ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

আলোচনায় এনসিপি, এলডিপি, গণঅধিকারসহ ডজনখানেক দল

জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামী ও ডানপন্থিদের জোট হচ্ছে

ইসরাফিল ফরাজী 

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ১৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৫:৫১, ১৫ জুলাই ২০২৫

জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামী ও ডানপন্থিদের জোট হচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

|জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামী ও 
ডানপন্থিদের জোট হচ্ছে

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের প্রধান ধর্মভিত্তিক ও ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে জোট গঠনের জোর প্রস্তুতি চলছে দলগুলোর মধ্যে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক সমঝোতা শেষে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। নির্বাচনের সময় যত সামনে আসছে জোট গঠনের কার্যক্রম ততই প্রকাশ পাচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে পাঁচ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করতে হবে। 


স্বাধীন বাংলাদেশে সংবিধান সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তখন থেকেই ইসলামপন্থি কয়েকটি দল রাজনীতির পথ চলা শুরু করে বাংলাদেশে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে প্রথমবার সরকারের অংশ হয়েছিল জামায়াত। তখন থেকেই বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘ পথ চলা জামায়াতের। চব্বিশের নির্বাচনের আগ থেকেই বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে জামায়াতের। চব্বিশের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর প্রকাশ্যে আসে দুই দলের বিরোধ। এর পর থেকেই আলাদা জোট গঠনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 
চব্বিশের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারত পালানোর দিন আলোচনায় আসেন জামায়াতে ইসলামীর আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এসব প্রস্তাবে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি।


সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৩তম দিনের দিনভর আলোচনা শেষে ব্রিফিংকালে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, নারী আসন ও সংসদের উচ্চকক্ষ ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি দলগুলো। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য স্থায়ীভাবে ১০০ আসন করার ব্যাপারে সব দল একমত হয়েছে। এক্ষেত্রেও পদ্ধতিগত প্রশ্ন রয়ে গেছে। এর পদ্ধতি নির্ধারণে এখনো একমত হওয়া যায়নি। এ দুটি বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আবারও আলোচনা হবে।


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। 
আলোচনায় বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।


বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে ড. আলী রীয়াজ জানান, বিদ্যমান ব্যবস্থায় আসন সংখ্যার সংখ্যানুপাতে ৫০ আসনকে ১০০ আসনে উপনীত করা বা সরাসরি নারী আসনে নির্বাচন- কমিশন প্রদত্ত এই দুই প্রস্তাবে একমত না হওয়ায় বিগত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি হলো- সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে ভিন্নভাবে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে যেসব রাজনৈতিক দল ২৫টির বেশি আসনে প্রার্থী দেয় তাদের মধ্যে থেকে ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রার্থী নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ গঠনের ব্যাপারেও ঐকমত্য হওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে কমিশন থেকে দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায়ও কিছু কিছু প্রস্তাব এসেছে, তাই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আলোচনা অব্যাহত থাকবে।


কমিশন সূত্র জানায়, সংসদের উচ্চকক্ষের নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলা ও প্রতিটি সিটি করপোরেশন এলাকা উচ্চকক্ষের একেকটি একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকা হিসেবে বিবেচিত বা চিহ্নিত হবে এবং প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকা থেকে সাধারণ ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন করে উচ্চকক্ষের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। বর্তমানে দেশে ৬৪টি প্রশাসনিক জেলা ও ১২টি সিটি করপোরেশন রয়েছে বিধায় উচ্চকক্ষের আসনসংখ্যা হবে ৭৬। জাতীয় সংসদ (নিম্নকক্ষ) এবং উচ্চকক্ষের নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষের নাম প্রস্তাব করা হয়। এই কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কার কমিশন সুপারিশ করে যে, বাংলাদেশে নিম্নকক্ষ (জাতীয় সংসদ) এবং উচ্চকক্ষের (সিনেট) সমন্বয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট একটি আইনসভা থাকবে। উচ্চকক্ষ আইনি যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং নির্বাহী ক্ষমতার ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকাংশই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে একমত হলেও উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচনের বিষয়ে মতভেদ দেখা দেয়। যে কারণে নতুন এই প্রস্তাব আনা হয়েছে।


এদিকে কমিশনের প্রস্তাবে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ আসনে উন্নীত এবং সরাসরি নির্বাচনের কথা বলা হয়। নারী আসন বৃদ্ধিতে একমত হলেও সরাসরি নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি ও সমমনারা। এই অবস্থায় সংরক্ষিত নারী আসন বাদ দিয়ে বিদ্যমান সংসদীয় আসনের নির্বাচনে দলগুলোকে এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারী প্রার্থী নিশ্চিতের কথা বলা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানে উল্লিখিত সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্ত হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে ২৫ বা ততোধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মোট প্রার্থীর মধ্যে ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারী প্রার্থিতা নিশ্চিত করবে। 


সংলাপ শেষে প্রেস ব্রিফিং-এ অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সমাজের বিরাজমান বৈচিত্র্যকে প্রতিনিধিত্ব করতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু, কী পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন হবে সে ব্যাপারে ঐকমত্য হওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে কমিশন থেকে দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায়ও কিছু কিছু প্রস্তাব এসেছে। এসব প্রস্তাব নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। 


এর আগে সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনীতি, সংসদ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীদের সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করা জরুরি। এটি রাষ্ট্রের দায়িত্বও বটে। গত বছরের ১৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মোড় ঘোরানোর গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা তাদের অপমানের জবাব দিতে প্রতিবাদ মুখর হয়েছিলেন। এতে তাদের ওপর নারকীয় হামলা হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাদের অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। তাই মনে রাখতে হবে, নারীকে যথাযথ সম্মান না দিয়ে দমিয়ে রাখলে রাষ্ট্র পিছিয়ে যাবে। 


রাজনৈতিক দলের নেতারা যা বলেন 

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও নারী আসন বৃদ্ধির প্রশ্নে বিএনপি আগের অবস্থানে রয়েছে বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সংসদে নারী আসন ১০০ তে উন্নীত করার প্রস্তাবে বিএনপি একমত। তবে ওই আসনগুলোতে নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতে হতে হবে। কারণ সরাসরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা রয়েছে। তিনটি আসন মিলে একটিতে নারী প্রার্থী বা ৩৩ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বাস্তবতা এখনো আসেনি। আমরা এখনো আরপিও অনুযায়ী দলের কমিটিতে ৩৩শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে পারেনি। সেখানে ৩৩ শতাংশ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন কিভাবে সম্ভব হবে?


তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য আমরা উচ্চকক্ষের বিষয়ে একমত হয়েছিলাম। সেখানে আমরা নিম্নকক্ষের আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আজ নতুন একটি প্রস্তাব এসেছে, যা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। আজকের আলোচনায় ৬৪টি জেলা ও ১২টি সিটি করপোরেশন সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৭৬ জনের আলাদা করে নির্বাচিত করার প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের প্রধান ও জেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। সেখানে আবার নির্বাচন করে প্রতিনিধি নির্বাচন অবাস্তব। আর কারও কারও প্রস্তাব অনুয়ায়ী পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, দু’টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা উচ্চকক্ষের বিষয়ে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থা চালুর পক্ষে। অধিকাংশ দল এ বিষয়ে একমত। সংখ্যাগরিষ্টের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে হলে এটাই করতে হবে। নারী আসনের বিষয়েও আমরা ১০০ আসনে পিআর পদ্ধতির পক্ষে। কারণ নারীদের জন্য ১০০ আসনে নির্বাচন করতে হলে একজন নারী প্রার্থীকে তিনটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন করতে হবে। এটা অবাস্তব। 


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করেছে কমিশন। আমরা এর বিরোধী। আমরা তা ৫০ থেকে ১০০তে উন্নীত করার কথা বলেছি। নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন হতে হবে। কমিশন এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারীদের মনোনয়ন বাধ্যবাধকতার কথা বলেছে। আমরা এটি সমর্থন করি। তবে এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। এজন্য আরও সময় প্রয়োজন।


গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, কমিশন নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল ও ৩৩ আসনে নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা এই মুহূর্তে অসম্ভব। আমরা বলেছি, সংরক্ষিত আসন রেখে ২০ শতাংশ আসনে নারীদের সরাসরি আসনে ভোট হবে। নারীদের পুরোপুরি অধিকার এখনো নিশ্চিত হয়নি। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীকে রাখা হচ্ছে না। এর অবসান হওয়া জরুরি।


বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বলেন, সংরক্ষিত নারী আসন ১০০ তে উন্নীত করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ দল একমত। আমরা মনে করি, সব ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জরুরি। আমরা বলেছি, নারীরা সরাসরি নির্বাচিত হবেন। তবে পদ্ধতি কী হবে সেটা আলোচনা হতে পারে। 
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, নারীদের সংরক্ষিত আসন দরকার নেই। বরং তাদের নির্বাচিত হয়েই সংসদে আসা উচিত। এতে তাদের সম্মান আরও বৃদ্ধি পাবে। নারী এখন অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিগত দিনেও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তারা নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতার বিপক্ষে।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নারীদের আসনে সরাসরি নির্বাচন করতে হবে। তিনটি সাধারণ আসন মিলে একটি নারী আসনে ভোট হতে হবে।


জাতীয় সমাজতান্ত্রিক-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, নারীদের সরাসরি নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারলেই তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। কেউ কেউ বলেছেন ৩টি সাধারণ আসনের আওতায় একটি নারী আসনে ভোট হতে পারে। আবার অনেকে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতির কথাও বলেছে।

শিহাব

×