ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশেষ সংখ্যা

বিশেষ সংখ্যা বিভাগের সব খবর

ফারিণের গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ

ফারিণের গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। টিভি নাটক ও ওটিটিতে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। তবে এবার ঈদে তিনি নতুন পরিচয়ে দর্শকের সামনে আসছেন। ঈদের ‘ইত্যাদি’তে তিনি গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন। গানটির শিরোনাম ‘রঙে রঙে রঙিন হব’। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। ফারিণের সঙ্গে গানটিতে আরও দেখা যাবে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খানকে। পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী না হয়েও পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী তাহসানের সঙ্গে খুব চমৎকারভাবেই গানটি গেয়েছেন অভিনেত্রী। ফারিণ বলেন, ‘ইত্যাদি ছোটবেলা থেকেই আমার প্রিয় অনুষ্ঠান।

বিশাল আয়োজনে ‘ইত্যাদি’

বিশাল আয়োজনে ‘ইত্যাদি’

প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদ আনন্দের সঙ্গে দর্শকদের জন্য বাড়তি আনন্দ নিয়ে আসছে হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’। ঈদের ইত্যাদি ধারণ করা হয়েছে মিরপুর শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে। বরাবরের মতো এবারও ইত্যাদি শুরু করা হয়েছে- ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ এই গানটি দিয়ে। এই গানটি পরিবেশন করবেন প্রখ্যাত নজরুল সঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গে এই প্রজন্মের প্রায় ৩৫ জন নজরুল সঙ্গীত শিল্পী। এবারের ইত্যাদিতে গাইবেন এই প্রজন্মের ক’জন জনপ্রিয় শিল্পী। ‘জীবনের সব সুখ’ শিরোনামে বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ প্রজন্মের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল।

সংখ্যায় এগিয়ে রাজ

সংখ্যায় এগিয়ে রাজ

ঈদে এবার সিনেমার সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছেন ‘পরান’খ্যাত নায়ক শরীফুল রাজ। একসঙ্গে তিন সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে।  সিনেমাগুলো হচ্ছে সরকারি অনুদানের ‘দেয়ালের দেশ’, সিনেমাটিতে রাজের বিপরীতে আছেন শবনম বুবলী। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মিশুক মনি। এরপর মনপুরাখ্যাত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে সিনেমা ‘কাজলরেখা’। সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি এর চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। সিনেমাটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন নবাগত মন্দিরা চক্রবর্তী। সিনেমাটির গল্পে দেখা যাবে, ৪০০ বছর আগে ৯ বছর বয়স হলেই সমাজের নিয়ম অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ে দিতে হতো। কাজলরেখার বয়স যখন ৯ হয়, তখন এক নতুন গল্প তৈরি হয়।

ঈদে ১৩ সিনেমা

ঈদে ১৩ সিনেমা

বাংলা সিনেমা এখন উৎসব কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। গেল দুই বছরে ঈদের সিনেমাগুলোই বানিজ্যিকভাবে এগিয়ে আছে। ঈদে এবার এক ডজনের বেশি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। এরমধ্যে সব থেকে এগিয়ে আছে ঢালিউড কিং শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ সিনেমাটি। এতে শাকিবের নায়িকা মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আরশাদ আদনান প্রযোজিত এটি নির্মাণ করেছেন হিমেল আশরাফ। ঈদে এবার সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছেন ‘পরাণ’খ্যাত নায়ক শরীফুল রাজ। ঈদে তার অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। এগুলো হলো মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ওমর’, মিশুক মুনির পরিচালিত ‘দেয়ালের দেশ’ ও গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘কাজলরেখা’। দীর্ঘদিন পর আবারও বড় পর্দায় আসছেন ‘ইতিহাস’খ্যাত অভিনেতা কাজী মারুফ। ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত ‘গ্রীনকার্ড’ শিরোনামের একটি সিনেমা। এটি পরিচালনা করেছেন কাজী হায়াৎ। ঈদে মুক্তি পাচ্ছে জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানী ও রোশান অভিনীত ‘ডেডবডি’ শিরোনামের একটি সিনেমা। এটি নির্মিাণ করেছেন মো. ইকবাল। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমডিয়ার দুটি সিনেমা।

