
সংগৃহীত
২২ জুনের যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলার পর স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনা নতুন তৎপরতার চিত্র। BBC Verify এবং অন্যান্য বিশ্ব গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মাটির গভীরে লুকিয়ে থাকা এই ঘাঁটিতে এখন চলছে ব্যস্ত নির্মাণ ও মেরামতের কাজ যা বিশ্বজুড়ে কৌতূহলের ঝড় তুলেছে।
২২ জুন গভীর রাতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একযোগে হামলা চালায় ইরানের তিনটি কৌশলগত পারমাণবিক কেন্দ্রে—ফোর্ডো, নাটানজ ও ইসফাহানে। এই অভিযানে ব্যবহার করা হয় শক্তিশালী GBU-57 বাংকার-বাস্টার বোমা ও Tomahawk ক্রুজ মিসাইল, যা গভীর ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার ধ্বংসে সক্ষম।
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে
- টানেলের মুখে ক্রেন ও ভারী যন্ত্রপাতির উপস্থিতি
- ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা
- রাস্তার পাশে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহন
- নতুন করে মাটি খুঁড়ে কিছু ঢেকে ফেলার চেষ্টা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব চিত্র ইঙ্গিত দেয় ইরান সম্ভবত মেরামতের আড়ালে পারমাণবিক কার্যক্রম ফের শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে, বর্তমানে ফোর্ডোতে স্থাপিত সেন্ট্রিফিউজ গুলো ‘নিষ্ক্রিয়’ রয়েছে। তবে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বিশ্বের পারমাণবিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতায় বড় ধাক্কা দিলেও এটি ‘শেষ’ নয় বরং বিরতির মতো। ইরান হয়ত আরেকটি পর্বের প্রস্তুতি নিচ্ছে।একইসঙ্গে, এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম কতটা ব্যাহত হলো, তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু যা স্পষ্ট বিশ্বের নজর এখন ঘুরে গেছে মাটির নিচে চাপা দেওয়া ফোর্ডোর দিকে। এই গোপন ঘাঁটির প্রতিটি নড়াচড়া এখন বিশ্ব রাজনীতির চরম স্পর্শকাতর ইস্যু।