ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

আজ থেকে চলতে পারবে না মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি

৯০ ভাগ বাসের ফিটনেস নেই

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

৯০ ভাগ বাসের ফিটনেস নেই

ঢাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস ফিটনেসবিহীন

সারাদেশে সাড়ে ৪ লাখের বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ মোটরযান রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস ফিটনেসবিহীন। এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি আজ ১ মে থেকে আর চলাচল করতে পারবে না। এজন্য আজ থেকে সারাদেশে একযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

তবে এর আগেও সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার ফিটনেসবিহীন, রংচটা ও লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে সর্বশেষ গত বছর ১ জুলাই একইভাবে ঢাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ, ফিটনেসবিহীন, রংচটা ও লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল সংস্থাটি। কিন্তু এর আগেই বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান পরিবর্তন হওয়ার পর এই ঘোষণা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি।
তবে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে সবসময় অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা থাকলে ওইদিন থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে কর্মকর্তারা জানান। ২০২৪ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১০ হাজার ২৩৩টি মামলা এবং ২ কোটি ২২ লাখ ২২ হাজার ৬৮০ টাকা জরিমানা করা হয়। গত বছর ২১৮ জন দালাল গ্রেপ্তার ও ৩২২টি যানবাহন ডাম্পিং করা হয় বলে বিআরটিএ’র সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ^াস জনকণ্ঠকে বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা আমাদের নিয়মিত কাজ। তবে বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ ১ মে থেকে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

৬৪ জেলা ও বিভাগীয় শহরে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি আর সড়ক-মহাসড়কে চলাচল করতে দেওয়া হবে না।’ অভিযান চলাকালে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি পাওয়া গেলে সরাসরি ডাম্পিং করা হবে বলে জানান তিনি। 
৩০ হাজার বাস-মিনিবাস মেয়াদোত্তীর্ণ ॥ বিআরটিএ সূত্র জানায়, বর্তমানে বাস-মিনিবাসের ইকোনমিক লাইফ ২০ বছর এবং ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ট্যাঙ্কলরি ইত্যাদি মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। সারাদেশের নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা প্রায় ৮৪ লাখ। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ। ঢাকার বাইরে নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা প্রায় ৬২ লাখ।

নিবন্ধিত মোটরযানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার। এর মধ্যে সারাদেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল হলো প্রায় ৫৮ লাখ। এ ছাড়া নিবন্ধিত প্রাইভেট কার হলো প্রায় ৮ লাখ। সারাদেশে নিবন্ধিত মোটরযানের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ইকোনমিক লাইফ অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার বাস-মিনিবাস মেয়াদোত্তীর্ণ। এ ছাড়া প্রায় ৪৭ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাঙ্কলরি মেয়াদোত্তীর্ণ। 
গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে নিবন্ধনকৃত বাস-মিনিবাসের সংখ্যা প্রায় ৭৭ হাজার। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলায় রেজিস্ট্রেশন করা বাস-মিনিবাসের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর বাইরে বাস-মিনিবাসের সংখ্যা প্রায় ৩১ হাজার। এর মধ্যে ২০ বছরের নিচে বাস-মিনিবাসের সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার। এ ছাড়া ২০ বছরের ঊর্ধ্বে বা মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-মিনিবাস রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার।

এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে মেয়াদোত্তীর্ণ বাসের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। আর ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ বাসের সংখ্যা ১৯ হাজার। এর সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান। এ ছাড়া প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সসহ আরও অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ মোটরযান রয়েছে। 
বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস এক বছরের জন্য নবায়ন করা হয়। বিআরটিএ’র বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিস থেকে ফিটনেস নবায়ন কমিটি এসব বাসের ফিটনেস দিয়ে থাকে। তবে মোটরযানের ফিটনেসের সময় ৫৯টি বিষয় পুরোপুরি যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয় না। বাস চলাচলের উপযোগী আছে কি না তাই যাচাই করা হয়। পুরোপুরি যাচাই-বাছাই করা হলে বেশিরভাগ মোটরযানই ফিটনেস পাবে না।

