
মারণ রোগ ‘ক্যানসার’ এখন শুধু অসুখ নয়, এক আতঙ্কের নাম। রোগীর মানসিক চাপের পাশাপাশি পরিবার-পরিজনও পড়ে যান দুশ্চিন্তার গভীরে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি সত্ত্বেও ক্যানসার শনাক্ত হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শেষ ধাপে, যখন চিকিৎসাও হয়ে পড়ে জটিল। এমন বাস্তবতায় জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এনে ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব—এমনটাই জানালেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক।
তাঁদের মতে, ওষুধ বা দামী সাপ্লিমেন্ট নয়, মাত্র তিনটি ঘরোয়া পানীয় নিয়মিত গ্রহণ করলেই শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং কমে ক্যানসারের ঝুঁকি।
হার্ভার্ডের গবেষকদের সুপারিশকৃত সেই তিন পানীয় কী?
১. মাচা গ্রিন টি
মাচা চা-তে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, পলিফেনল এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা কোষে ক্ষতিকর উপাদানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এটি শুধু ক্যানসার প্রতিরোধেই সাহায্য করে না, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ায়।
যেভাবে বানাবেন:
এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ মাচা চায়ের গুঁড়া দিন। চাইলে সামান্য ব্রাউন সুগার ও দুধ মিশিয়ে নিতে পারেন। চুলায় গরম করে নেড়ে নিন—তৈরি আপনার মাচা গ্রিন টি।
২. সবুজ স্মুদি
এই পানীয় ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ঠাসা। পালংশাক, কলা, শসা ও আদা দিয়ে তৈরি এই স্মুদি প্রতিদিন খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ গড়ে ওঠে এবং ক্যানসারসহ বহু জটিল রোগ এড়ানো সম্ভব হয়।
যেভাবে বানাবেন:
পালং শাক ধুয়ে ছোট করে কাটা কলা ও শসার সঙ্গে সামান্য আদা মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। গ্লাসে ঢেলে উপরে দিন এক চিমটে গোলমরিচের গুঁড়া।
৩. হলদি দুধ
হলুদের কারকিউমিন উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে অন্যতম কার্যকর। এর সঙ্গে যদি মেশানো হয় দারচিনি ও গোলমরিচ, তখন তা হয়ে ওঠে আরও শক্তিশালী প্রতিরোধক।
যেভাবে বানাবেন:
গরুর দুধে বা বিকল্প হিসেবে আমন্ড বা ওটসের দুধে দিন এক চা চামচ হলুদ, একটি গোটা গোলমরিচ ও এক টুকরো দারচিনি। নেড়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে পান করুন ঘুমের আগে।
পুষ্টিবিদদের মতে, “শুধু খাওয়ার অভ্যাস নয়, আমাদের পান করার জিনিসেও রয়েছে রোগ প্রতিরোধের গোপন চাবিকাঠি। শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে হলে খাবার ও পানীয় দুই দিকেই নজর দিতে হবে।”
এই পানীয়গুলো কোনো চিকিৎসার বিকল্প নয়, তবে প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক। প্রতিদিন সকালে বা রাতে নিয়ম করে এই পানীয়গুলো গ্রহণ করলে শরীর থাকবে ফিট, মন থাকবে শান্ত, আর ক্যানসারের মতো ভয়ংকর রোগও থাকবে দূরে।
মিমিয়া