সংগৃহীত
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তারা মসলার ব্যবহার রেখেছে ব্যাপক। রান্নার স্বাদ বাড়ানো থেকে শুরু করে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাও ধনিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু জানেন কি, বিশ্বের ধনিয়ার চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশই পূরণ করে একটি মাত্র দেশ? সেই দেশটি হলো ভারত।
ধনিয়া উৎপাদনে ভারতের আধিপত্য,২০২৩ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত বছরে প্রায় ১৯ লাখ টন ধনিয়া উৎপাদন করে, যা বিশ্ব ধনিয়া উৎপাদনের প্রায় ৬৬ থেকে ৬৯ শতাংশ। বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনা এটি অনেক বেশি।
বিশেষ করে ভারতের রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ রাজ্য ধনিয়া উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। রাজস্থানের রামগঞ্জ মন্ডি এবং মধ্যপ্রদেশের কুম্ভ রাজ অঞ্চলে ধনিয়ার ব্যাপক চাষ হয়। এসব অঞ্চলে ধনিয়ার মান এবং উৎপাদন দুইই অত্যন্ত উন্নত। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার ছাড়াও সারা বিশ্বে এখান থেকে ধনিয়া রপ্তানি করা হয়।
বিশ্ব ধনিয়া উৎপাদনে অন্যান্য দেশের অবদান.ভারতের পরের অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক। তুরস্ক বছরে প্রায় ৩,৪৪,০০০ টন ধনিয়া উৎপাদন করে। এরপর রয়েছে মেক্সিকো, রাশিয়া, ইরান, চীন এবং সিরিয়া।
তবে এসব দেশের উৎপাদন ভারতের তুলনায় অনেক কম।
- তুরস্ক: ৩,৪৪,০০০ টন
- মেক্সিকো: ১,২৭,০০০ - ১,৩৮,০০০ টন
- রাশিয়া: ৩৫,০০০ টন
- ইরান, চীন, সিরিয়া: প্রত্যেকে ৬৫,০০০ - ৭৫,০০০ টন
বিশ্ব বাজারে ভারত ধনিয়া রপ্তানির মাধ্যমে অন্যতম বৃহৎ ভূমিকা পালন করছে। শুধু উৎপাদন নয়, মানের দিক থেকেও ভারতের ধনিয়া বিশ্বের সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়।
কেন ভারতের ধনিয়া এত বিখ্যাত?
ভারতের মাটি ও আবহাওয়া ধনিয়া চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে রাজস্থানের শুষ্ক জলবায়ু এবং মধ্যপ্রদেশের উর্বর মাটি ধনিয়ার স্বাদ ও গন্ধকে করে তোলে অতুলনীয়। এছাড়া, ভারতের কৃষকরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধনিয়া চাষে দক্ষতা অর্জন করেছে, যা উৎপাদনে গুণগত মান বজায় রাখতে সাহায্য করেছে।
ধনিয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
ধনিয়া শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, এটি শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। ধনিয়ায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি হজমশক্তি বারাতে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়তা করে।
বিশ্ব ধনিয়া বাজারে ভারতের ভূমিকা নিঃসন্দেহে শীর্ষস্থানে। উৎপাদন, মান, এবং রপ্তানির দিক থেকে ভারত আজ বিশ্বের সেরা ধনিয়া সরবরাহকারী দেশ।
হ্যাপী
