ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ওজন কমাতে এই ৪টি খাবার খেতে বলছেন ডাক্তার! শুনে চমকে যাবেন

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ২২ জুন ২০২৫

ওজন কমাতে এই ৪টি খাবার খেতে বলছেন ডাক্তার! শুনে চমকে যাবেন

ছবি: সংগৃহীত

ওজন কমাতে কি প্রতিদিন ক্যালরি গুনছেন? না খেয়ে থাকাকে উপায় ভাবছেন? এই প্রচলিত পদ্ধতিগুলোকেই ভুল প্রমাণ করলেন মার্কিন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও লেখক ড. জেমস ডি-নিকোলান্টোনিও। ‘The Obesity Fix’ বইয়ের লেখক এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও হরমোনজনিত সমস্যা নিয়ে কাজ করা এই গবেষক বলছেন—ওজন কমাতে চাইলে না খেয়ে নয়, বরং পেট ভরে খেতে হবে। তবে খেতে হবে সঠিক খাবার।

১. মাংস

মাংস হচ্ছে উচ্চপ্রোটিন, বি-ভিটামিন ও আয়রন-জিঙ্ক সমৃদ্ধ এক পরিপূর্ণ খাবার। এটি রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরাট রাখে। ফলে খাবারের পর আর অল্পতেই ক্ষুধা পায় না, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

২. ডিম

ডিমকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম পুষ্টিকর খাবার। এতে আছে প্রোটিন, ভালো চর্বি, কোলিন ও লুটেইনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ডিম দিয়ে দিনের শুরু করলে সারাদিন কম খাওয়া হয়, কারণ এটি ক্ষুধা কমায় ও খিদে দমিয়ে রাখে।

৩. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার

পূর্ণচর্বিযুক্ত দুধ, দই ও পনিরে থাকে প্রোটিন, চর্বি, ক্যালসিয়াম ও প্রোবায়োটিক। এটি পেশি টিকিয়ে রাখে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট ভরাট রাখে। কম চর্বিযুক্ত দুধের পরিবর্তে পূর্ণচর্বিযুক্ত দুধ খাওয়াই ভালো।

৪. অ্যাভোকাডো

অ্যাভোকাডোতে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, পটাশিয়াম ও ফাইবার। এটি ধীরে হজম হয় বলে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি ও পরিপূর্ণতা দেয়। এছাড়া এটি অন্যান্য খাবার থেকে ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে।

চিনির লোভ সামলাতে ফল, আচার, পিকল জুস বা লবণ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. ডি-নিকোলান্টোনিও। কারণ অনেক সময় এই লোভ শরীরে খনিজ বা ইলেক্ট্রোলাইট ঘাটতির কারণে হয়, আসলে চিনির প্রয়োজন পড়ে না।

তার মতে, ওজন বাড়া মানে শুধুই বেশি খাওয়া বা কম ব্যায়াম নয়, বরং এটি এক জটিল হরমোন ও বিপাকীয় সমস্যা। অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইনসুলিনের ওঠানামা এবং বিকৃত ক্ষুধার সংকেত—এসবই ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ।

তিনি বলেন, শরীর স্বাভাবিকভাবেই একটি স্বাস্থ্যকর ওজনে থাকতে চায়, শুধু প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস। সেই অভ্যাস তৈরি করলেই ওজন কমানো সম্ভব—না খেয়ে নয়, বরং তৃপ্তির সাথে খেয়েই।

ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে হাজার হাজার মানুষ বলছেন—ড. ডি-নিকোলান্টোনিওর উপদেশে ওজন কমেছে, এনার্জি বেড়েছে, আর “ডায়েটের দুঃস্বপ্ন” থেকেও মুক্তি মিলেছে।

পরিশেষে, ক্যালরি গুনে নয়, বরং শরীরকে বুঝে, পুষ্টিকর খাবার খেয়েই ওজন কমানো সম্ভব—ড. ডি-নিকোলান্টোনিওর এই সহজ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি এখন অনেকের জীবন বদলে দিচ্ছে।

আবির

×