
ছবি: জনকণ্ঠ
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াসে হয়েছিল। নতুন বন্দোবস্ত গড়ার জন্য হয়েছিল। দুর্নীতি, বৈষম্য, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস এবং মাফিয়া সিস্টেমের বিরুদ্ধে একটি ইনসাফভিত্তিক, মর্যাদাভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এ আন্দোলন হয়েছিল। আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। আমরা চাই, সেই লড়াইয়ে গণঅভ্যুত্থানে ভোলার সন্তানেরা অগ্রনায়কের ভূমিকা পালন করুক। এই লড়াইয়ে ভোলাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় ভোলার নতুন বাজার প্রেসক্লাব চত্বরে জাতীয় নাগরিক পার্টির আয়োজিত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত পদযাত্রা শেষে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণতান্ত্রিক ও সর্বজনীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছি। যে বাংলাদেশ শ্রমিকের, কৃষকের, মধ্যবিত্তের, আমজনতার ও ভোলাবাসীর বাংলাদেশ হবে।
যুগের পর যুগ ভোলাবাসীকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। বর্তমান আধুনিক যুগেও ভোলাবাসীকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। আমরা সেই দূরত্ব ঘোচাতে এসেছি। এখন আর ভোলাবাসীর সঙ্গে কোনো দূরত্ব থাকবে না।
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেত্রী ডা. তাসনীম জারা প্রমুখ।জাতীয় নাগরিক পার্টি পহেলা জুলাই থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা ও পথসভা কর্মসূচির ১৫তম দিনে আজ ভোলায় আসে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বরিশালের লাহারফাট ফেরিঘাট হয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তারা ভোলায় পৌঁছান। এরপর ভেদুরিয়া ফেরিঘাট থেকে পদযাত্রা শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশস্থলে পৌঁছান তারা। ভোলার কর্মসূচি শেষ করে বিকেলে তারা বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন, সেখানে সন্ধ্যায় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
শহীদ