
ছবি: সংগৃহীত।
ছাত্র থাকা অবস্থায় টাকাই জীবনের মূল লক্ষ্য নয়, বরং শেখার মধ্য দিয়ে টেকসইভাবে বড় কিছু গড়ার লক্ষ্য রাখা উচিত। এই সাতটি পথ শুধু আয় নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একেকটি দক্ষতা গড়ে তোলে, যেখান থেকে শুরু করে বড় উদ্যোক্তা হয়ে ওঠাও সম্ভব। মনে রাখবেন, সময়ই মূল সম্পদ। সময় বিক্রি করে আয় নয়—সময়ের সদ্ব্যবহার করে স্বাধীনতা অর্জন করাই হোক আপনার লক্ষ্য।
আজকের তরুণরা শুধুমাত্র পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কীভাবে উপার্জনের পথ তৈরি করছেন, তা নিয়েই আমাদের আজকের ফিচার। এখানে থাকছে ছাত্রদের জন্য বাস্তবমুখী ও টেকসই ৭টি ইনকাম আইডিয়া, যা শুরু করা যায় আজ থেকেই।
১. সীমিত টিউশন বা পার্টটাইম জব, যেন পুরো সময় না খেয়ে ফেলে:
শুধু টিউশন করে আয় না বাড়িয়ে সময়কে বাঁচিয়ে সেটি ব্যবহার করুন স্কিল শেখা বা ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য।
২. ফ্রিল্যান্সিং শিখুন, তবে এটাকে চূড়ান্ত গন্তব্য ভাববেন না:
আপওয়ার্ক, ফাইভার– সবই শেখার জায়গা, কিন্তু মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নিজের ব্র্যান্ড বা ব্যবসা তৈরি করা।
৩. কানেক্টর হোন – মানুষকে সংযোগ করিয়ে উপার্জন করুন:
কমিশন ভিত্তিক কাজ করে আপনি ফ্রেন্ড-ফাইন্ডার, কোচ-খুঁজিয়ে, অথবা বিজনেস-ম্যাচমেকার হয়ে উঠতে পারেন।
৪. রাইটার ফর সিইওস বা প্রফেশনালদের জন্য কনটেন্ট লেখক:
সিনিয়র মানুষদের হয়ে লিংকডইন বা ফেসবুক পোস্ট লিখে তাদের প্রফাইল বিল্ড করে নিজেও আয় করতে পারেন।
৫. ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য কনটেন্ট এডিটর বা গ্রোথ স্ট্র্যাটেজিস্ট:
ভিডিও এডিট, কনটেন্ট প্ল্যানিং ও অ্যালগরিদম বুঝে ইনফ্লুয়েন্সারদের সহযোগিতা করুন।
৬. ব্লগিং শুরু করুন – শিখতে শিখতেই উপার্জন:
ব্লগিং এখনো সময়োপযোগী প্যাসিভ ইনকামের অন্যতম মাধ্যম। নলেজ, কনটেন্ট ও SEO-এর সমন্বয়ে ইনকাম সম্ভব।
৭. ন্যাশনাল ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করুন:
নিজের কোনো প্রোডাক্ট ছাড়া অন্যদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা গড়ে তুলুন। স্টক রাখতে হবে না, ডেলিভারিও নয়—শুধু সেলস এবং মার্কেটিং।
নুসরাত