ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামবিদ্বেষ এক বৈধ রাজনৈতিক কৌশল

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৪:৪৫, ১ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামবিদ্বেষ এক বৈধ রাজনৈতিক কৌশল

নিউইয়র্ক সিটি মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে মুসলিম আমেরিকান প্রার্থী জোহরান মামদানির বিজয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নতুন করে ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য ও প্রচারণা শুরু হয়েছে। অধিকারকর্মীরা বলছেন, এই প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে—মার্কিন রাজনীতিতে ইসলামফোবিয়া এখনো একটি সহনীয় ঘৃণার রূপেই টিকে আছে।

নিউইয়র্কের ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্কে ঈদের নামাজের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে ডানপন্থী প্রভাবশালীরা এগুলোকে “ইসলামি আগ্রাসন” বলে উপস্থাপন করছেন। অনেকেই দাবি করছেন, এই জমায়েতগুলো মামদানির বিজয়ের সঙ্গে যুক্ত।

এদিকে, 

মামদানিকে লক্ষ্য করে কেবল বেনামি অনলাইন ব্যবহারকারীরা নয়, রিপাবলিকান পার্টির নেতারাও একের পর এক ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য করছেন।
কংগ্রেসম্যান র‍্যান্ডি ফাইন অভিযোগ করেছেন, মামদানি ক্ষমতায় এলে নিউইয়র্কে “খিলাফত” প্রতিষ্ঠা হবে। কংগ্রেসওমেন মার্জোরি টেইলর গ্রিন ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’-কে বোরকা পরা অবস্থায় একটি ব্যঙ্গচিত্রে দেখিয়ে মামদানির বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছেন।

ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন বলেন, “ইসলাম কোনো ধর্ম নয়, এটি একটি রাজনৈতিক মতবাদ।”
রক্ষণশীল ভাষ্যকাররা মামদানির মুসলিম পরিচয়কে ৯/১১ হামলার প্রেক্ষাপটে যুক্ত করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এক পর্যায়ে মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল ও তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবি পর্যন্ত উঠেছে।

৯/১১-পরবর্তী সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামফোবিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে বিরাজমান। ইসলাম ও মুসলিমদের নিয়ে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব, মসজিদে নজরদারি এবং ধর্মীয় কেন্দ্র নির্মাণে বাধা—এসবই এর ধারাবাহিকতা।

কমিউনিটি অ্যাডভোকেটদের মতে, এটি এক ধরনের “শিল্প”—যেখানে ইসলামবিরোধী চিন্তাধারা ছড়াতে কথিত সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষজ্ঞ, থিংক ট্যাংক ও রাজনৈতিক প্রচারণা একত্রে কাজ করে।

 

সূত্র - https://www.aljazeera.com/news/2025/6/30/mamdanis-new-york-victory-sparks-islamophobic-backlash-in-us

সানজানা

×