বন কুসুম

বন কুসুম

ভোরের ঝাঁজ লেগেছে পুব আকাশে। গত কালকের নিকোনো উঠানে এখনো ঝাঁট পড়েনি। আলমতারা উঠবো উঠবো করছে। গোয়ালে বাঁধা গরুটা বিয়াবো বিয়াবো করে আছে। গরুটা নিয়ে ওর খুব চিন্তা। দরু খুব যত্ন করে গরুটার। ও এলেই গরুটার কাছে গিয়ে দেখে। দরু আলমতারার কেউ হয় না। নাশু বেঁচে থাকতে দরু আসতো। এক সঙ্গে জন খাটতো জমিতে। নাশুর যেদিন কাজ থাকতো না সেদিন দরু এসে হাজির হতো ওদের বাড়িতে। নাশুর হঠাৎ চলে যাওয়াটা আলমতারা মেনে নিতে পারেনি। আলমতারার পেটে সন্তান আসেনি। নাশু সত চেষ্টা করেও তার সন্তান হয়নি। কত কবিরাজ, বৈদ্য, গাছ গাছরা করেও আলমতার পেটে সন্তান এলো না। নাশুর পাশে রাতে শুয়ে আলমতারা কাঁদতো।

স্মৃতিময় মায়াময়  ঈদ

স্মৃতিময় মায়াময় ঈদ

খুব ছোটবেলায় বইতে পড়েছিলাম- ‘আজ ঈদ। দলে দলে লোকজন ঈদগাহে চলিল।’ কি যে খুশির দোলা দিয়ে যেত এই দুটো লাইন। আজও কথাগুলো মনের কোনে গেঁথে আছে। ঈদ এলেই আগে লাইন দুটো ভীষণ মনে পড়ে। সময় বদলেছে, সেই ঈদের আমেজ এখন আর নেই। তবু এখনো চোখের কোনে সেই খুশি মনের মধ্যে ঝিলিক দিয়ে যায়। আবছা মনে পড়ে- আমিও বাবার সঙ্গে মসজিদে যেতাম ঈদের নামাজ পড়তে। আমাদের সময় লেসফিতাওয়ালা আসত বাড়ি বাড়ি। কাপড়ে বাঁধা বিশাল একটা পুঁটলি। তার মধ্যে থরে থরে সাজানো ৪/৫টা বাক্স। সেগুলো ভর্তি থাকত সাজগোছের জিনিস- কোনোটায় থাকত চুড়ি, কোনোটায় মেকআপ, কোনোটায় আলতা-স্নো-পাউডারসহ অনেক কিছু! আর হাতে থাকত আরেকটা কাচের ঢাকনাওয়ালা পাতলা বাক্স সেটাতে থাকত কানের দুল, চুলের ক্লিপ, টিপসহ আরও কত কি। এসেই সে ডাক দিত- লেসফিতা রাখবেন, লেসফিতা- মায়ের কাছে বায়না ধরতাম, মা লেসফিতা কিনে দাও। মা সেখান থেকে ঈদের জামার সঙ্গে মিলিয়ে ফিতা, ক্লিপ, চুড়ি, লিপস্টিক, নেলপলিস, গালপলিস কিনে দিতেন। ব্লাশনকে বলতাম গালপলিস, সেটার নাম রোজ। মিষ্টি গোলাপি রঙের সেই গালপলিস দিয়ে গাল গোলাপি হয়ে যেত। লিপস্টিক ঠোঁটে লাগিয়ে আর কথা বলতাম না, খেতেও চাইতাম না- লিপস্টিক মুছে যাবে তাই। আজ মা নেই, লেসফিতাওয়ালাও নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কত কিছু যে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তা বলাই মুশকিল।

‘আমরা ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগোচ্ছি’

‘আমরা ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগোচ্ছি’

