
ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত যখন সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করছে, দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা যখন চরমে, ঠিক তখনই কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে এক বার্তা দেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দেওয়া ওই পোস্টে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা এই শেহবাজ সরকারকে অবৈধ মনে করি, কিন্তু যখন পাকিস্তান হুমকির মুখে, তখন গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ।’
পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে যতই মতভেদ থাকুক না কেন, যুদ্ধের বিরুদ্ধে আজ পুরো পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।’ এরপর তিনি ভারতের শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বলেন, ‘আজকের ভারত উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরএসএস মতাদর্শে পরিচালিত এক রাষ্ট্র। এটি শুধু উপমহাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক নতুন হুমকি হয়ে উঠছে।’
ইমরান খান দাবি করেন, ‘ভারত প্রমাণের পরিবর্তে যুদ্ধ চাইছে’। এসময় তিনি কাশ্মীরিদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, ‘কাশ্মীরের মানুষের ওপর নিপীড়ন বেড়েছে। ফলে তাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাও এখন আরও জোরালো।”
পেহেলগাম হামলার পর থেকে কূটনৈতিকভাবে কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারত। ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিল করার পরপরই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও ছোট পরিসরের পাকিস্তান ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখে কতটা টিকে থাকতে পারবে, সে প্রশ্ন সময়ই বলে দেবে। তবে তারা আশঙ্কা করছেন, যুদ্ধ শুরু হলে তা আর শুধু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তাতে যুক্ত হতে পারে চীন, রাশিয়া এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও। বিশেষ করে চীন বহুদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় রয়েছে, অপরদিকে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের মিত্র হিসেবে অস্ত্র, বিমান ও প্রযুক্তি দিয়ে চীন বরাবরই ইসলামাবাদকে শক্তিশালী করেছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=veuthdoyT5s
রাকিব