
ছবি: সংগৃহীত
ইরানে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি নিয়ে নয়, বরং সাম্প্রতিক বিদেশি হামলা ও অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার কারণে দেশটির শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এখন তার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (IRGC) সিনিয়র কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন। পারমাণবিক কর্মসূচিতে নিয়োজিত বিজ্ঞানীদের ওপরও হামলা হয়েছে।
খামেনির জন্য সংকট কেন বড়?
-
তিনি ৮৬ বছর বয়সী এবং এখনও উত্তরসূরি নির্ধারিত হয়নি।
-
দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত শক্তিশালী কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে।
-
জনগণের মধ্যে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্নীতির কারণে অসন্তোষ বাড়ছে।
এই অবস্থায় কি হতে পারে?
-
পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা – নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইরান হয়ত পরমাণু অস্ত্র তৈরির দিকে এগোতে পারে।
-
নতুন নেতৃত্বের প্রস্তুতি – উত্তরসূরি না থাকায় ভবিষ্যতে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি হতে পারে।
-
আন্তর্জাতিক আলোচনায় ফেরা – যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হতে পারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে।
-
অভ্যন্তরীণ সংস্কার – জনগণের ক্ষোভ প্রশমনে অর্থনীতি ও প্রশাসনে কিছু পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, খামেনির সরকার যদি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এটি শুধু ইরান নয় বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
আবির