প্রশ্ন: আপনাদের ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য কি? এই কার্ড গ্রাহক কেন ব্যবহার করবেন?  উত্তর: সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো এটি শরিয়া কমপ্লায়েন্স কার্ড যার সঙ্গে বিনামূল্যে সম্পূরক (Supplementary) কার্ড দেওয়া হয়। এই কার্ডে গ্রাহকগণ ৪৯ দিন পর্যন্ত মুনাফা ফ্রি সময় উপভোগ করতে পারেন। এই সময়ের মধ্যে পরিশোধ করলে গ্রাহককে মুনাফা দিতে হয় না। আবার প্লাটিনাম কার্ডধারীদের বিনামূল্যে প্রায়োরিটি পাস (Priority Pass) কার্ড দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে গ্রাহকগণ  হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বলাকা ভিআইপি লাউঞ্জে এবং বিশ্বব্যাপী নির্ধারিত লাউঞ্জে প্রবেশের সুবিধা বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারেন।  সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলার সুবিধা পাওয়া যায়।  এটি ইএমভি চিপভিত্তিক কার্ড এবং পিন সক্রিয় হওয়ায় অত্যন্ত সুরক্ষিত কার্ড। এ ছাড়াও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কার্ডের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো নমনীয় পেমেন্ট সুবিধা, নির্বাচনী মার্চেন্ট আউটলেটে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট সুবিধা, ব্যালেন্স ট্রান্সফার সুবিধা, নির্বাচিত মার্চেন্ট আউটলেটে ২৪ মাস পর্যন্ত  মুনাফাবিহীন (0% i-Pay ২৪ মাস পর্যন্ত) কিস্তি সুবিধা, রিওয়ার্ড পয়েন্ট প্রোগ্রামে বার্ষিক ফিতে ৫০% বা ১০০% মওকুফ করার সুবিধা, স্বল্প Profit Rate, দেশে ও বিদেশে পস ও ই-কমার্স লেনদেন ইত্যাদি। ই-কমার্স লেনদেন টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) দ্বারা সুরক্ষিত। প্রশ্ন: গ্রাহকদের জন্য আপনাদের কয় ধরনের ক্রেডিট কার্ড আছে? এগুলোর জনপ্রিয়তা কেমন? উত্তর: সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে বর্তমানে ৫ ধরনের ক্রেডিট কার্ড আছে। এগুলো হলো ভিসা লোকাল ক্লাসিক, ভিসা লোকাল গোল্ড, ভিসা ডুয়াল ক্লাসিক, ভিসা ডুয়াল গোল্ড, ভিসা ডুয়াল প্ল্যাটিনাম। তা ছাড়া হজযাত্রীদের জন্য আমরা হজকার্ড দিচ্ছি। অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের ওপর আরোপিত মুনাফা, ফি এবং অন্যান্য চার্জ অনেক কম। আমাদের কার্ডে কোনো হিডেন চার্জ নেই। গ্রাহকগণ বাংলাদেশের প্রতিটি এটিএম থেকে কম খরচে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তুলতে পারেন। সর্বপ্রকার পস মেশিনে আমাদের কার্ড ব্যবহার করা যায়। আমাদের কার্ডে নির্বাচিত মার্চেন্ট আউটলেটে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ইএমআই (EMI), ডিসকাউন্ট এবং মুনাফাবিহীন কিস্তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বলাকা ভিআইপি লাউঞ্জে এবং বিশ্বব্যাপী নির্বাচনী লাউঞ্জে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার সুবিধা রয়েছে। প্রশ্ন: দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম। কেন এর বাজার সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে না? উত্তর: ক্রেডিট কার্ডের সম্প্রসারণ হচ্ছে না বিষয়টি এভাবে বলা মনে হয় সঙ্গত হবে না। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। প্রযুক্তি-নির্ভর সেবা গ্রহণে অভ্যস্ত হচ্ছে। এখন আমরা ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগোচ্ছি। বাংলাদেশ আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে ক্রেডিট কার্ডের প্রচার এবং প্রসার শহরকেন্দ্রিক হয়ে আছে। কার্ডের সুযোগ-সুবিধা এবং এর ব্যবহারের উপযোগিতা দেশব্যাপী পৌঁছে দেওয়া গেলে বাজার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। কার্ডের বাজার সম্প্রসারণে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে গ্রাহক কর্তৃক ট্যাক্স রিটার্ন কপি জমা দেওয়া। বিষয়টা কিছুটা ছাড় দিতে পারলে বাজার সম্প্রসারণ সহজ হবে। দেশে এক লাখের ওপরে মানুষ টিনধারী হলেও রিটার্ন দাখিল করে মাত্র ২৮ হাজার। এক্ষেত্রে গ্রাহকের ট্যাক্স রিটার্ন কপির পরিবর্তে টিন সার্টিফিকেট জমা নেওয়া যেতে পারে। প্রশ্ন: রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য কি ধরনের অফার দিচ্ছেন?  উত্তর: রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ইএমআই (EMI), ডিসকাউন্ট এবং মুনাফাবিহীন কিস্তি সুবিধার মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করে ঘর সাজানোর পাশাপাশি শপিং মল, হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় ইুঁ ১ এবঃ ১-এর বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছি।  প্রশ্ন: আপনাদের ঝওইখ ঘড়ি অ্যাপ কতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে? এই অ্যাপ ব্যবহারে গ্রাহক কতটা লাভবান হতে পারেন? উত্তর: আমাদের ‘এসআইবিএল নাউ’ অ্যাপ বেশ জনপ্রিয়। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল অ্যাপের সুবিধা যুগোপযোগী করা হয়েছে এবং সেবার আওতাও বাড়ানো হয়েছে। আমাদের ‘এসআইবিএল নাউ’ অ্যাপে সংযোগ করা হয়েছে ই-অ্যাকাউন্ট সেবা যার মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি দেশে-বিদেশে যে কোনো স্থান থেকে এখন ঘরে বসেই মোবাইলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন, এর জন্য গ্রাহককে ব্যাংকের শাখায় আসার প্রয়োজন নেই। ‘এসআইবিএল নাউ’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ গ্রাহক ডিজিটাল ট্রানজেকশনের সুবিধা নিচ্ছেন। এসব অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে প্রায় তিন লক্ষাধিক ট্রানজেকশন হচ্ছে। ই-অ্যাকাউন্ট সেবার আওতায় ইতোমধ্যে প্রায় বিশ হাজার গ্রাহক ঘরে বসেই অ্যাকাউন্ট খুলেছেন এবং ব্যাংকিং লেনদেন করছেন। ‘এসআইবিএল নাউ’ অ্যাপ দিয়ে গ্রাহকগণ মোবাইলে রিচার্জ থেকে শুরু করে ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, ফান্ড ট্রান্সফার, নগদ ও বিকাশে ফান্ড ট্রান্সফার ও অ্যাড মানি, ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট ও ক্যাশ উইথড্রয়াল পর্যন্ত নানান সেবা নিতে পারছেন।

