটি সহজেই NATO’র যেকোনো ফাইটার জেটকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে।
অ্যান্টি-স্যাটেলাইট অস্ত্র বহনের ক্ষমতা
এই বিমানে এমন মিসাইল থাকবে যা কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইট ধ্বংস করতে পারে। এর ফলে শত্রু দেশের কমিউনিকেশন এবং নজরদারি ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
স্টেলথ প্রযুক্তি: রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা
MiG-41-এর নকশা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি রাডারে ধরা না পড়ে। রাশিয়ার দাবি, এটি মার্কিন F-35-এর থেকেও উন্নত স্টেলথ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
পারমাণবিক হামলার ক্ষমতা
রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই যুদ্ধবিমান পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতেও সক্ষম হতে পারে। বিশেষ করে আর্কটিক অঞ্চলে এটি একটি কৌশলগত ক্ষমতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আর্কটিক ও ইউরোপীয় অঞ্চলে আধিপত্য
রাশিয়া এই যুদ্ধবিমানকে ব্যবহার করে আর্কটিক এবং ইউরোপের আকাশসীমায় আধিপত্য বজায় রাখতে চায়। বিশাল গতি ও পরিসরের জন্য এটি দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে এবং শত্রুর বিমানের আগেই পৌঁছাতে পারবে লক্ষ্যে।
F-35-এর চেয়ে ভালো?
রাশিয়া বলছে MiG-41 হবে এক "গেম চেঞ্জার"। যদিও NATO দেশগুলো সন্দিহান এই প্রকল্পের সময়সীমা এবং সক্ষমতা নিয়ে। লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে আকাশে উড়ানো, তবে সেটা বাস্তবে সম্ভব কি না, তা এখনও প্রশ্নের মুখে।
রাশিয়ার এই MiG-41 প্রকল্প শুধু একটি যুদ্ধবিমান তৈরির চেয়ে অনেক বেশি। এটি একপ্রকার ভবিষ্যতের যুদ্ধের ধারণাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা। এটি যদি সফল হয়, তবে বৈশ্বিক সামরিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
মারিয়া