ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

যারা রাজাকার রাজাকার স্লোগান দিয়েছে তাদের অনেকে ছাত্রলীগ করে: ছাত্রদল নেতা 

মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ রাব্বী, তিতুমীর কলেজ

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ১৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৪:৫১, ১৫ জুলাই ২০২৫

যারা রাজাকার রাজাকার স্লোগান দিয়েছে তাদের অনেকে ছাত্রলীগ করে: ছাত্রদল নেতা 

ছবি: জনকণ্ঠ

রাজাকার রাজাকার স্লোগানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল রাতে সরকারি তিতুমীর কলেজে অনুষ্ঠিত মিছিলে যারা রাজাকার, রাজাকার স্লোগান দিয়েছে তাদের অনেকে ছাত্রলীগ করে বলে মন্তব্য করেছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসাইন।


গতকাল রাতে শিক্ষার্থীদের মিছিলে ছাত্রদল কেন বাধা দিয়েছিলো এই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এই মন্তব্য করেন।


তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসাইন বলেন, গতকাল তারা মব সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। ছাত্রদল এখানে বাধা দেওয়ার কেউ না । মিছিলে যারা রাজাকার, রাজাকার স্লোগান দিয়েছে তাদের মধ্যে অনেকে ছাত্রলীগ করে। মিছিল করুক তবে ছাত্রলীগ নিয়ে কেন করবে? এখানে যে নেতৃত্ব দিয়েছে সুজন সে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ করত। এখন সে  কয়েকটা কোটা বিরোধী আন্দোলন করে নিজেকে বৈষম্য বিরোধী বলে সেভ করার চেষ্টা করছে। 

তিনি আরো বলেন, বটতলায় ছাত্রদলের যারা বাধা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়কের বক্তব্য ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবি করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কামরুল ইসলাম সুজন বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ পুনর্বাসন করেছে ছাত্রদল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা অন্য কোন ছাত্র সংগঠন এটি করেনি। 


তিনি আরো বলেন, যারা রাজাকার রাজাকার স্লোগান দিয়েছে ছাত্রদলের আহ্বায়ক তাদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা ভিত্তিহীন, বানোয়াট। মিছিলে ছাত্রলীগের কেউ ছিলো না। 


সুজন বলেন, আমরা যখন হলে স্লোগান দেই তখন তারা জিয়ার সৈনিক এক হও স্লোগান দিয়ে আক্রমন করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমরা হল থেকে বেড় হয়ে রাজুকের গেটে আসলে ছাত্রদলের এক দল নেতাকর্মী আমাদের সাথে সংঘর্ষে জড়ানোর পায়তারা করে। আমরা তাদের এড়িয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তখন তারা বটতলায় পিছন থেকে (২০২২-২০২৩) সেশনের এক শিক্ষার্থীকে কলার চেপে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলো।  


উল্লেখ্য, গতকাল রাজাকার রাজাকার স্লোগানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মিছিলে ছাত্রদল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

শিহাব

×