সিদ্ধান্ত কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না ॥ গত বছর ২৪ অক্টোবর রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে বিদ্যুৎ ভবনে পুরানো মোটরযান অপসারণ সংক্রান্ত এক সভায় চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ সব বাস-মিনিবাস ও পণ্যবাহী গাড়ির রেজিস্ট্র্রেশন বাতিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ওই সভায় সভাপতির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক ও রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, পুরানো মোটরযান একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অন্যদিকে পুরানো মোটরযান থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশকে দূষণ করছে।

ইতিপূর্বে বাস-মিনিবাসের ইকোনমিক লাইফ ২০ বছর এবং ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ট্যাঙ্কলরি ইত্যাদি মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা এবং পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বদ্ধপরিকর।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জানানো হয়, সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ মোটরযানের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার হবে। একযোগে ইকোনমিক লাইফ উত্তীর্ণ মোটরযান অপসারণ করা হলে সড়কে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সংকট তৈরি হতে পারে।
এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম খোকন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কারণ সারাদেশেই মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি রয়েছে। এসব পরিবহনের কারণে রাস্তায় দুর্ঘটনায় মানুষের জানমালের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া পরিবেশ দূষিত হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পণ্যবাহী ট্রাক।

এসব পরিবহন রাতেই চলাচল করে বেশি। তারা বিভিন্নভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে চলাচল করে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীতে প্রায় চার শতাধিক মেয়াদোত্তীর্ণ যাত্রীবাহী বাস রয়েছে।’ এগুলো বন্ধের বিষয়ে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি। 
৯০ শতাংশ গাড়ির ফিটনেস নেই ॥ ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া সব বাণিজ্যিক গাড়ির ফিটনেস সনদের মেয়াদ এক বছর। শুধু প্রাইভেটকার ও জীপসহ ব্যক্তিগত গাড়ির ফিটনেসের মেয়াদ দুই বছর। যে কোনো গাড়ির ফিটনেস দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫৯টি বিষয় দেখা হয়। এসব বিষয় পুরোপুরি যাচাই করলে সারাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ গাড়ি ফিটনেস পাবে না বলে বিআরটিএর কর্মকর্তারা জানান। তবে ন্যূনতম বিষয়গুলো অবশ্যই দেখা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ফিটনেসের সময় যে বিষয়গুলো দেখা হয় সেগুলো হলো-গাড়ির পরিচয়, ইঞ্জিনের পাওয়ার ইউনিট, চালকের সিটের অবস্থা, বডির নিরাপত্তা, জানালার নিরাপত্তা ও অবস্থা, ইঞ্জিনের সক্ষমতা, ধোঁয়া নির্গমন, চাকা ও হুড, আকার এবং টায়ারের ধরন, টায়ারের অবস্থা, বাম্পার বার, অতিরিক্ত চাকা বহন, গাড়ি নকশা অনুযায়ী ট্রেলার কাপলিং, চাকার অবস্থা, ড্রাইভারের অবস্থান এবং পদক্ষেপ, প্রবেশের দরজা বা ফ্ল্যাপ, লাগেজ বগিসহ বডির বাইরের অংশ, বাসের অভ্যন্তর এবং যাত্রী আসন, প্রবেশ ও প্রস্থান ধরন এবং প্ল্যাটফর্ম, লুকিং গ্লাসের অবস্থা, সামনের নির্দেশনা, অন্যান্য স্বচ্ছ উপকরণ, চালককে বাতাস হতে রক্ষা, উইন্ডস্ক্রিন ওয়াশার, স্পিডোমিটার এবং স্পিড গভর্নর, শ্রবণযোগ্য সতর্কতা, চালকের নিয়ন্ত্রণ, টেকোগ্রাফ, স্টিয়ারিং হুইল, স্টিয়ারিং কলাম, চাপ বা ভ্যাকুয়াম সতর্কতা, বিল্ড আপ চাপ বা ভ্যাকুয়াম, হাতের নিয়ন্ত্রণে যন্ত্রাংশ ঠিক রাখা, হ্যান্ড লিভার যান্ত্রিক ব্রেকিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করে, পায়ের ব্রেক ঠিক রাখা, ব্রেক ঠিকমতো কাজ করে কি না, যানবাহনের ব্রেক হাত দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা, হ্যান্ড লিভার যান্ত্রিক ব্রেকিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করে, পায়ের ব্রেক ঠিক রাখা, ব্রেক ঠিকমতো কাজ করে কি না, চ্যাসিসের অবস্থা, বৈদ্যুতিক তারের এবং সরঞ্জাম, ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশন মাউন্টিং, তেল এবং বর্জ্য ফুটা, জ্বালানি ট্যাংক এবং সিস্টেম, নিষ্কাশন এবং বর্জ্য সিস্টেম, সাসপেনশন লিঙ্কেজ এবং পিভট, বসন্ত ইউনিট, স্টিয়ারিং লিঙ্কেজ, স্টিয়ারিং, পাওয়ার স্টিয়ারিং, ট্রান্সমিশন সিফট, অতিরিক্ত ব্রেক, ব্রেক অ্যাকুয়েটর, সামনের লাইট, পিছনের বাতি, বাধ্যতামূলক প্রতিফলক, দিক নির্দেশক, হেড ল্যাম্প, বাতি বন্ধকরণ ও ট্যাক্সি মিটার ইত্যাদি। 
আমিনুল নামের শিকড় পরিবহনের এক চালক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘শিকড় কোম্পানিসহ ঢাকায় চলাচলকারী বেশিরভাগ বাসের ফিটনেস নেই। কারণ এই বাসগুলো এক হাত দুই হাত নয় একাধিকবার বেচা-কেনা হয়। ঢাকায় যেসব বাস চলাচল করে এর বেশিরভাগ বাস বিভিন্ন আন্তঃজেলা বাস কোম্পানির ‘যাত্রী সেবা’ সার্ভিসের জন্য তৈরি করা হয়। এগুলো একটু পুরানো হয়ে গেলে সিটি সার্ভিসে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