বিনির্মাণে প্রয়োজন জনসচেতনতা ও সবার সমষ্টিগত অংশগ্রহণ

বিনির্মাণে প্রয়োজন জনসচেতনতা ও সবার সমষ্টিগত অংশগ্রহণ

২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। আর এক্ষেত্রে স্মার্ট বাংলাদেশের যে চারটি স্তম্ভ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা হলো: স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট। আর এ চারটি স্তম্ভের সঙ্গেই যুক্ত আমাদের দৈনিক আর্থিক লেনদেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কত দ্রুত আমাদের আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থাকে ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তর করতে পারব এবং নগদ অর্থবিহীন লেনদেনকে নিত্য সাধারণ প্রথায় পরিণত করতে পারব।  এ ক্ষেত্রে, সরকার ইতোমধ্যে বহুমুখী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যেমনÑ গত বছরে ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ক্যাশলেস লেনদেন সেবা উদ্বোধন করে। বাংলা কিউআর পেমেন্ট ব্যবস্থায় কিউআর কোডের মাধ্যমে পেমেন্ট পরিশোধসহ ডিজিটাল লেনদেনের সুফল সম্পর্কে সবাইকে জানাতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ উদ্যোগ যেমন ভূমিকা রাখবে, তেমনি ক্যাশলেস বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সরকারও ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে সকল ধরনের লেনদেনের ৩০ শতাংশ ক্যাশলেস বা ডিজিটাল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।       উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ইতোমধ্যেই ক্যাশলেস সোসাইটিতে পরিণত হওয়ার যাত্রায় অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে; যে তালিকায় এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো উন্নত দেশ। নরওয়েতে যেমন প্রায় মাত্র ২ শতাংশ পেমেন্ট হয় নগদ অর্থ দিয়ে; অন্যদিকে, ব্যাংক অব ফিনল্যান্ড ধারণা করেছে, আগামী ২০২৯ সালের শেষের মধ্যে ফিনল্যান্ডে ব্যাংক নোটের ব্যবহার আর থাকবে না। চীনের মানুষ যেমন নগদ অর্থের ওপর নির্ভরশীল। তাই ২০২২ সালে চীন সরকার ডিজিটাল অর্থ নিয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু করে। এবং ক্রমশই চীনে ডিজিটাল অর্থ জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। এর মাধ্যমেই প্রতীয়মান, বিশ্ব এখন ক্যাশলেস লেনদেনের দিকে ঝুঁকছে।   নগদ অর্থবিহীন বা ক্যাশলেস বলতে সহজে বলা যায় নগদ অর্থের বিপরীতে মোবাইলে এমএফএস ওয়ালেট, ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে লেনদেন করা। দৈনিক লেনদেনের ক্ষেত্রসমূহ, যেমন: পণ্য কেনা বা সেবাগ্রহণের পেমেন্ট পরিশোধ এবং যাতায়াতসহ আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মানুষ ক্রমশই ক্যাশলেস লেনদেনে অভ্যস্ত হচ্ছেন। কোভিডের বৈশ্বিক মহামারি আবির্ভাবের পর ক্যাশলেস লেনদেনে অভ্যস্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যাংক এখন হাতের মুঠোয়

