
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সায়েদুল আলম বাবুল বলেছেন, “হাসিনার জন্ম হয়েছে ভারতে, মরবেও ভারতে। তাই ঐ দেশে পালিয়েছে। তার আর ফেরা হবে না।”
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকার নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী সায়েদুল আলম বাবুল বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে একটি মহল বিএনপি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে অশালীন প্রচারণা শুরু করেছে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। সেই সঙ্গে সারাদেশে নেতাকর্মীদের একতাবদ্ধ থাকতে হবে। কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করতে পারে। তাদের এ দেশবিরোধী ও নির্বাচন বানচাল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে।”
প্রধান অতিথি আরও বলেন, “বিএনপি এ দেশের গণমানুষের দল। বিগত প্রায় ১৮ বছরে আওয়ামী লীগ ও ওয়ান ইলেভেন সরকার চেষ্টা করেও দমাতে পারেনি। আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আজও সুসংগঠিত। আর দুই দিনের রাজনীতিতে পুনর্বাসিতরা এখনই বিএনপিকে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে কটাক্ষ করে বদনাম ছড়িয়ে কোনো কিছুই করতে পারবে না। বিএনপি স্বাধীনতার পক্ষের ও তৃণমূল গণমানুষের আস্থার ঠিকানা। তাই সাবধান হয়ে যান। বিএনপিকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে মাঠে নামালে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না। নির্বাচনে আপনাদের এত ভয় কেন?”
সমাবেশের প্রধান বক্তা ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, “বিগত দিনে যারা ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের পাশে থেকে সুযোগ নিয়েছেন, তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। দলের দুর্দিনে হামলা-মামলায় যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, পালিয়ে দলের কর্মসূচিতে গেছেন, তাঁরাই হবেন আগামী দিনের বিএনপির কান্ডারি।”
তিনি বিএনপিকে নিয়ে অপপ্রচারের বিষয়ে বলেন, “বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে। অন্ধকার গলিতে হেঁটে বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জন করেনি। দেশের প্রতিটি গ্রাম, পাড়া-মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলায় গিয়ে দেখুন। বিএনপি তার নিজস্ব জনভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে। কারো উপর স্বর্ণলতা হয়ে রাজনীতি করে না। তাই সময় থাকতে সাবধান হোন। না হলে আপনারা আবারও অন্ধকার গলিতে চলে যাবেন।” এসময় তিনি আগামী নির্বাচনে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে এক কাতারে থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম মাওলা শাহীন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আল মামুন, মহসিন হাসান লিটু, আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, দফতর সম্পাদক খন্দকার আরশীন মাহমুদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সভা শেষে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ করেন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশে যোগ দেন। সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ সভা হলেও নেতাকর্মীদের স্লোগানে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের ভাষা লক্ষ্য করা যায়।
মিমিয়া