
ছবি: সংগৃহীত
মাইগ্রেন হঠাৎ করে এবং অবসাদগ্রস্ত করে তোলে, যার কারণে পরিকল্পনা করা বা একসঙ্গে অনেক কিছু সামলানো কঠিন হয়ে যায়। যদি আপনি মনে করেন মাইগ্রেন আপনার জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে, তবে আপনি একা নন। মাইগ্রেনের ঘনত্ব এবং তীব্রতা কমানোর কিছু উপায় আছে। তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
নিয়মিত ঘুমান: অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচি মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়ায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম মাইগ্রেনের হার কমায়। তবে খুব বেশি কঠিন ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: মানসিক চাপ দূর করতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা মেডিটেশন চেষ্টা করুন।
স্ক্রিন টাইম কমান: কম্পিউটার, ফোন এবং অন্যান্য ডিভাইস থেকে বিরতি নিন।
মাইগ্রেন ডায়েরি রাখুন: ব্যক্তিভেদে মাইগ্রেনের কারণ ভিন্ন হতে পারে। ডায়েরি রাখলে কারণগুলো চিহ্নিত, পর্যবেক্ষণ ও এড়ানো সহজ হয়।
অতিরিক্ত উদ্দীপনাদায়ক পরিবেশ এড়িয়ে চলুন: ঝলমলে আলো, উচ্চ শব্দ বা তীব্র গন্ধের মতো পরিবেশ সংবেদনশীলতা তৈরি করতে পারে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করুন: আর্দ্রতার মতো আবহাওয়ার পরিবর্তন মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে, তাই আপডেট থাকুন।
সাপ্লিমেন্ট চেষ্টা করুন: রিবোফ্লাভিন এবং CoQ10-এর মতো কিছু সাপ্লিমেন্ট মাইগ্রেনের ঘনত্ব ও তীব্রতা কমাতে সহায়ক হতে পারে।
সঠিক মাইগ্রেন চিকিৎসা খুঁজে পাওয়া সবসময় সহজ নয়, তবে সামান্য ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে। আপনি যত বেশি বুঝবেন কী আপনার জন্য কার্যকর, ততই আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনে আত্মবিশ্বাসী ও নিয়ন্ত্রণে বোধ করবেন।
শহীদ