ব্যাংক এখন হাতের মুঠোয়

ব্যাংক থেকে মোবাইল ফোনে, মোবাইল ফোন থেকে ব্যাংকে টাকা চলে যাচ্ছে চোখের নিমেষে। মোবাইল ফোনে আঙুল ছোঁয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যাচ্ছে লেনদেন। ব্যাংক যেন হাতের মুঠোয়। বিদেশ থেকে রেমিটেন্সও চলে আসছে পলকে। বলা যায়, রূপান্তরের ব্যাংকিং যুগে বাংলাদেশ। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বা এমএফএস নামের এ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এই মোবাইল আর্থিক সেবা মানুষকে লেনদেনে এনে দিয়েছে অবারিত স্বাধীনতা। সেই সঙ্গে এনেছে গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দ্য। এতে সহজ হয়ে উঠেছে দৈনন্দিন জীবনযাপন। একজন গ্রাহক নিজের মোবাইলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা লেনদেনের সুযোগ পাচ্ছেন। এমএফএস সাধারণের ব্যাংক হিসাবে মাত্র এক যুগেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

ঈদ কেনাকাটায় রেকর্ড  পরিমাণে ছাড় দিচ্ছে  সিটি ব্যাংক

ঈদ কেনাকাটায় রেকর্ড  পরিমাণে ছাড় দিচ্ছে  সিটি ব্যাংক

দেশীয় বেসরকারি দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের প্রায় সব আমেরিকান এক্সপ্রেস ক্রেডিট কার্ড দিয়ে তারকা রেস্তোরাঁয় ইফতার ও ডিনারে মিলছে বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার অর্থাৎ একজনের সঙ্গে আরও একজন বিনামূল্যে খাওয়ার সুযোগ। এ ছাড়া ঈদ কেনাকাটায় কার্ড মেম্বাররা পাচ্ছেন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড়। ঈদ কেনাকাটায় বিভিন্ন অফার নিয়ে ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের প্রধান মোহাম্মদ রাজিমুল হক রাজিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নগদ টাকার বহনের ঝুঁকি এড়িয়ে ক্যাশলেস লেনদেনে বেশি উৎসাহ দিচ্ছে সিটি ব্যাংক।  এ জন্য ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের বিভিন্ন উৎসবে দেওয়া হয় আকর্ষণীয় ছাড় ও নানা রকম অফার। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ কেনাকাটা ও ইফতারে বিশেষ অফার পাচ্ছেন সিটি ব্যাংকের কার্ড মেম্বাররা।  তিনি জানান, ৩০০টির মতো লাইফস্টাইলে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত এবং ৫০টির বেশি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড়ের অফার। পাশাপাশি অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্টেও মিলবে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। এ ছাড়াও ১৩০ এরও অধিক রেস্তোরাঁয় ইফতার ও ডিনারে রয়েছে বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার অথবা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ঈদে দেশ-বিদেশ ভ্রমণেও ছাড় পাচ্ছেন সিটি ব্যাংকের কার্ডের গ্রাহকরা। হোটেল বুকিং ও বিমানের টিকিট কেনায় মিলছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। গ্রোসারি পণ্য এবং অনলাইন ফুড ডেলিভারির ওপরও রয়েছে এক্সিলারেটেড রিওয়ার্ড পয়েন্ট ও সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। এই বছর প্রথমবারের মতো ফুডপান্ডা আয়োজিত ‘গ্র্যান্ড ইফতার বাজার’-এ টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে সিটি ব্যাংক। ঢাকার ধানমন্ডি এবং বনানীতে ১৫টিরও অধিক রেস্তোরাঁর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ইফতার বাজার, যেখানে সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড মেম্বাররা পাচ্ছেন ২৫ শতাংশ ছাড়। এসব অফার ছাড়াও সিটি ব্যাংকের কার্ডের গ্রাহকরা রমজান মাসে তাদের খরচের ওপর ভিত্তি করে আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার পাবেন বলে জানান ব্যাংকটির এ কর্মকর্তা।