ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কুমিল্লা

প্রকাশিত: ০১:১৭, ১৬ জুলাই ২০২৫

জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ

কুমিলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দুই শিফটে চলছে পাঠদান। জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এতে মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ টি কক্ষে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। প্রতিটি কক্ষের দেয়ালেই দৃশ্যমান হয়েছে বৃহৎ অংশ জুড়ে ফাটল। যেকোনো মুহূর্তে দেয়াল ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝড়ের কবলে একটি গাছ হেলে পড়ে আছে। পাকা ভবনের লাইব্রেরির কক্ষকে অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কক্ষে শিক্ষার্থীরা হাত ধোয়, সে কক্ষেও চলছে পাঠদান।

জানা যায়, ১৯৬৪ সালে উপজেলার বিজশপুর ইউনিয়নে বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। দুই তলা বিশিষ্ট ভবনের কাজ চলমান থাকলেও তা কবে শেষ তা জানেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থী ও স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য নেই বাথরুম। এতে কোন রকমে একটি অস্থায়ী বাথরুম সকলে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ওয়াশ ব্লকের কাজটিও এখন বন্ধ হয়ে আছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৮৩ জন শিক্ষার্থী এবং নয়জন শিক্ষক রয়েছেন।

চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ রুমটি ভাঙ্গা চূড়া,আমাদের এই ঘরে পড়তে ভয় লাগে। উপরে গাছ পড়ে আছে। এগুলা ঠিক করে দেন।

পঞ্চম শ্রেনীর জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, দেয়ালে ফাটল, যদি দেয়ালটি ভালো থাকতো তাহলে আমরা নিশ্চিন্তে ক্লাশ করতে পারতাম। শ্রেণীকক্ষের টিন ছিদ্র থাকায় বৃষ্টির সময় পানি পড়ে। আমরা ক্লাশ করতে পারি না। বৃষ্টির সময় পানি জমে থাকে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান রশীদ বলেন, স্থান সংকুলান না হওয়ায় ও ভবনের কাজ বন্ধ থাকায় পুরাতন ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও আমরা ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছি। অতি দ্রুত আমাদের বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরি। ওয়াশ ব্লকের কাজ বন্ধ থাকায় সকল শিক্ষার্থী ও আমাদের শিক্ষকদের বাথরুমে যাওয়া কষ্টকর।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামিম ইকবাল বলেন, নতুন বিল্ডিং এর কাজ চলমান আছে, বাউন্ডারি দেয়ার বিষয়ে কথা বলছি। মূলত আমাদের ফান্ডিং নেই। ঝুকিপূর্ণ ভবনের পাঠদান চলছে তা সত্য, এখন উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে স্কুলটির জন্য কি করণীয় তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর ওয়াশ ব্লকের কাজ নট অনলি বেলতলী, এ সমস্যা অধিকাংশ বিদ্যালয়ে হচ্ছে। ঠিকাদাররা কাজ করছেনা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। দেখি ওনারা এখন কি পদক্ষেপ নেয়।

ফারুক

×