ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

শিক্ষা

শিক্ষা বিভাগের সব খবর

ঢাবি শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রাফিক পুলিশে কাজের সুযোগ

ঢাবি শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রাফিক পুলিশে কাজের সুযোগ

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তাকারী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কাজের সুযোগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। প্রতিদিন দুই শিফটে চার ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে। সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রথম শিফট এবং বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দ্বিতীয় শিফট চলবে। শিক্ষার্থীরা যেকোনো একটি শিফটে কাজ করতে পারবেন। কাজের এলাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং এর আশপাশের অঞ্চল। প্রত্যেক কর্মদিবসের জন্য সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। যোগাযোগের নম্বর: ০১৭৫৯৭৩৯৬৩৭ (আব্দুল কাদের)।

আমাদের রাফি স্যার

আমাদের রাফি স্যার

সময়টা এমন, যেখানে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ বা ভার্সিটিতে শিক্ষক অপসারণের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হয়। সেখানে বন্ধুত্বপূর্ণ শিক্ষক পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। আজ এমনই একজন শিক্ষকের গল্প বলবো। ভার্সিটিতে পড়ার সুবাধে প্রতিটি সেমিস্টারে নতুন নতুন শিক্ষকের সাক্ষাতে নিজেদেরকে নতুন করে চিনতে শিখছি। প্রতিটি শিক্ষকই তাদের স্নেহতুল্য ভালোবাসা দিয়ে ক্লাসগুলো আনন্দমুখর করে তোলেন। তবে কিছু শিক্ষক, তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসার ছোঁয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়ে থাকেন। তেমনই একজন শিক্ষক আমাদের রাফি স্যার। যদিও স্যারের একটা বড় পূর্ণ নাম আছে, তবে আমরা রাফি স্যার নামের সাথেই বেশি পরিচিত। আমরা স্যারের ক্লাসগুলো প্রতি শুক্রবারে পেতাম। আমি দেখেছি আমার বন্ধুগুলো অন্য ক্লাসগুলো মিস দিলেও, রাফি স্যারের ক্লাসগুলো কেউ মিস দিতে চাইতো না। স্যার সর্বদা হাসি-খুশি মানুষ ছিলেন, ক্লাসে প্রবেশ করেই স্যারের মুখে দেখতে পেতাম একরাশ হাসি। যে হাসির হাওয়া বয়ে যেতো ক্লাসের সর্বত্র। ক্লাসগুলোও হতো বাস্তবমুখী। একাডেমিক পড়া-লেখার পাশাপাশি স্যার আমাদের শিক্ষা দিতেন বাস্তব জীবনের চিত্র। তার জীবনের অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে বাস্তব জীবনের শিক্ষাগুলো আমাদের ধরিয়ে দিতেন। এইতো দীর্ঘ চার মাসের সেমিস্টারে স্যারের সাথে আমাদের সমাপ্তি ক্লাস ছিলো গত শুক্রবার। সেদিন অবশ্য স্যার ভাইবা ও প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ক্লাসটি শেষ করেন। পরীক্ষা শেষে সবাইকে বসিয়ে স্যার আমাদেরকে ছোট ভাই সম্বোধন করে একটা কথা বললেন যে, ‘বাস্তব জীবনটা অনেক কঠিন, তাই আপনারা ভার্সিটির দিনগুলো স্মরণীয় করে রাখুন, হয়তো ভার্সিটি পরের লাইফে আপনাদের নিজেদের মধ্যে তেমন দেখা-সাক্ষাৎ হবে না, হলেও সেটা এক, দুই বা বিশ বছর পরে কিছু মুহূর্তের জন্য দেখা হবে, আবার হারিয়ে যাবেন। আর জীবনে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন, নিজের উপর কখনো বিশ্বাস হারাবেন না।’ স্যারের মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দগুলোর বাস্তবতা আমরা এখনো চোখে না দেখলেও অনুভব করতে পারি যে, কথাগুলো সত্য- ‘বাস্তবতা প্রিয় মানুষদের মধ্যে অনেক দূরত্ব সৃষ্টি করে দেয়।’ পরিশেষে, রাফি স্যারের মতো সকল শিক্ষকদের জন্য বন্ধুসুলভ ভালোবাসা জাগ্রত থাকুক সকল শিক্ষার্থীদের অন্তরে। জানি না, স্যারের সাথে আর কবে, কখন বা কোথায় দেখা হবে। তবে স্যার! আপনার আগমীর পথচলা আরো দৃঢ়, সহজ ও সুন্দর হোক, এই কামনা। টিএইচএম ২৭তম ব্যাচ থেকে আপনার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা। আমরা চাই, ‘আপনার মুখের হাসিরটার যত্ম নিন, সুখী হোন এবং সুখ ছড়িয়ে দিন। কারণ এই পৃথিবীতে আপনার মতো সুখী মানুষের ভীষণ প্রয়োজন।’