তাই একেকটি বাসের বডির ধরন একেক রকম। কোনো বাসের প্রবেশ গেট সামনের দিকে। আবার কোনো বাসের প্রবেশ গেট সামনের চাকার সঙ্গে। আবার বাসের ভেতরে ইচ্ছেমতো সিট বসিয়ে বডি তৈরি করে বাস মালিকরা। এসব বাসের ফিটনেসের জন্য বিআরটিএ’র অফিস পর্যন্ত যাওয়া প্রয়োজন হয় না। শুধু কাগজ দেখিয়ে এক বছরের ফিটনেস করে দেয় বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ’র পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ^াস জনকণ্ঠকে বলেন, যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস এক বছরের জন্য নবায়ন করা হয়। বিআরটিএ’র বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিস থেকে ফিটনেস নবায়ন কমিটি এসব বাসের ফিটনেস দিয়ে থাকে। তবে মোটরযানের ফিটনেসের সময় ৫৯টি বিষয় পুরোপুরি যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয় না। বাস চলাচলের উপযোগী আছে কি না তাই যাচাই করা হয়। পুরোপুরি যাচাই-বাছাই করা হলে বেশিরভাগ মোটরযানই ফিটনেস পাবে না। 
ঢাকাকে বাঁচাতে আধুনিক গণপরিবহনের পরামর্শ ॥ ঢাকা শহরকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আধুনিক ও সংগঠিত গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ গণপরিবহন বিশেষজ্ঞদের। এ বিষয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে মোবাইল কোম্পানির মতো দেশে গুটিকয়েক কোম্পানিকে গণপরিবহনের লাইসেন্স দিতে হবে। এজন্য বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালু করতে হবে।

এটা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। বাস কোম্পানিগুলোর পাল্লাপাল্লির কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা, তৈরি হয় যানজট ও বিশৃঙ্খলা। সরকারি সংস্থা বিআরটিসির বাসও ইজারা দেওয়ার কারণে একইভাবে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এটা কঠিন অসুস্থ ব্যবস্থা। তাই গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ও ঢাকার যানজট মুক্ত করতে হলে এখনই উপযুক্ত সময়। এজন্য ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িসহ ছোট গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। আধুনিক বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে সবাই একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারে। এজন্য রুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি চালু না হলে কেউ ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় মেরুদ- দিতে পারবে না।’

×

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার