ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

দলীয় প্রভাবে রেজিস্ট্রার নিয়োগ, হাবিপ্রবি’র বিএনপিপন্থী শিক্ষকের রেকর্ড ফাঁস

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ১৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৯:৫১, ১৫ জুলাই ২০২৫

দলীয় প্রভাবে রেজিস্ট্রার নিয়োগ, হাবিপ্রবি’র বিএনপিপন্থী শিক্ষকের রেকর্ড ফাঁস

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) সম্প্রতি কৃষি অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. আবু হাসানকে রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বিগত ৮ই জুলাই একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে তিনি নিয়োগ পান৷ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এই শিক্ষক বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন "ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) হাবিপ্রবি শাখার বর্তমান কমিটির সভাপতির পদে আছেন। 

বিএনপিপন্থী এই শিক্ষককে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ "বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের ৪/৫ মাসের ফাইট" কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সাথে কথোপকথনের সময় ইউট্যাব হাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক হাসান এমন মন্তব্য করেন। তাদের কথোপকথনের ২ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের একটি রেকর্ড হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির (হাবিপ্রবিসাস) হাতে এসেছে। 

যেখানে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক হাসানকে বলতে শোনা যায়, "জিয়া হলে আমাদের কথা উনি (ভিসি) শোনা শুরু করছে ঈদের পর থেকে। বস একটু ইনফ্লুয়েন্স করছেন তারপর থেকে। উনার কাছে যতটুকু আমরা নিতে পারতেছি ওটা প্রেসার দিয়ে। এই যে রেজিস্ট্রারটা নেয়া আমাদের ৪/৫ মাসের ফাইট। আজকে ছয়শোর মতো শিক্ষার্থী নামাইছি আমাদের পক্ষে।"

উক্ত কথোপকথনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নুর হোসেন হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজকেও বলতে শোনা ,"জিয়া হলের হল সুপার ভিন্ন আইডিওলজির, উনি হলে সিট ফাঁকা হওয়ার আগেই জানাই দেন যে, ১০দিন পর সিট ফাঁকা হবে।" 

এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, "ভিন্ন আইডিওলজি উনাকে জিয়া হলে দেয়া লাগবে কেন? আপনারা প্রতিবাদ জানাননি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আপনারা কথা বলেননি? ভিসি স্যারকে আপনারা জানাননি? উনি যদি ভিন্ন আইডিওলজিরই হবেন তাহলে তাকে ওই হলে দিতে হবে কেনো? অন্য হলে উনি থাকুক। ওই হলে আমাদের দলীয় কাউকে দেয়ার জন্য আপনারা কথা বলেননি?"

উত্তরে অধ্যাপক ফারুককে বলতে শোনা যায়, "স্যারের এ বিষয়ে অবস্থান হচ্ছে আমি আসার আগেই আপনারা পোস্ট ভাগাভাগি করে নিছেন। কোনো কিছুই চেঞ্জ করবেন না উনি। বলে যে আপনারা আগে ভাগ করে নিছেন এখন ওমনেই সামলান আপনারা। চেঞ্জ করার সাহস নাই উনার। আর উনি আমাদের মতো ডেডিকেটেডও না।"

বিশ্বস্ত সূত্র থেকে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি নিশ্চিত হয়েছে রেকর্ডের কথোপকথনের সময় সেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, হাবিপ্রবি শিক্ষক ফারুক হাসান ও হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে পরবর্তীতে যোগাযোগ করতে বলেন। পরবর্তীতে আবারও কয়েকবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি৷ হোয়্যাটসআ্যপে মেসেজ দিলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

আবির

আরো পড়ুন  

×