পরিবেশবান্ধব গবেষণায় সাফল্য

পরিবেশবান্ধব গবেষণায় সাফল্য

লিচু গাছের সবুজ পাতার মাঝে মাঝে কমলা, হলুদ, নীল, সাদাসহ রঙ-বেরঙের ব্যাগ। আম, পেয়ারার মতো এবার ব্যাগিং পদ্ধতিতে লিচু উৎপাদনে ভালো ফলাফল পাচ্ছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। মূলত লিচু ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ রোধ করতে রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যাগের ব্যবহার করছেন গবেষকরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩০ শতাংশেরও বেশি লিচুর ফলন নষ্ট হয়ে যায় লিচুর ফলছেদক পোকা ‘লিচি ফ্রুট বোরার’-এর আক্রমণে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. আবদুল আলিম কয়েক বছর থেকেই লিচুর এই পোকা রোধে বিষমুক্ত লিচু উৎপাদনে গবেষণা করে যাচ্ছেন। তিনি ব্যাগিং, বায়োপেস্টিসাইড ও ইনসেক্ট গ্রোথ রেগুলেটর ব্যবহার করে গত বছর লিচু পোকা রোধে সফলতা পেয়েছেন। এ পদ্ধতিতে মুকুল থেকে লিচুর গুটি বের হওয়ার পরপরই একটি ব্যাগ দিয়ে ৩০ থেকে ৪৫টি করে লিচু ঢেকে দেয়া হয়। ফলে ক্ষতিকর এই পোকা লিচুতে আক্রমণ করার সুযোগ পায় না। ব্যাগের মধ্যে দিয়ে আলো এবং বাতাস চলাচলের সুযোগ থাকায় লিচুর বৃদ্ধিতেও ব্যাগের কোন প্রভাব নেই বললেই চলে। পাশাপাশি লিচু ঢেকে রাখায় বাদুড় কিংবা অন্য কোন পোকার আক্রমণ থেকেও লিচু রক্ষা পায়। অন্যদিকে ক্ষতিকর রাসায়নিক বালাইনাশকের পরিবর্তে বায়োপেস্টিসাইড ও ইনসেক্ট গ্রোথ রেগুলেটর ব্যবহার করায় লিচু সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিকারক রাসায়নিকমুক্ত হয় এবং ক্ষতিকর পোকামাকড়ের বংশবৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়। এ বিষয়ে গবেষক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, লিচুর ফলছিদ্রকারী পোকা লিচুর একটি মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা। এ পোকা থেকে বাঁচতে কৃষকরা বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করছেন। এসব কীটনাশক মানবদেহের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি পরিবেশের জন্যও ক্ষতির কারণ হয়। এসব ক্ষতিকর পদার্থ থেকে বাঁচতে আমরা রাসায়নিক ব্যবহারের পরিবর্তে পেনিকেল ব্যাগিং পদ্ধতি, বায়োপেস্টিসাইড এবং ইনসেক্ট গ্রোথ রেগুলেটর ব্যবহার করে লিচু ক্ষতিকর ফল ছেদকপোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য গবেষণা করছি। ইতোমধ্যে গতবছর এ গবেষণায় ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, গতবছর আমরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে লিচু ফল ছেদকপোকা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছি। অনেকসময় লিচু ঢেকে রাখার ফলে রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের এ পদ্ধতিতে লিচুর রঙও আমরা খুব সুন্দর পেয়েছি পাশাপাশি ফলনও পেয়েছি আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী। আমরা আশা করি এ প্রকল্প শেষে লিচুর ক্ষতিকারক ফলছেদক পোকা ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ভালো প্রযুক্তি আমরা কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে প্রফেসর ড. আবদুল আলিমের নেতৃত্বে পিএইচডি ও মাস্টার্স অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও কাজ করছে এই গবেষণায়। দিনাজপুরের তিন লিচু বাগানে কৃষক পর্যায়ে ও মাঠ পর্যায়ে গবেষণা পরিচালনা করছেন তারা। সম্প্রতি তার এই গবেষণা পরিদর্শন করেছেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র হর্টিকালচার স্পেশালিস্ট ড. নাজিরুল ইসলাম ও প্রাণী সম্পদ পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার।ৎ এ গবেষণা প্রকল্পের বিষয়ে কৃষি গবেষনা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র হর্টিকালচারাল ক্রপস স্পেশালিষ্ট ড. নাজিরুল ইসলাম বলেন, লিচুর ফলছিদ্রকারী পোকা সাধারণত লিচুর ভিতরে বিচিতে অবস্থান করে। তাই এ পোকার আক্রমণ ঠেকাতে হলে বিচি ছাড়া লিচুর প্রজাতি উদ্ভাবন করতে হবে। প্রচলিত লিচুর জাতগুলোর ক্ষেত্রে এ পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কী পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় তা বের করতে এই গবেষণা প্রকল্পটি আমরা হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদন করেছি। এখনও পর্যন্ত যে ফলাফল পেয়েছি তা সন্তোষজনক। আশা করি এ পোকা দমনের জন্য কার্যকর একটি পদ্ধতি আমরা উদ্ভাবন করতে সক্ষম হবো।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশে মাত্র ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিষয়ক উচ্চশিক্ষা দেওয়া হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি), শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কুকৃবি)। এছাড়াও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিষয়ক শিক্ষা দেওয়া হয়, যেমন: গণ বিশ্ববিদ্যালয়, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাধারণত মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পছন্দের অনুষদে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেয়। তাই অনুষদ পছন্দ করার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হলো:

উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে হাবিপ্রবি বঞ্চিত হয়েছে এতোদিন—হাবিপ্রবি ভিসি

উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে হাবিপ্রবি বঞ্চিত হয়েছে এতোদিন—হাবিপ্রবি ভিসি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এনামউল্যা বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করতে গেলে আমরা বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি, এই কয়েকমাস ভাইস—চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করে আমি সেটা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে শত শত একর জায়গা দেয়া হচ্ছে অথচ দুই যুগ পুরনো হাবিপ্রবির আয়তন মাত্র ৮৫ একর, বৈষম্যের বিষয়ে এটি ছোট্ট একটি উদাহরণ মাত্র। উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে হাবিপ্রবি বঞ্চিত হয়েছে এতোদিন।

ছাত্রলীগের কমিটি না দিতে পেরে বন্ধ হওয়া ক্যাডেট কলেজ রক্ষা করেছিলেন ওসমানী-জিয়া!

ছাত্রলীগের কমিটি না দিতে পেরে বন্ধ হওয়া ক্যাডেট কলেজ রক্ষা করেছিলেন ওসমানী-জিয়া!

১৯৭২ সালের শেষের দিকে দেশের চারটি ক্যাডেট কলেজ হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর পেছনে কারণ হিসেবে উঠে আসে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ সফর এবং সেখানে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের প্রচেষ্টা। ক্যাডেটরা এর তীব্র বিরোধিতা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে তোফায়েল আহমেদ প্রতিশোধমূলকভাবে ক্যাডেট কলেজগুলোর বিলুপ্তির সিদ্ধান্তে ভূমিকা রাখেন। সরকারি ঘোষণায় ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ফৌজদারহাট সরকারি আবাসিক কলেজ’। কলেজ চত্বরে নতুন সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত সহজে মেনে নেয়নি ক্যাডেটরা। তারা “Keep Cadet Colleges” নামে একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের সূচনা করে, যার নেতৃত্বে ছিলেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ছাত্ররা। এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন ক্যাডেট ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা কর্নেল চৌধুরী এম মহসিন। তার পরামর্শেই আন্দোলনকারীরা ব্রিগেডিয়ার জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তীতে জিয়ার উদ্যোগে তাঁদের দেখা হয় তৎকালীন নৌ পরিবহনমন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর সঙ্গে। এই সাক্ষাৎেই পুরো ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। সেদিন ভোরে মিন্টু রোডে ওসমানীর বাসায় সাক্ষাৎ করতে যান কয়েকজন ক্যাডেট। প্রথমে দেখা না হলেও, জোরালো চেষ্টায় ওসমানীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন তারা। ওসমানী তাদের সঙ্গে সকালের নাশতা ভাগাভাগি করেন এবং আলোচনার পর বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাকে না জানিয়ে ক্যাডেট কলেজ বিলুপ্তির পেছনে কারা ছিল, তা তিনি জানতে চান। সচিবালয়ে গিয়ে জেনারেল ওসমানী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে রেড ফোনে ফোন করেন। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেন এবং জানিয়ে দেন, “ক্যাডেট কলেজ থাকলে আমি থাকব, না থাকলে পদত্যাগ করবো।” এরপর ওসমানী দ্রুত একটি লিখিত নির্দেশনা তৈরি করে ফাইল নিয়ে বেরিয়ে যান ও প্রেসিডেনশিয়াল অর্ডিন্যান্স বাতিলের উদ্যোগ নেন। সেই ঐতিহাসিক দুপুরে সচিবালয়ের ১১ তলায় দাঁড়িয়ে ওসমানী ফাইল হাতে আন্দোলনরত ক্যাডেটদের বলেন, “বয়েস, ক্যাডেট কলেজ থাকছে।” এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আন্দোলনের সফলতা নিশ্চিত হয়। পরদিনই ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের নতুন সাইনবোর্ডে আগের নাম ফিরে আসে—“ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ”। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাসির চৌধুরীও সরকারপ্রদত্ত নামফলক সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনায় জেনারেল ওসমানী এবং ব্রিগেডিয়ার জিয়াউর রহমান ছিলেন প্রধান সহায়ক শক্তি। তাঁদের নিষ্ঠা, দূরদৃষ্টি এবং নেতৃত্বে বাংলাদেশের চারটি ক্যাডেট কলেজ রক্ষা পায়। অনেকের মতে, পাকিস্তান আমলে যেমন ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ছিলেন ক্যাডেট কলেজের প্রবর্তক, তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশে জেনারেল ওসমানীই ছিলেন ক্যাডেট কলেজ রক্ষার প্রকৃত জনক। সূত্র: ক্যাডেট কলেজ ব্লগ

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার