ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

পায়রা বন্দরের জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপুরনের টাকায় মধ্যস্বত্তভোগির থাবা 

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২০:২৮, ১৫ জুলাই ২০২৫

পায়রা বন্দরের জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপুরনের টাকায় মধ্যস্বত্তভোগির থাবা 

ছবি: জনকণ্ঠ

পায়রা বন্দর নির্মাণে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মনিরা বেগম একটি মধ্যস্বত্ত্বভোগী চক্রের কারণে তার ক্ষতিপুরণের টাকা উত্তেলনে চরম বিপাকে পড়েছেন।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চান্দুপাড়া গ্রামের জালাল হাওলাদারের স্ত্রী মনিরা বেগম কোন উপায় না পেয়ে এ চক্রের কবল থেকে প্রতিকার পেতে প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি এ ঘটনার জন্য দশকানি গ্রামের শাহাদাত তালুকদার ও মোস্তাফিজুর রহমান নামের অপর এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে প্রতিকার চেয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মনিরা বেগমের বসতভিটাসহ ভূমি পায়রা বন্দর অধিগ্রহণ করলে ওই দালালচক্র ক্ষতিপুরনের টাকা উত্তোলন কাজে সহায়তা করার জন্য বরাদ্দকৃত টাকার শতকরা ১৫ ভাগ তাদের দিতে হবে বলে চাপ প্রয়োগ করে। এমনকি স্ট্যাম্পে সই নিতে পর্যন্ত বাধ্য করা হয়। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় আমার ছেলের মাধ্যমে কাগজপত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করি। এরপর থেকে টাকা তুলতে দিবে না বলে ওই চক্র হুমকি দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে গত ২৬ মে মনিরা বেগমের স্বামীর নামে চেক প্রস্তুত হয়। 

এ খবর শুনে আসামিরা ডিসি অফিসের পূর্বপাশে ৫-৬জন লোক নিয়ে মনিরার বড় ছেলে এনামুল হককে আটকে দেড় লাখ টাকা দাবি করে। সেখান থেকে কোন মতে চলে আসলেও এখনো টাকা চেয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। মারধরসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে মনিরা বেগম তার পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তিনি এই চক্রের কবল থেকে রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা এ চক্রের কবল থেকে রক্ষা চেয়েছেন।

এব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত শাহাদত তালুকদার গণমাধ্যমকে জানান, এই জমি নিয়ে অসংখ্য মামলা ছিল। জটিলতা ছিল। যা সমাধান করতে খরচ বাবাদ চুক্তি করা পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যা তারা খরচ বাবদ স্বেচ্ছায় দেওয়ার জন্য ওয়াদাবদ্ধ ছিলেন। এখন টাকা তুলে এসব মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। চাঁদা দাবির ঘটনা, হুমকি দেওয়ার ঘটনা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

শহীদ

×