
ছবি: সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী দক্ষিণপাড়ায় ঘটে গেছে এক রহস্যজনক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মৃত্যুর পর দাফনের তিনদিন পার হতে না হতেই হঠাৎ উধাও হয়ে যায় মৃতদেহ। তারপর বাড়ির আঙিনায় দেখা যায় নতুন একটি কবর। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চরম চাঞ্চল্য ও কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুস সাত্তার নামে এক ব্যক্তি, যিনি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে পরিবার ছেড়ে সোনামুখী দক্ষিণপাড়ায় একাকী বসবাস করছিলেন, তিনি মূলত তরিকাপন্থী ছিলেন। বিভিন্ন পীরের মাজারে যাতায়াত করতেন এবং এলাকার মানুষ তাকে ধার্মিক বলেই জানতেন। সম্প্রতি নয় জনের সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুস সাত্তার। পরে তাকে এলাকার আল মদিনাতুল বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তবে দাফনের তিন দিন পর সোমবার রাতে কবরস্থান থেকে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি তার কবর খুঁড়ে মৃতদেহ সরিয়ে নেয়। এরপর তার বাড়ির আঙিনায় একটি নতুন কবর দেখা যায়। মৃতদেহ কে বা কারা সরিয়ে এনেছে, সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নয়।
সাত্তারের পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আগে তিনি বারবার বলেছিলেন, তিনি নিজের হাতে লাগানো বটগাছের নিচেই কবর চান। কিন্তু সেই ইচ্ছা অগ্রাহ্য করে তাকে কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার দিন তার আত্মীয়রা কবরস্থানে গিয়ে দেখেন, আগের কবরটি খোঁড়া, আর সেখানে মৃতদেহ নেই। বাড়ির আঙিনায় গিয়ে দেখেন, বটগাছের নিচে তৈরি হয়েছে নতুন কবর।
একজন জানান, “আমার শ্বশুর দাফনের তিন দিন পর খিলান্দিনের আয়োজন করা হয়। আমরা দোয়া করতে গিয়ে দেখি বাড়ির উঠানে একটা নতুন কবর, আর কবরস্থানের কবর খোঁড়া। এই দৃশ্য দেখে আমাদের বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয়।”
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আব্দুস সাত্তারের কোনো ভক্ত বা শিষ্য হয়তো তার শেষ ইচ্ছা পূরণে রাতের আঁধারে এই কাজটি করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউ এখনো মুখ খুলছে না।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের এলাকা থেকে মানুষ ভিড় করছে নতুন কবরটি দেখতে। কেউ বলছে অলৌকিক ঘটনা, কেউ বলছে শেষ ইচ্ছার প্রতিফলন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই রহস্যময় ঘটনার পেছনে কী আছে, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।
ছামিয়া